জ্ঞানের সাগরের এক ফোঁটা জল এখনো গ্রহণ করতে পারিনি। তবুও নিজেকে সবজান্তা বলি। সকলকে কিছু জানাতে পারার জন্যই লিখে থাকি।
মীনা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত একটি জনপ্রিয় টিভি কার্টুন ধারাবাহিক ও কমিক বই। সেই সাথে এই কার্টুন ধারাবাহিকের মূল চরিত্র বাংলা ভাষায় নির্মিত কার্টুনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র।
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক একটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ইউনিসেফের সহায়তায় এই কার্টুন ধারাবাহিকটি নির্মিত হয়ে থাকে। যেসকল সচেতনতা মীনা কার্টুনের মাধ্যমে তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে তার মধ্যে আছে,
(১)বাল্যবিবাহ বন্ধ করা,
(২) স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নির্মাণ ও ব্যবহারে উৎসাহিত করা,
(৩)মেয়েদের স্কুলে পাঠানো,
(৪)কমবয়সী মেয়েদের বিয়ে থেকে স্কুলকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া,
(৫)যৌতুক বন্ধ করা,
(৬) ছেলে-মেয়ে সমান পুষ্টি ও সুযোগ-সুবিধার দাবিদার, প্রয়োজনীয় ও সমঅধিকার পেলে মেয়েরাও অনেক কিছু হতে পারে তা বোঝানো,
(৭)শহরের বাসায় বাসায় কাজে সাহায্য করে এমন মেয়েদের প্রতি সুবিচার ও তাঁদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
চরিত্রসমুহ
মীনা : কেন্দ্রীয় চরিত্র।
রাজু : মীনার পিঠেপিঠি ভাই।
মিঠু : মীনার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ও তার পোষা টিয়া।
রাণী : মীনা-রাজুর ছোট্ট বোন।
দাদী : মীনা-রাজুর বৃদ্ধা দাদী।
বাবা-মা : মীনা-রাজুর বাবা-মা।
লালী : মীনাদের গরু।
মুনমুন : মীনাদের ছাগল।
মোড়ল : গ্রামের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।
দোকানদার : সামন্ততান্ত্রিক, অত্যাচারী, শঠ চরিত্রের লোক। বাজারে তার দোকান আছে এবং তার ছেলে শহর থেকে ডাক্তারি পাশ করে এসেছে। কার্টুন ধারাবাহিকগুলোতে তিনিই মূলত খলনায়ক।
রিতা : মীনার স্কুলের উপরের শ্রেণীতে পাঠরত একজন আপু।
পরবর্তীকালে তাঁর সাথে দোকানদারের ছেলের বিয়ে হয়।
দিপু : মীনার একজন দুষ্টু বন্ধু। বিভিন্ন সময়ে দিপুকে সচেতন করতে সহায়তা করেছে মীনার টিয়া মিঠু।
স্কুলের বড় আপা বা শিক্ষিকা : ইনি মীনাকে বিভিন্ন সমস্যায় সময় ও বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধারাবাহিকে বিভিন্ন চরিত্রের আগমন ঘটেছে।
ফুফু আম্মা: মীনা-রাজুর বাবার বড় বোন। বদমেজাজি, নিষ্ঠুর প্রকৃতির মহিলা।
কেন্দ্রীয় চরিত্র পরিচিতি
মীনা
মীনা ৯ বছর বয়সী একটি উচ্ছল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ে, যে তাঁর গ্রামের বিভিন্ন সুপরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে।
মীনা ধারাবাহিকের বিভিন্ন পর্বগুলোর মধ্যে আছে:
**মীনার তিনটি ইচ্ছা
**মেয়েদের যত্ন নাও
**জীবন বাঁচানো
**মীনা এখন শহরে
**যৌতুক বন্ধ কর
**গুনতে শেখা
সূচনা সঙ্গীত হিসেবে ব্যাবহার হয় নিম্নোক্ত গানটি
আমি বাবা-মায়ের শত আদরের মেয়ে
পড়ালেখা শিখে যাই যে এগিয়ে
আমারোতো সাধ আছে, আছে অভিলাষা
ঘরে বেঁধে রেখো না, নিয়ে যাও এগিয়ে।
সমাজে গণজাগরণ সৃষ্টিতে মীনা কার্টুনটি নানা ভাবে ভুমিকা রেখে চলেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।