সময়... অনাদি... হতে... অনন্তের... পথে...
প্রতি বছর শীতের শুরু থেকে শ্রীমঙ্গলের প্রসিদ্ধ হাইল-হাওড়ে অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়। বৃহত্তর সিলেটের মৎস্য ভান্ডার হিসেবে সুপরিচিত এই সুবিশাল হাইল-হাওড়ের বাইক্কা বিল এখনও অতিথি পাখিদের জলকেলি, উড়াউড়ি আর কিচির মিচির শব্দে মুখরিত। শীতের শুরু থেকে এবার শ্রীমঙ্গলের বাইক্কা বিলের মৎস্য অভয়াশ্রম এলাকায় অতিথি পাখির আগমন উলেখযোগ্য এবং পাখির সংখ্যা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক বেশী।
বেসরকারী সংস্থা মাচ প্রকল্পের স্থানীয় সাইট কো-অর্ডিনেটর মাজহারুল ইসলাম জাহাঙ্গীর জানান, নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হাইল-হাওড়ের মৎস্য অভয়াশ্রম এলাকায় অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়। হাওড়ের বাইক্কা বিলের প্রায় ১০০শ ৫০ একরের চাপড়া, মাগুড়া ও জাদুরীয়া বিল এখনও অতিথি পাখিদের সরব কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
বাইক্কা বিল এলকায় পাখি শিকারী ও মৎস্য শিকারী না থাকার কারনে অতিথি পাখিরা এখানে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে।
অতিথি পাখির আগমন উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত একটি পাখি বিশেষজ্ঞ দল শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ে অবস্থিত বাইক্কা বিল পরিদর্শন করেছেন। শ্রীমঙ্গলে ৪ দিন অবস্থানকালে বিশেষজ্ঞ দলটি বাইক্কা বিলে পাখি দর্শন, গণনা ও বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পাখি বিশেষজ্ঞ জন ওমেলী, সুসান, এনথনি কেভালারো ও বাংলাদেশের পাখি বিশেষজ্ঞ ডাঃ রোনাল্ড হালদার।
প্রতিনিধি দলটি বাইক্কা বিল পরিদর্শন করে প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের প্রোপটে বাইক্কা বিল একটি আন্তর্জাতিক মানের পাখির অভয়ারন্য বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা ইউরোপ থেকে আগত ‘লেসার কেসট্রেল’ এবং তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে আসা ‘হজসন বুশচেট’ নামের পাখি দেখে অভিভূত হন।
কারন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এ দু’প্রজাতির পাখির বাইক্কা বিলে উপস্থিতি রেকর্ড করেন তারা।
জানা যায়, শীতের শুরুতেই এখানে আগত পাখির সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। প্রতিদিনই ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি আসছে এখানে। এদের মধ্যে রয়েছে মধ্য এশিয়া থেকে আগত ভূতি হাঁস, গুটি ঈগল, সাইবেরিয়া থেকে আগত গিরিয়া হাঁস আর ল্যাঞ্জা হাঁস।
এছাড়াও এসেছে পৃথিবীব্যাপি বিপন্ন পাখি পালাসি কুড়া ঈগল। আরোও রয়েছে বালি হাঁস, রাজ সরালি, পান ভুলানি, কাস্তেচড়া, পান কৌরি, রাঙ্গাবক, বেগুনি কালেম ও মেটে মাথা টিটি প্রভৃতি পাখি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।