আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ নূরুল ইসলাম

মনন

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রসঙ্গ নূরুল ইসলাম শিরোনামে একটি একটি লেখা শুরু করেছিলাম। লেখাটি আজ আমি শেষ করতে চাই। আমাকে বিমান বন্দর থেকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে আসা হয়। তারপর পুরনো একটি বিল্ডিং থেকে একজন স্মার্ট লোক বেরিয়ে আসেন। তিনি এসেই ইংরেজিতে কথা বলা শুরু করেন।

আমার নাম, পরিচয়, পেশা সবকিছু সম্পর্কে তিনি অবগত। আমি বিস্ময়ের সঙ্গে লোকটির দিকে তাকালাম। ভাবলাম, এখন আমার বাঁচামরার প্রশ্ন। বাঁচার জন্য আমাকে কৌশল করতে হবে। আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম, আফগানিস্তান-বাংলাদেশ সব সময় পরস্পরের বন্ধু ছিল এবং আছে।

একে অপরের বিপদে সব সময়ই দুইদেশ পাশে থাকে। আমি মুসলমান। তোমরাও মুসলমান। আমি তোমাদের পক্ষে কাজ করার জন্য এখানে এসেছি। আমাদের জনগণ তোমাদের সম্পর্কে জানতে চায়।

আমার এখানে আসার আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। লোকটি কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললো, ঠিক আছে, তোমাকে ছেড়ে দিতে পারি, আমাদের এক হাজার ডলার দিতে হবে। তুমি নিশ্চয়ই অনেক ডলার নিয়ে এসেছো। আমি বললাম, আমার কাছে মাত্র এক হাজার ডলার আছে। এটা দিয়ে দিলে আমি আর দেশে ফিরতে পারবো না।

তাহলে তোমাকে আমরা সার্চ করবো। আমি অবলিলায় বললাম, ঠিক আছে কর। তখন লোকটি বললো, ঠিক আছে তুমি পাঁচশ ডলার দাও। কিন্তু আমাদের কথা পত্রিকায় প্রকাশ করতে পারবে, কাউকে বলতেও পারবে না। আমি তার প্রস্তাবে রাজি হলাম।

তবে তাকে একটা অনুরোধও করলাম। আমাকে কাবুল পৌছে দিতে হবে। তখন লোকটি গাড়ির ড্রাইভারকে নির্দেশ দিলো। আমাকে কাবুল শহরের কাছাকাছি একটা স্থানে নামিয়ে দিলো। আমি পায়ে হেটে হোটেলে পৌছলাম।

আমি সেখানে ১৫ দিন অবস্থান করেছিলাম। ১৫ দিনে অনেক ঘটনা ঘটেছিল। কেউ যদি আমার কাবুল উপাখ্যান গল্পটা (সাপ্তাহিক ২০০০ এর ঈদ সংখ্যায়) পড়ে থাকেন তাহলে হয়তো উপলব্দি করতে পারবেন আমি কতটা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে থেকে রিপোর্টিং করেছিলাম।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।