নেত্রকোনা জেলা শহরে ভর করেছে ডায়রিয়া আতঙ্ক। হাসপাতাল থেকে একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে তার বিপরীতে ভর্তি হন চারজন। এভাবে গত ১৯ দিনে ২৫ আগস্ট থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৪৭ জন। সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৯ জন। এর মধ্যে সকালে নাগড়া এলাকার আফাজ উদ্দিন (৩৫) মারা গেছেন। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাজেন্দ্রপুর গ্রামের সুফিয়া আক্তার (৮০) ও ৯ সেপ্টেম্বর সানকীউড়া গ্রামের সুফিয়া (৭৫) মারা যান। স্থানীয় ডাক্তাররা এখনো ডায়রিয়ার 'কারণ' নির্ণয় করতে পারেননি। তাই রোগীদের মল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সঠিক সংখ্যা আরও বেশি। হাসপাতালে যারা ভর্তি আছেন, এর বাইরেও অনেকে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এলাকাবাসী ও রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, নোংরা পরিবেশের কারণেই ডায়রিয়ার প্রকোপ। শহর এবং হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার দাবি তাদের। গত কয়েক দিন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চকপাড়, সাতপাই, মইনপুর, রাজেন্দ্রপুর, রেল কলোনিসহ পৌর শহরের লোকজন বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। মেডিকেল অফিসার ডা. নিজামুল হাসান জানান, এখনো ডায়রিয়াটা কন্ট্রোল হয়নি। তবে তারা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ডায়রিয়ার কারণ নির্ণয় করতে রোগীদের মল ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শ্রমিক নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধে নেত্রকোনার আবহাওয়া বিষাক্ত হয়ে গেছে। যে কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালের আবাসিক (আরএমও) ডাক্তার নিলোৎপল তালুকদার জানান, পৌরসভার উদ্যোগে শহরে সচেতনতামূলক মাইকিং করলে হয়তো এ অবস্থার উত্তরণ হতো।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত এক বছরে জেলা শহরে মোট ৫ হাজার ৫৭৬ জন রোগী আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে মার্চ এবং জুনে ডায়রিয়াজনিত কারণে আটপাড়া উপজেলার ফারুকের ৮ মাসের শিশু পুত্র অনিক ও আশরাফ নামের (৪৫) বছরের একজন মারা গেছেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।