আওয়াজ উঠতে হবে, আওয়াজ উঠছে
ধর্ম টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব ইসলামে কাউকে দেয়া হয়নি। যাকে দেয়া হয়েছিল তার বিদায় হয়েছে অনেক দিন আগেই। এবং তিনি যে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন তা কোন শাসকের দারাই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। বরং ঐ আল্লাহই যথেষ্ঠ এ রক্ষার জন্য । অতএব ধর্মকে রক্ষার কথা বলে যারা আজ মানবতার পরাজয় ডেকে আনছেন, আবার যারা মানবতার কথা বলে ধর্মকে অপমান করছেন এই দুই শ্রেনীর মানুষেরেই ধর্ম নিয়ে আরও গবেষনা করা উচিত।
মানুষ বদলাচ্ছে না, অথচ দিনের পর দিন পঞ্জিকার পাতা গুলো পাল্টে নিচ্ছে তাদের চেহারা। জলবায়ু আর আবহাওয়ার আকস্মিক পরিবর্তনে মানচিত্রে আসছে পরিবর্তন। অথচ হিংস্রতার মাত্রা একটুও কমছে না বরং বাড়ছে। আজও মানুষ গ্রাম থেকে ক্রিতদাসের মত কাজের মেয়েকে নয়তো কাজের ছেলেকে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়ে এসে আটকে রাখছে ফ্ল্যাট বাড়ির চারদেয়ালের মাঝে। আজও মানুষকে মানুষ এভাবে খুন করছে যেন শিকারী কোন প্রানীর হত্যায় কোন জবাবদিহিতার সন্মুখিন নয়।
আজও মানুষ মানুষরে উপর চাপিয়ে দিচ্ছে শাসন। কেড়ে নিচ্ছে ভাত, কাপড়, অন্ন খাওয়ার বাসন। আজও মানুষ উপকারে নয়, কাব্যিক সৌন্দর্যে আকর্ষিত করছে ভাসন। আজও মানুষ বর্বর। বোমা মারছে কেউ জোর করে দখল করছে কোন দেশ (আমেরিকা ইরাককে)।
আজও মানুষ বলি হচ্ছে দেবতাদের আদেশে ধর্ম কে রাখতে টিকিয়ে অথচ আল্লাহ স্বয়ং তার ধর্ম রক্ষায় যথেষ্ঠ। তাহলে কেন এ হত্যা? কেন এ বর্বরতা? কেন পৌরনিকতা? আসুন অশিক্ষার হাত থেকে আগামীকে রক্ষা করতে সুষ্ঠ শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলি। শিক্ষক নামে যে সব লোক এসব অপব্যাখ্যার জন্য দায়ী তাদের ধরে ধরে প্রকৃত শিক্ষার সন্ধান দেই। আসুন আজকের ছাত্রদের প্রকৃত মুসলিম ও নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।