গত তিন চার দিন আগের কথা , উত্তরার একটি ফার্স্ট ফুডের দোকানে দুই জন আইন শৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা আলাপ করছেন, যদিও তাদের সাথে আমার পরিচয় নাই কিন্তু তাদের কথোপকথন আমি স্পস্ট শুনতে পাচ্ছিলাম, বিষয়টি আমাকে আশ্চার্যান্বিত করেছে বলেই আজকের এই লিখা। সেই দুই জন অফিসারের কথা বার্তায় মনে হয়েছে তারা সদ্য গঠিত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর শ্রমিক শিল্প(!) বিভাগের সদস্য, এই বিভাগে একজন হেড আছেন মনে করি তার পদ- বি আই জি(!) , তিনি নাকি রিকসা চালকের সন্তান । সেটা আমার দেখবার বিষয় নয় বরং সমাজের একেবারের নিম্নস্তর থেকে আজকের এই অবস্থানে উত্তরণ কে আমাদের সাধুবাদ জানান উচিত, শিক্ষা মানুষ কে অনেক প্রতিকুল অবস্থা থেকেও সমাজে বিশেষ অবস্থানে নিয়ে যায়, কিন্তু পরক্ষনেই যদি এই শিক্ষা তাকে বেপরোয়া করে তোলে তখন তা উদ্বেগের বিষয়। এই বিতর্কিত কর্মকর্তার নাম ধরি কালাম(!) , বাড়ি নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা তে, তিনি নাকি দেখতে খুব কালো এবং তার মন টা নাকি আরো কালো ।
তিনি তার অফিসের এস্পি দের গাড়ি দিয়ে নিজের ছেলে কে স্কুলে আনা নেয়া করান এবং উক্ত গাড়ি তার স্ত্রী ব্যবহার করেন অথচ তার অফিসের দুই জন এস্পি পিক আপে করে চলাফেরা করেন।
তিনি অফিসার দের সোর্স মানির ৬ লাখ টাকা এনে তাদের কে মাত্র দুই লাখ টাকা দিয়ে বাকী চার লাখ টাকাই মেরে দেন, উক্ত অফিসার দের কাছ থেকে চাপ দিয়ে সিগনেচার নেন, এছাড়া তিনি নব গঠিত এই ইউনিট এর নিজস্ব অফিস তৈরির জায়গা কেনার ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিগত জমির পাশে জমি নির্বাচন করেন তারই জমি কিনে দিয়েছে যে দালাল তাকেই এই দায়িত্ব দিয়েছেন শর্ত হচ্ছে ৫ শতাংশ জমি এই কর্মকর্তাকে দিতে হবে। অত্যন্ত ধুরন্ধর এই কর্মকর্তা বিএনপি এর লোক জনের সাথে গোপনে মিলিত হন রাতের বেলায় এবং দিনের বেলায় তিনি আওয়ামী পন্থী, তিনি বিএনপিপন্থী মিল মালিক দের কাছে মোটা অংকের চাদা নেন খুব গোপনে । তিনি প্রশাসন ক্যাডারের একজন ডিএস কেও স্যার বলে ডাকেন, আর বিভিন্ন সচিব দের অতিরিক্ত তৈল মর্দন করতে নিজের কার্যালয়ে দাওয়াত দিয়ে আনেন আর তাদেরকে নিয়ম বহির্ভুতভাবে তার অধীনস্থদের দিয়ে সালামী প্রদান করেন ।
তিনি প্রত্যেক অফিসারের সাথে কুকুরের মত আচরণ করেন যেটা সকল অফিসারদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, তিনি প্রতিটা কাজই ধান্ধার কথা ভেবেই করেন, ধান্ধা না থাকলে কিছুই করেন না, তার মত অযোগ্য ,অসৎ ,দুর্ণীতিপরায়ন ও সুযোগ সন্ধানী কর্মকর্তাদের জন্যেই এই বাহিনীর এত দুর্নাম, বিষয় গুলি বানোয়াট ও মন গড়া নয় । তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিলে তার অধীনস্থ্ রা যেকোন সময় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে দিতে পারেন তার প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার আর অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ আর মিনিমাম কোন সুযোগ সুবিধা না দেবার ফলে ।
বিঃদ্র- পুরো তথ্য গুলি উক্ত অফিসারদের আলাপচারিতায় পাওয়া (উপরোক্ত ঘটনা টির সাথে হুবুহু কোন ঘটনার মিল খুজে পাওয়া গেলে বা জীবিত ও মৃত কোন ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য থাকলে লেখক ক্ষমাপ্রার্থী , দূর্ণীতি ,ধান্ধাবাজ ও অযোগ্য মানুষদের মুখোশ উন্মোচনে যদি আমার এই লিখাটা এক শতাংশও কাজে আসে তবেই এটা স্বার্থক )
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।