? ? ?
সৃজনশীলতা আপনার জন্মগত প্রাপ্তি-কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি সুপ্ত থাকে। ব্যক্তিগত উন্নতি সাধনের জন্য এখানে কতগুলো পন্থা বলা হলো। যার মাধ্যমে আপনার সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করবে।
1. নিজের দিকে তাকান: ভাল ঘুমানর/ভাল খান/শানত পরিবেশে সময় যাপন করুন। আপনি যা উপভোগ করেন তা করুন, এবং তা প্রায়ই করুন।
পারিপাশ্বর্িক অবস্থা ভাল না হলে আপনার সৃজনশীলতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
2. ব্যতিক্রম কিছু করুন: গৎবাঁধা ভাবে আমরা কাজ করি - একই রাসতায় প্রতিদিন অফিস যাই, একই দৈনিক পত্রিকা প্রতিদিন পড়ি, টিভি-তে একই চ্যানেলের অনুষ্ঠান নিয়মিত দেখি ইত্যাদি। নিয়মিত রুটিন এর যে কোন একটিতে পরিবর্তন আনুন। সম্ভব হলে ভিন্ন রাসতা দিয়ে অফিস যান, ভিন্ন একটি পত্রিকা পড়ুন অথাব নতুন কোন চ্যানেল এ অণুষ্ঠান দেখুন যেটা আগে কখনও দেখেননি।
3. আপনার চারপাশ সম্পর্কে উৎসাহী হউন: এটা আশ্চর্যজনক যে আমরা আমাদের চারপাশ সম্পর্কে বেশ উদাসীন।
এক কাজ করুন, একজন পর্যটক যেভাবে আপনার এলাকাটাকে দেখবে সেভাবে দেকার চেষ্টা করুন। বেরিয়ে পড়ুন একদিন আপনার নিজ একলাটাকে ভাল করে ঘুড়ে দেখার জন্য। প্রয়োজনে ডায়রি লিখুন।
4. নতুন বিষয়ে যে কোন একটি বই পড়ুন: এবং দেখুন এর মধ্যে আকর্ষণীয় কিছু পান কি না। আসলে কোন কিছুই বিরক্তকর না যদি সেটাকে উৎসাহী হয়ে গ্রহণ করা যা, যদি তার মধ্য থেকে আপনার কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে।
আপনি জানেন আপনি কি পছন্দ করেন-অথবা আপনি পছন্দ করেন আপনি যা জানেন?
5. বাচ্চাদের মতো কিছু একটা করুন: ওদের কিছু করার জন্য কোন কারণ প্রয়োজন নেই। তাই তারা স্বাধীনভাবে অনেককিছু ভাবতে এবং করতে পারে। রং, খাতা, পেন্সিল নিয়ে বসে যান। এঁকে ফেলুন বিদঘুটে কোন জানুয়ার, অথবা অন্য যে কোন কিছু। অর্থহীন যে কোন কিছুই করতে পারেন এভাবে।
6. নিজের জন্য নিরিবিলি পরিবেশ তৈরি করুন: কোন কিছু করার জন্য নয়, আপনার মনকে শানত এবং পরিষ্কার করার জন্য। আমরা মেশিন নয়। রুটিন মাফিক কাজ এবং সারাক্ষণ অন্য কাররো সংস্পর্শ আমাদের চিনতা চেতনায় জড়তা তৈরি করে। অস্থির হয়ে পড়ে মন। তাই প্রয়োজন একাকীত্ব এবং শানত নিরিবিলি পরিবেশের।
সাকালে কাজ করার পর দুপুর বেলা আইনস্টাইন নৌকা ভ্রমণে বের হতেন। আমাদের সবার সে সুযোগ নেই। কিন্তু আমরা নিজেদের মতো করে তা করতে পারি।
7. "কি হতো যদি?" : শুধুই আনন্দের জন্য, দেখুন উত্তরটি আপনাকে কোথায় নিয়ে যায়। সেটা দিয়ে একটি গল্প হতে পারে, পারে ঘটনা তৈরি করতে।
আপনার কল্পনা শক্তির উপর নির্ভর করে উত্তর তৈরি করতে থাকুন।
8. অনুমান করুন: প্রয়োজনের খাতিরে আমাদেরকে সব সময়ই কিছু না কিছু অনুমান করতে হয়। এবার তা নয়। সবকিছু নিয়ে অনুমান করুন। আপনার/সঙ্গীর ভবিষ্যৎ, অতীত ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
কর্মক্ষেতে এক সহকর্মীকে আপনি পছন্দ করেন না। তার সাথে সাধারণত কথাও বলেন না। তার সাথে হঠাৎ উল্টো ব্যবহার শুরু করলে কি হবে?
9. আপনার জীবনের চিত্রনাট্য তৈরি করুন: ধরুন আপনার জীবন নিয়ে ছবি তৈরি করাবেন। লিখে ফেলুন আপনার জীবন কাহিনী অথবা চিত্রনাট্য তৈরি করুন।
10. অপরিচিত লোকের সাথে কথা বলুন: বিভিন্ন পেশা শ্রেণী-র মানুষের সাথে কথা বলুন।
তাদের জীবনের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর কথা ভাবুন। তারা কিভাবে চলে, জীবন ধারণ করে ইত্যাদি কল্পনা করুন। নিজেকে তাদের একজন বানাতে আপনার কি কি প্রয়োজন তা চিন্তা করুন । সব সময় সাথে একটি খাতা-কলম রাখুন নোটা করার জন্য।
যে কোন একটা বা একাধিক পদ্ধতি চেষ্টা করুন।
দেখবেন আপনার সৃজনশীলতা বেড়ে গেছে অনেকটুকু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।