আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অচিরেই চালু হচ্ছে থ্রিজি বিশ্বায়ন ও বাজার অর্থনীতির এ যুগে আমাদের অবশ্যই উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হব



অচিরেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি (থ্রিজি) চালু হচ্ছে। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৭টি বিভাগীয় শহরে গ্রামীণফোনের থ্রিজি চালু করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ থ্রিজি নিলামে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনেছে। পাশাপাশি দেশের অন্য তিন মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল রবিবার নিলামে অংশ নিয়ে ৫ মেগাহার্টজ করে থ্রিজি তরঙ্গ কিনেছে। থ্রিজি নীতিমালা অনুযায়ী অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স পাবে।

দেশের নতুন প্রযুক্তির আগমনকে আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাই। কারণ বিশ্বায়ন ও বাজার অর্থনীতির এ যুগে আমাদের অবশ্যই উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। বর্তমানে এ পরিবর্তিত বিশ্বে, প্রযুক্তিগত উন্নতির ওপর অনেক দেশেরই মানব উন্নয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন গভীরভাবে নির্ভরশীল। এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে, থ্রিজি মোবাইল ফোন উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের জন্য কি অবদান রাখবে? নাকি এটা কেবল একবিংশের বাঙালী তরুণ সমাজের ‘মনের বাসনাকে’ পূরণ করবে? খারাপ-ভাল যাই হোক, যুগের দাবিকে মেনে নিতেই হবে। থ্রিজি মোবাইলে যেসব সুবিধা আছে এর প্রতি তরুণ সমাজ সহজেই প্রলুব্ধ হবে।

একে ভাল কাজে যেমন লাগান যাবে, তেমনি খারাপ কাজেও লাগান যাবে। এতে ভিডিং কলিং সুবিধা থাকবে; অর্থাৎ তরুণ-তরুণীরা কথা বলার সময় একে অপরের চেহারা দেখার সুযোগ পাবে। এত গেল বন্ধুত্ব ও পরিচয়ের দিক। এই প্রক্রিয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে অপরাধীদের শনাক্ত করাও সম্ভব হবে। এতে ভিডিও দেখার অবাধ সুযোগ থাকায় ভাল শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান কিংবা ছায়াছবি ডাউনলোড করে দেখা যাবে।

থাকবে ইন্টারনেট সুবিধা। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার ব্যাপক সুযোগ থাকবে। তবে একই সঙ্গে পর্নো ছবির প্রচার বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য এটা ঠিক যে, সব ভাল জিনিসেরই খারাপ দিক রয়েছে। সুতরাং তথ্য প্রযুক্তি যাতে ভালভাবে ব্যবহৃত হয় সে বিষয়ে ব্যাপক প্রচারণা থাকা দরকার।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে মোবাইল ফোন এখন ঘরে ঘরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। সুতরাং ন্যায়নীতিবোধ ও মূল্যবোধের প্রচারের ব্যাপারে একে ব্যবহার করা যেতে পারে। জানা গেছে, দেশে এখন মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১০ কোটিরও বেশি। এই ১০ কোটি গ্রাহককে নিয়মিত এসএমএস-এর মাধ্যমে উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। প্রতিটি গ্রাহক নিজ মোবাইল ফোনে পাওয়া বার্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

সুতরাং দেশের কল্যাণে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে থ্রিজি ফোনকে নিঃসন্দেহে ব্যবহার করা যায়। দেশের মোবাইল অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য থ্রিজি ফোনের লাইসেন্স পাওয়ায় অবশ্যই আর্থিকভাবে উপকৃত হবে। কোন কোন অপারেটর বিশেষ করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এখনও কলচার্জ কমায়নি। কলচার্জ কমালে গরিব- মধ্যবিত্ত সব গ্রাহকেরই উপকার হবে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

এছাড়া মোবাইল ফোন উৎপাদনের বিষয়ে আমরা পিছিয়ে আছি। বহুজাতিক কোম্পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশে ফোন তৈরি, যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও এ্যাসেম্বল করার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরী।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.