মনের এলোমেলো কথাগুলোর সুসজ্জিত রূপ
কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা। নিচের ঘটনা দুটি দুজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার খাতা থেকে চয়ন করা হয়েছে।
ঘটনা ১
বাংলা পরিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছিল ‘আমার প্রিয় শিক্ষক’ সম্পর্কে রচনা লিখতে। এক শিক্ষার্থীর খাতায় এ সম্পর্কে লেখা নিচের রচনাটি হুবহু তুলে দিলাম
আমার প্রিয় শিক্ষক
সূচনাঃ আমার একজন শিক্ষক আছেন। তিনি প্রতিদিন আমাকে পড়াতে আসেন আবার আমাকে পড়িয়ে চলে যান।
বর্ণনাঃ আমার একজন প্রিয় শিক্ষক আছেন। তিনি প্রতিদিন বিকাল ৩ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আমাকে পড়ান। সে অসুস্থ থাকলে আমি তার বাড়িতে পড়তে যাই, আর যদি সে সুস্থ থাকে তাহলে সে আমাকে পড়াতে আসেন।
অপকারিতাঃ আমার জন্য এখন ২টি শিক্ষক রেখেছেন আমার মা। কারণ আমার পড়াশুনা ভালোভাবে হয় না এজন্য আমার মা রেখেছেন।
উপকারিতাঃ আমার দুটি শিক্ষক আছেন একজনের বাসায় পড়তে যেতে হয় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা। তিনি দুপুর ১২টা পর্যন্ত পড়ান।
উপসংহারঃ আমার প্রিয় দুটি শিক্ষকের নাম হচ্ছেঃ ১ম শিক্ষকের নাম হেমায়েতউদ্দিন আর ২য় শিক্ষকের নাম প্রভু। এরাই আমার প্রিয় শিক্ষক।
ঘটনা ২
রচনামূলক একটি প্রশ্ন ছিল “বিদায় হজে মহানবী (স) ক্রীতদাস-ক্রীতদাসীদের সম্পর্কে কি বলেছেন?”
এই প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায়ে আছে “কোন ক্রীতদাস যদি নিজ যোগ্যতায় আমির হয় তখন তার বংশ মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না”
এক শিক্ষার্থী এই অংশটুকু লিখেছে এইরুপঃ “কোন ক্রীতদাস যদি নিজ যোগ্যতায় আমির হয় তখন তাকে বংশ বিস্তারের কথা বলবে না।
’’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।