স্বপ্নীল.......স্বপ্ন যেথা নীল......দিগন্ত ছুঁয়ে আকাশ যেমন বিলীন......
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়াটা এক সময় শুধু কিছু অতি মেধাবী গবেষনায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সীমাবদ্ব ছিল। বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এ প্রবনতা ছিল খুব সীমিত। আমার মনে হচ্ছে সঠিক প্রক্রিয়া না জানার কারনে এটা হতো...ইদানিং কিছুটা পরিবর্তন এলেও অনেকেই আযথা কিছু এজেন্ট বা মিডিয়া সেন্টারকে টাকা পয়সা দিয়ে আসছে যেটা আধোও দরকার নেই। আমি বেশ কিছু ভর্তি প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে এই লেখাটি লিখছি..যদি কারো কাজে লাগে ভালো লাগবে..পুরো প্রক্রিয়াটা আমি ক্রমানুসারে লিখছি..
১. ইন্টারনেট সার্চ করতে পারাটা(এটা খুবই সহজ আর আজকাল সবাই পারে... ) খুব জরুরি পুরো ব্যপারটা নিজে নিজে করার জন্য তাই ইন্টারনেট সার্চ করাটা শিখে ফেলুন। আমার মতে গুগল ই যথেষ্ট এ জন্য।
২.আপনি কোন বিষয়ে পড়তে চান সেটা আগে স্হির করুন। একাধিক বিষয়ে আগ্রহ থাকলে আপনার শিক্ষার সংগে বেশী মিলে এমন বিষয়ের ক্রম তৈরি করুন।
৩. বিশেষ কোন দেশে পড়তে যেতে চাইলে সেটার একটা পছন্দ লিষ্ট করুন।
৪.এবার গুগল বা ইয়াহুতে আপনার পছন্দের বিষয় ও দেশ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় সার্চ করুন। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার বিষয় মিলবে সেগুলোর একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করুন।
৫.প্রাথমিক তালিকার প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখুন। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া, পড়ার খরচ ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে বুঝার চেষ্টা করুন। এখানে যেগুলোতে আপনার যোগ্যতার সর্ব্বোচ্চ মিল ও অন্যান্য প্রক্রিয়া সহজ সেগুলোর শর্টলিষ্ট করুন।
৬.এবার আপনার পছন্দের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বরাবর ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ই-মেইল করুন। ই-মেইলে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিন ও ভর্তি ফরম চেয়ে লিখুন।
৭. সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিশ্লেষন করে আপনার যোগ্যতা,আগ্রহ ও অনন্য সযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনা করে তিন চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্তভাবে যোগাযোগ করুন। পরবর্তি কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী করুন। এ পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সাধারনত আপনার সব কাগজপত্র চাইবে যা আপনাকে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পাঠাতে হবে।
আমি এ পর্যায়ে শুধু জেনারেল প্রক্রিয়াটা আলোচনা করলাম..পরবর্তিতে সুইডেনে পড়াশুনার উপর আরেকটি পোষ্ট করার আশা রাখি। উল্লেখ্য আমার এ লেখাটি প্রথম আলোর ছুটির দিনে প্রকাশিত হয়েছিল সেপ্টেম্বর ২০০৬ এ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।