অন্ধ হলে বন্ধ হবে না প্রলয়। পাগলা কথন-১ঃ হুমায়ূন আহমেদের শেষদিককার লেখাগুলো কেমন যেন ঠিক আগেরগুলোর তুলনায় বেমানান এই প্রতিপাদ্যের আলোচনায় হটাতই পাগলা বলিয়া বসিল- “হইবেনা আবার! কারন সেগুলাতো প্রকাশক গংদের দেয়া সমাপ্তি। ” জিজ্ঞাসিলাম কেমনে? “বইমেলা উপলক্ষে ছাপা আগাইয়া রাখার কথা বলে লেখা ৮০% শেষ না হইতেই নিয়া যাইত; বাকিটুকুর সমাপ্তি দিতো প্রুফ রিডাররা। ” নিউ কনসেপ্ট অব সমালোচনা(পাগলে কি না বলে!) মনে করিয়া তর্কে গেলামনা।
পাগলা কথন-২ঃ হুমায়ুন আহমেদের অনুপস্থিতিতে নুরজাহানের লেখকের নতুন করিয়া সামনে আসার সম্ভাবনার কথা উঠিতেই পাগলা বলিয়া উঠিল-“থামেন মিয়া! ওই কেডসওয়ালার কথা আর কইয়েন না।
” তারপরে দীর্ঘশ্বাস ছাড়িয়া কহিলো “সেদিন যদি উনার বই উপহার দিতে না যাইতাম তাইলে আজকে আমার কলেজ পড়ুয়া বাচ্চাকাচ্চা থাকতো। আমার জীবনের একমাত্র দাগ যা সে আবিষ্কার করিয়াছিলো তাহা হইলো ওই কেডসওয়ালার বই পড়া। ” এই কথা বলিয়া বিরস বদনে আড্ডাস্থল হইতে প্রস্থানকালে উপদেশ দিয়া গেলো হন্টনকালে ডিজিটাল রিক্সা আর এনালগ রিক্সার পার্থক্য বুঝিয়া রাস্তা পার হইতে।
শেষটিকাঃ অদ্য হাটিয়া বাসায় ফিরিবার কালে বেশকিছুটা সামনে একটা রিক্সা দেখিয়া পাগলার শেষ কথাটুকু মনে পড়িয়া গেলো। ভাবিতে ভাবিতে রাস্তা পার হইবার কালে হটাতই মনে হইলো কি যেন গা ঘেঁষিয়া চলিয়া গেলো।
তৎক্ষণাৎ পাগলার কথার মানে বুঝিতে পারিলাম। বন্ধুগণ রাস্তা হাটিয়া পার হইবার কালে এই দুই রিক্সার গতি পার্থক্য মনে রাখিয়া চলাচল করিলে লাভ বৈ ক্ষতি হইবেনা ইহা গ্যারান্টি সহকারে বলিতে পারি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।