ডুবোজ্বর রবিনাথ বললো, কী বেদনা তুমি জানো, ওগো মিতা? আরিফ মনে মনে ভাবে তার দাড়ির সংখ্যা কতো হতে পারে। আরিফের মাথার ভিতর ঘুরছিলো ব্রহ্মাণ্ড। সে কী যেনো বলেছিলো, ...আমি যদি তার হাত ধরে চলে যাই— তোমার কিছু করার আছে? মনে করো সে গড়িয়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো, আমার ঠোঁটে চুমু খেলো— তোমার কিছু করার আছে?... শহীদ কাদরী বললো, কালো রাতগুলি বৃষ্টিতে হবে শাদা। আমি চিরদিন বেকার থাকবো এইটা ভাবছো কেনো— চাকরি তো একটা হবেই...। বাল হবে।
আমি ইনকাম করি, আমি খরচ করবো। পাশের রুমটা সাবলেট দিয়ে দিই, চলো।
দাদা, আমার জীবনটা এমন হলো কেনো? ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছি। আরিফ কথাগুলি বলে শূন্য চোখে গুরু ফরিদের দিকে তাকিয়ে রইলো।
তোর কবিতা যেমন তরল, তোর ভালোবাসাও মনে হইতেছে তরল...
আরিফ বাসায় ফিরে দেখে সে নেই।
অফিসের কাজে সে বোধহয় বাহিরে গেছে— ফিরতে লাগবে তেরোদিন। অতঃপর মনে হলো ডিপফ্রিজে ঢুকলে তার ভালোবাসা তরল থেকে কঠিন হবে। এই ভেবে সে ডিপফ্রিজে আইচক্রিম, চিংড়ি, কয়েকপ্যাকেট গরুর কলিজা এবং মুরগির কাঁচামাংসের পাশে বসে ডালাটা টেনে দিলো। খুট করে শব্দ হলো। সে অবশ্য ভাবে নাই এইটা অটো লক হয়ে যাবে।
সে মনে মনে দস্তয়ভস্কির হোয়াইট নাইট গল্পটা ভাবতে ভাবতে জমে শাদা হয়ে গেলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।