বৃহস্পতিবার বিকেলে মগবাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ে তিনি একথা বলেন।
মিজান বলেন, হরতাল একটি বৈধ ও কার্যকর রাজনৈতিক কর্মসূচি যা বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু বর্তমানে বিরোধীদল কর্তৃক হরতালের যথেচ্ছা ব্যবহারের ফলে এর উপযোগিতা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।
সভা-সমাবেশের অধিকার জীবন রক্ষার অধিকার চেয়ে বড় হতে পারে না মন্তব্য করে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, “সহিংসতার কারণে যদি সরকার সভা-সমাবেশের অধিকার সাময়িকভাবে স্থগিত করে তবে তা যৌক্তিক ও সাংবিধানিক। ”
গত ১৯ মে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর রাজধানীতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের কথা জানান।
অবশ্য একই দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্যাখায় বলা হয়, সাধারণ সভা-সমাবেশের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি।
তবে এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত রোববার হরতাল পালন করে বিএনপি।
সর্বশেষ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নাশকতা-নৈরাজ্য হবে না এমন প্রতিশ্রুতি মিললে সমাবেশে কোনো বাধা নেই।
কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “কমিশন মানবাধিকারের বিষয় পর্যবেক্ষণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ করে মাত্র। তবে পর্যাপ্ত জনবল ও অর্থাভাবে একাজটিও অনেক সময় যথাসময়ে কমিশন করতে পারছে না।
এ সময় কমিশনের সচিব তাজুল ইসলাম ও পরিচালক হুমায়ন কবির উপস্থিত ছিলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।