আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজু দিবসের স্লোগান - শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

সময়টা ছিল 13ই মার্চ 1992 সাল। বিবাদমান সন্ত্রাসী দুই ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে মিছিল করতে গিয়ে রাজু নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলো। সেই থেকে ক্যাম্পাসসন্ত্রাস শুধু নয়, সার্বজনীন সন্ত্রাস বিরোধীতার প্রতীক হয়ে উঠেছে রাজু। তার মৃতু্য দিবসে আলোচনা সভা হয়। সেখানে রাজু কখনও প্রধান অতিথি হিসাবে থাকে না।

বক্তৃতা করে না। মৃত মানুষদের পৃথিবীতে ভ্রমণের উপরে ইশ্বরের বিধিনিষেধ আছে। রাজুকে দেখা যেত না কোন বছরের অনুষ্ঠানে। তবে যুগ পালটেছে। এবার রাজু আসবে বলে অনুমতি পেয়েছে।

13ই মার্চ রাজু এবার এসেছে প্রধান অতিথি হিসেবে। ক্যাম্পাসসন্ত্রাস বন্ধের জন্য দুই বিবাদমান দলের মধ্যে গিয়ে যারা মিছিল করছিল "শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না " বলে তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র মঈন হোসেন রাজু। সন্ত্রাসীদের সহ্য হল না। রাজুকে নিঁখূত নিশানায় কপালের মাঝ বরাবর পড়িয়ে দিল বুলেটের উল্কি। কপালে উল্কি নিয়ে রাজু বাংলাদেশের সমস্ত সন্ত্রাসের প্রতিবাদের চরিত্র, দৃপ্ত স্লোগান! আজকের দিনে তার প্রতি লাল সালাম।

রাজুর স্মরণে টিএসসিতে স্থাপিত ভাষ্কর্যটি উদ্বোধন করা হয় 17ই সেপ্টেম্বর, 1997 সালে । নিমর্াণে জড়িত শিল্পীর হলেন ভাস্বর শ্যামল চৌধুরী ও সহযোগী গোপাল পাল। নির্মাণ ও স্থাপনের অর্থায়নে ছিলেন - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযরে প্রাক্তন শিক্ষক আতাউদ্দিন খান (আতা খান) ও মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি, লায়ন নজরুল ইসলাম খান বাদল। ভাস্কর্যটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.