2001 সালের 1লা অক্টোবর এর নির্বাচনের ফলাফল আওয়ামী লীগ মানতেই পারেনি। তারা ধারণাও করতে পারেনি যে ক্ষমতার মসনদ থেকে তারা এমন বেইজ্জতিভাবে সরে যাবে। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা 1লা অক্টোবর রাত 8.00 টায় টিভি সাক্ষাৎকারে বললেন "নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। " কিন্তু ফলাফল যতই প্রকাশ হতে থাকল- ততই তিনি হতাশ হতে থাকেন। 2রা অক্টোবর বিকেলে শেখ হাসিনা হোটেল শেরাটনে সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন "নির্বাচনে স্থুল কারচুপি হয়েছে"।
এ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ জানালেন। ঘোষণা করলেন "10ই অক্টোবরের মধ্যে এ নির্বাচন বাতিল করা না হলে তিনি 10 অক্টোবর থেকে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করবেন। " তিনি ও তার দল শপথও নেবে না এবং সংসদেও যাবে না। " পর্দার অন্তরালে তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে নির্বাচন বাতিল করার চেষ্টা করতে থাকেন। এ দিকে আওয়ামী স্পীকার আব্দুল হামিদ নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পড়াতে গড়িমসি করতে থাকেন।
যে কারণে সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে দেরী হয় এবং সরকার গঠন করতে চারদলীয় জোটকে 10দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। পৃথিবীর সকল পর্যবেক্ষক, দাতা গোষ্ঠী, দূতাবাস সমূহ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে মর্মে ঘোষণা করার পরও শেখ হাসিনা 4ঠা অক্টোবর আওয়ামী জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভা ডেকে নির্বাচন বাতিলের আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।
শেষ পর্যন্ত 10 অক্টোবর চারদলীয় জোটের সরকার গঠিত হলে আওয়ামী বাকশালী জোট সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তারা তাদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দিন এবং তাদের মনোনীত বলে গালি দিতে থাকে। 23শে অক্টোবর দলীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডেকে তারা সিদ্ধান্ত নেয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যগণ শপথ নেবে তবে সংসদে যাবে না এবং তখন থেকেই তারা সরকার পতনের আন্দোলনে নামবে।
>>চলছে চলবে>>
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।