আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের ওয়ান ইলেভেন পূর্ব কর্মকাণ্ডের আবারো পুনরাবৃত্তি!

... পত্রিকায় আজকাল আবারও দেখা যাচ্ছে যে বিদেশী কুটনীতিবিদরা প্রায়শই রাতে নৈশভোজের ব্যবস্থা করছেন এক একজন এ্যামবাসেডরের বাসায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, অধিকাংশ ইউরোপের খ্রিষ্টান দেশ সমূহের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন এসব নৈশভোজে। পাকিস্তান কিংবা কোন মুসলিম দেশের প্রতিনিধি সেখানে নেই, এমনকি পার্শ্ববর্র্তীদেশ ভারতও সেখানে প্রবেশাধিকার পায়না! গত নির্বাচনে সেনা সমর্থিত তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় বসানোর আগেও তারা ঠিক এই কাজটিই অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেছিল। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছিল ততোই বৃদ্ধি পেয়েছিল তাদের এহেন কর্মকাণ্ড। পালাক্রমে ক্ষমতাশীন দল, ক্ষমতার বাইরের দল এবং মগজধোলাই! সবশেষে দেশে একটি যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব এনে নিজস্ব নির্বাচিত দালালদেরকে সেনাবাহিনীর সাহায্যে ক্ষমতায়ন, ফকরুদ্দীন আর মঈনউদ্দীন সকলেই ছিল আমেরিকার নাগরিক এবং বর্তমানে তারা সেখানেই বসবাস করছে।

এবার হয়তো তাদের চাহিদাটি আরো বেশী নিষ্ঠুর ও মর্মান্তিক! নিজস্ব দালালদের ক্ষমতায়ন ছাড়াও এবার তারা হয়ত দেশীয় মুসলমানদের মধ্যে ব্যাপক হানাহানী ও রক্তক্ষরন দেখতে চায়। তাই অত্যন্ত সুক্ষ পরিকল্পনার মাধ্যমে শাহবাগ আন্দোলন এবং পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলামকে ওরাই মাঠে নামিয়েছে। এখন প্রয়োজন দুজনের ভিতর নিজস্ব যত দালাল আছে তাদের মাধ্যমে সংগঠনের সকলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি। পরবর্তীতে কিছু ফলস্ ফ্ল্যাগ অপারেশনের মাধ্যমে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ বাধানো। আমাদের সেনাবাহিনী কিংবা গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবেনা।

যেভাবে পারেনি পৃথিবীর বাকী মুসলমান দেশ গুলোতে। কিন্তু এদেশের মূর্খ মুসলমানরা ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদেরকে শক্র চিহ্নিত করতে পারলেও বুঝতে পারেনা যে এর চেয়েও অনেক অনেক বেশী ইসলামের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। সৌদী ওয়াহাবী রাজার তৈরী বিভ্রান্ত মুসলমান আগামী মাসের ৫ তারিখে শক্তি প্রর্দশনের মহরায় নামছে হেফাজতে ইসলাম এবং তার প্রতিপক্ষ বর্তমান সরকার। হতে পারে ঐ দিনটিই এ দেশের গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত। আমাদের দেশে ইহুদী-নাছারাদের চর (দালাল) এর সংখ্যা এত বেশী যে এখানে ফলস্ ফ্ল্যাগ অপারেশন চালানো; বাচ্চাদের ঘুড়ি উড়ানোর মতই সহজ কাজ।

আসন্ন গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচার উপায় কি? যে দল ক্ষমতায় থাকে, জাতীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক বিপর্যয়ের জন্য তারাই মূলত দায়ী হয়। এ দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকেই নির্দলীয় দেশপ্রেমিক জনগণ দায়ী করবে। তাই বর্তমান সরকারী দলের যে সব ইস্যুর কারনে দেশ আজ গৃহযুদ্ধের দারপ্রান্তে, সে সব ইস্যুকে তাদের দায়িত্বেই সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। যেমন তত্বাবধায়ক সরকার হবেনা, গৃহযুদ্ধ এড়াতে তা দিতে হবে। তবে নাস্তিকরাও যুদ্ধাপরাধীদের চেয়ে কোন অংশেই কম অপরাধী নয়।

এদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করতে হবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এসব নাস্তিকদের বিদেশী চাপের কারণে ছেড়ে দেয়া যাবেনা। তৃতীয় বিশ্বের ক্ষমতা, কাঠালের আঠা নয়! এটা ফেবিকল সুপার গ্লু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জীবন দিয়েই নিজেকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে পেশী শক্তির চেয়ে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার উপর নির্ভরশীল হওয়াটাই হবে দলীয়ভাবে এবং জাতীয় স্বার্থে বুদ্ধিমানের কাজ। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৬ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।