আমার নাম নূর মুহাম্মদ। কিন্তু সবাই আমাকে নূরা পাগলা বলে ডাকে। আচ্ছা, আমি কি পাগল? আমাকে যে কোনো প্রশ্ন করুন, সাথে সাথে উত্তর দিয়ে দেব। জিজ্ঞেস করুন, নিউটনের সুত্র গুলো অথবা জিজ্ঞেস করুন 'পাই' এর মান কত অথবা জিজ্ঞেস করতে পারেন রবীন্দ্রনাথ কবে নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। আমার বন্ধু মকবুল আমাকে 'গুগল' বলে ডাকে আর আমার সাবেক প্রেমিকা কুসুম ডাকত 'ইউকিপিডিয়া' বলে।
'পন্ডিত' বলে ডাকতেন রসুলপুরের ডাঃ তালুকদার।
এক সময় আমি ভালো চাকরী করতাম। ভালো টাকা বেতন পেতাম। উন্নত জীবন-যাপন করতাম। এখন আমার কাজ হলো সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়ানো।
ঘুরে ঘুরে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করি। আমি জানি কোন জেলার মেয়েরা বেশী সেক্সী হয়। কোন অঞ্চলের মেয়েরা পুরুষকে বেশী সুখ দিতে পারে। একসময় আমি সারা ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াতাম মেয়েদের বুক দেখার জন্য। বড়-বড় বুক দেখতে কি যে ভালো লাগত।
শপিংমল গুলোতে ভীড়ের মধ্যে মেয়েদের বুকে হাত দিয়ে দিতাম।
আমার নানান ধরনের গুন এবং জ্ঞান আছে। বিভিন্ন পার্কে ঘুরে বেড়াই- ছেলে মেয়েদের ডলাডলি দেখি। এ যুগের ছেলে-মেয়েদের লজ্জা শরম খুবই কম। সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা ডলাডলি করে- কোনো সংকোচ নাই।
আজিব! আর কিছু আছে রিকশার মধ্যে... ছিঃ ছিঃ, কি বলব আর। তবে মিথ্যা বলব না, এককালে আমিও রিকশার মধ্যে চটকাচটকি কম করি নাই। হা হা হা...। আমার এক বন্ধু বিয়ে করেছে, বাচ্চা আছে- এখনও রাস্তায় মেয়ে দেখলে হা করে তাকিয়ে থাকে। তখন তার চোখ কুকুরের মতন জ্বলজ্বল করে।
ঢাকা শহরের সব আবাসিক হোটেলের দালাল আমাকে চিনে। আমাকে অতি সম্মান করে। লক্ষ লক্ষ টাকা এই সব হোটেলে খরচ করেছি। নানান রকম মেয়েদের সাথে রাত পার করেছি। তখন অনেক ভদ্র ঘরের ছেলেদের সাথে পরিচয় হয়েছিল।
একছেলে তার বাবাকে এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিয়ে হোটেলে এসেছে। বাবাকে গেছে হ্বজ করতে। আর ছেলে হোটেলে গেল যৌনসুখ ভোগ করতে। একটা রুমে অনেক গুলো অল্প বয়সী মেয়ে সেজেগুজে বসে থাকে, তখন দালাল বলে বেছে নেন। অল্প কিছুক্ষনের আনন্দের জন্য তিনশো টাকা খরচ।
এক বয়স্ক মহিলা। কম করে হলেও তার বয়স ৪৫ থেকে ৫০। অনেক টাকার মালিক। তাকে কেউ আন্টি বললে- সে খুব রেগে যায়। তাকে বলতে হবে আপু।
আপা বলা যাবে না। আপু বলতে হবে। সেই মহিলা অল্প বয়সী ছেলে খুঁজে খুঁজে দূরদূরান্তে ঘুরে বেড়ায়। এক অনুষ্ঠানে এই মহিলার সাথে আমার পরিচয় হয়। এই মহিলা আমাকে নিয়ে গিয়েছিল সমুদ্রের ধারে।
সারারাত এই মহিলা আমার নুনু নিয়ে খেলেছে। টিপে টিপে আমার নুনুর বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। আর কি রসের কথা। বুঝলাম, আমার চেয়ে খারাপ মানুষ এই দুনিয়ায় অনেক আছে।
আরেক মহিলা আমাকে শিখিয়ে ছিল- কিভাবে একজন নারীকে শারীরিক আনন্দ দিতে হয়।
উফ... কি বিভষ্য সব বর্ণনা। পর্ণ মুভিও তার কাছে হার মানে। আমার কাছ থেকে নানান রঙ ডং করে টাকা নিত। তবে, অনেক পরে বুঝতে পেরেছিলাম- এই মহিলা এভাবেই আয় করে জীবন-যাপন করে। এখন আমি সব সাধনায় ব্যর্থ হয়ে বুঝতে শিখেছি- পড়ার চেয়ে এবং জানার চেয়ে আর কিছু নয় দামী।
নারী সঙ্গ এখন আমি খুব ঘৃণা করি। নুনুতেও আগের মতন জোর পাই না। মেয়েরা আনন্দের বদলে বিরক্ত হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।