যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি
বিষয়টা খুবই ছোট্ট, খুবই সামান্য, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকায় যারা বসবাস করেন তাদের জন্যে। সেটা হচেছ চাকুরী হারানো। এখানে একটা কথার প্রচলন আছে - নর্থ আমেরিকায় তিন ডব্লিওর কোন নিশ্চয়তা নেই। "ডবলইউ" গুলো হলো - ওয়েদার, ওয়ার্ক আর ওয়াইফ। বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারনে আবহাওয়াকে আগের থেকে ভালভাবে বুঝা যাচেছ আর বিয়েথার থামেলায় না গিয়ে - লিভিং টুগেদার করে দ্বিতীয় ডব্লিউ সমস্যা থেকে না হয় মুক্তি পাওয়া গেছে কিন্তু আরেকটা ডব্লিউ (ওয়ার্ক) অবস্থা দিন দিন খারাপ হচেছ ।
মানুষকে এখন স্বগোত্রের সাথে প্রতিযোগীতা করছে। শুধু তা নয় - পূর্বের মানুষের সাথে প্রতিযোগীতা চলছে পশ্চিমের মানুষ "লোকষ্ট জিয়োগ্রাফি"র নামে। এমনই অবস্থায় গত ডিসেম্বরে¤অফিসে আলোচনা শুরু হলো কিছু মানুষকে লে-অফ দেয়া হবে। মাসের শেষের দিকে বড়কর্তা লে-অফে পাঠানো যায় এমন তিনজনের নাম দিতে বললো । বাইরে প্রচন্ড তুষার ঝড় - তাপমাত্রা শূন্যের ২০ সেঃ নীচে।
বিরাট কাঁচের জানালা দিয়ে ক্ষনিক্ষন বাইরে তাকিয়ে থেকে তিনজনের নাম টাইপ করলাম খুব সহজেই - যে কোন রকমের দোদুল্যমানতা আমার কর্মদক্ষতাকে কোনভাবেই প্রশ্নের সন্মুখিন করবে সে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তিনজন "মানুষ" নেমে গেলেন রাস্তায় - আরও সাড়ে চারশত মানুষের সাথে - যারা কোম্পানীর বিলিয়ন ডলার লাভের সময় অবদান রেখেছিল - এখন তারা অপাংতেয়।
আদিম যুগ থেকে ক্রমশ অগ্রসরমান সমাজ ব্যবস্থার এ পর্যায়ে এসে প্রশ্ন হচেছ - এ সমাজ ব্যবস্থা কার জন্যে - অগ্রগতি মানে কার অগ্রগতি ? সভ্যতার নামে কাদের সভ্যতা তৈরী হচেছ ? যে সমাজ ব্যবস্থা মানুষের মৌলিক সমস্যাসমূহ নিয়ে ভাবতে রাজী নয় - সে সমাজ ব্যবস্থা কি আমাদের কাম্য হতে পারে? মনে হয় না।
কিন্তু - কে ভাববে সেই তিনজনের কথা - যারা প্রচন্ড শীতে রাস্তায় নেমে গেল - আমার সামনে এগুতে হবে। পিছনে তাকিয়ে এক ফোঁটা অশ্রু বর্ষনের মতো সময় নষ্ট করার সময় তো আমাদের নেই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।