কল্যাণের কথা বলি, কল্যাণের পথে চলি।
মানুষ মানুষই। তবে কিছু মানুষ জানোয়ারেরও অধম।
গৃহপালিত জানোয়ারগুলো তাদের মালিকের ইচ্ছেমতো কাজ করে, মালিকের নির্দেশ মুতাবিক চলে, মালিক তাদের দ্বারা উপকৃত হয়।
কিন্তু মানুষের মাঝে এমন অনেকে আছেন যারা কোন ভালো কথা শোনেননা, ভালো কথা বলেননা, ভালো কাজ করেননা; কাউকে ভাল কথা বলতে ও ভালো কাজ করতে দেখলে তাও স্হ্য করতে পারেননা।
এরা প্রতিনিয়ত অন্যায় ও অসুস্থ আচরণে লিপ্ত থাকেন; অসুস্থ বুলি আউড়ান; পারস্পরিক সহমর্মিতা ও শুভেচ্ছার পরিবর্তে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ান; বিরুদ্ধ মতকে যুক্তি ও বুদ্ধির পরিবর্তে গালাগালি ও শক্তি দিয়ে মুকাবেলা করতে চান; মানবীয় সুকুমার বৃত্তিগুলো লালন না করে পাশবিক প্রকৃতির প্রকাশ ঘটান।
এরা মূলতঃ জানোয়ার; না বরং তার চেয়েও অধম। মানুষের স্রষ্টা বলেছেন, "একথা অকাট্য সত্য যে, ব্হু জিন এবং মানুষ এমন আছে যাদেরকে আমরা জাহান্নামের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছি। [এটা এজন্য যে] তাদের হৃদয় আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা [সত্য] উপলব্দি করেনা; তাদের চোখ আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা [সত্য] দেখেনা; তাদের কান আছে, কিন্তু তা দিয়ে তারা [সত্য] শোনেনা। তারা হচ্ছে জানোয়ারের ন্যায়, না বরং তার চেয়েও অধম।
এরা চরম গাফলতির মাঝে হারিয়ে গেছে। " [কুরআন; ৭/১৭৯]
মানুষ যে জৈবিক সত্ত্বা দ্বারা চালিত হয়, জানোয়ারের মাঝেও সে একই জৈবিক সত্ত্বা বিদ্যমান। মানুষ জানোয়ার থেকে আলাদা হয়েছে তার উচ্চতর মানবীয় নৈতিক সত্তার - যা জ্ঞান, প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, বিবেক, বিবেচনা, ইত্যাদির সমষ্টি - কারনে। আর তাই, বুদ্ধি, বিবেক, শ্রবন, দৃষ্টি ও উপলব্দির শক্তিকে যারা যথাযথ প্রয়োগ করেনা তাদেরকে কুরআন যথার্থই জানোয়ারেরও অধম বলেছে।
============
এই লিখাটি নীচের লিংকের লিখাটির মন্তব্য হিসেবে লিখা।
কিন্তু মন্তব্য "ডিসেইবল" থাকায় আলাদা পোস্ট দিতে হলো।
একজন মানুষকে জানোয়ার বলার স্পর্ধা কে দেয়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।