আকাশ ভরা স্বপ্ন সাথে
সবচেয়ে পুরাতন যে বন্ধুর কথা মনে পড়ছে, তার চোখে ছিল ভারী কাঁচের চশমা,নাম ছিল শিমুল। তখন ক্লাস টু তে পড়তাম। থ্রী তে উঠার পর তার টি.এন.ও বাবার বদলীর সুবাদে প্রথম বন্ধু বিয়গ। ফোর থেকে ফাইভে উঠার পর রাজনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়লো শুভ্র। ফাইভ থেকে সিক্সে উঠার পর ছাগলনাইয়ায় চলে গেল ইয়াছির আরাফাত, তার টি.এন.ও বাবার বদলীর কারনে।
সিক্স থেকে সেভেনে উঠার পর হারালাম দারগার ছেলে বন্ধু এ.এইচ.এম শফিকুল ইসলাম সোহাগ কে,যে সব সময় তার লম্বা নামের জন্য গর্ব করতো। ক্লাস এইটে উঠার পর ডাক্তার বাবার চাকরির কারনে ফেঞ্চুগঞ্জে চলে গেল বন্ধু তাসনীম আহমদ রাজু। আর যখন এইট থেকে নাইনে উঠলাম,তখন সবাইকে ছেড়ে আমাকেও পরিবারের সাথে স্থায়ী ভাবে আসতে হল দাদুর বাড়িতে। ফেলে আসতে হল জীবনের প্রথম তেরটি বছর কাটানো সেই প্রিয় এলাকা এবং এরই সাথে বন্ধু টিটু,মিঠু,বাবলু,সাঈদ,পিপলু, কুমিল্লার সফিক,সবুজ সহ অনেককে।
ক্লাস টেনে উঠার পর ব্লাড ক্যান্সারের ভয়াল থাবায় চিরতরে হারালাম বন্ধু লিপিকাকে।
এস.এস.সি পাশ করার পর বন্ধু পংকজ ভর্তি হল দূরের সিলেট এম.সি কলেজে, আর দূর্ভাগ্যের পিছুটানে ফেল করলো বন্ধু সঞ্জয়। আর রাজনগর কলেজে রেখে আসতে হল বন্ধু অজন্তা,মুন, অলকা,জাবেদ,আতিক,জোসেফ সহ অনেককে।
এইচ.এস.সি পর আজ আমি দেশের এক প্রান্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে; কিন্তু যতবার সুযোগ পেয়েছি, খুজে বের করেত চেষ্টা করেছি পুরানো সব বন্ধুদের।
ভর্তি পরীক্ষার সময় কাকতালীয় ভাবে দেখা হয়েছিল তাসনীমের সাথে;মেডিক্যালে চান্স না পেয়ে সে ছিল তখন বিধ্বস্ত। বন্ধু সাঈদ শুনেছি সৌদি আরবে, রিংকু কুয়েতে, বাবলু ও নাকি মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশে।
আর জীবেনর প্রয়োজনে সোহেলা, সুমি, চেমন সহ অনেকে স্বামী সহ লন্ডনে।
আজ যোগাযোগের অনেক মাধ্যম থাকলেও নানান সীমাবদ্ধতার কারনে অনেকের সাথে যোগাযোগ নেই। কিন্তু ছোট্ট বেলার সেই অস্পষ্ট মুখ গুলো এখনো অবসরের অধিকাংশ সময় দখল করে নেয়।
সময় বয়ে যায়....., বন্ধু,তোমরা কোথায়......????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।