খুলনা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক অভিযোগ করেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খুলনার জনসভায় মিথ্যাচার করেছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। দৃশ্যমান সেই উন্নয়ন খালেদা জিয়ার চোখে পড়েনি। গতকাল বিকালে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তালুকদার খালেক এসব অভিযোগ করে এ-জাতীয় বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে খালেক বলেন, দেশি-বিদেশি ও রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে খুলনা তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ গোটা দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা গ্রহণের পরে পদ্মার এপারের দৃশ্যপট মুহূর্তের মধ্যে পাল্টে যায়। তিনি পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ, মংলা বন্দর সচলকরণ, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ অর্থ বরাদ্দ, কুয়েটে ৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, খুলনায় গ্যাস সরবরাহের জন্য পাইপলাইনের কাজ সম্পন্নের পথে, খুলনার খালিশপুরে বন্ধ মিল চালু, খুলনায় টেঙ্টাইল পল্লী নির্মাণ, শহীদ শেখ আবু নাসের বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মাণ, সাড়ে ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেঙ্ নির্মাণ, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রক্রিয়াধীন, নার্সর্িং ইনস্টিটিউট, তিনটি মাধ্যমিক স্কুল ও দুটি কলেজ সরকারিকরণ, খুলনার মানুষকে সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ওয়াসা স্থাপন এবং খুলনা সিটি করপোরেশনে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে করপোরেশনের ইতিহাসে সর্বাধিক অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সেতুবন্ধ এবং অর্থনৈতিক চাকা গতিশীল করতে মাওয়ায় পদ্মা সেতুর বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছেন। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের আমলেই খুলনাবাসীর জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নতুন তিনটি থানা স্থাপন করা হয়েছে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।