আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমলা (উৎসর্গ ধু.গো)

তবুও জীবন যাচ্ছে কেটে জীবনের নিয়মে।

সম্মানীত ব্লগার ধু.গোর কমলার শাড়ি নিয়ে টানাটানি দেখে ছোটবেলার সত্যিকার কমলার কথা মনে হয়ে গেলো। বাড়িতে অনেকগুলো কমলার গাছ ছিল। সিজনে বাজার থেকে এখনকার মতো কমলা কিনে খাই নাই। কমলার গাছের অনেক গুন।

কারো পেটে সমস্যা হলে কমলার পাতা হাত দিয়ে ডলে নাকের কাছে রাখলে বমি ভাব মোটামোটি ভালো হয়ে যায়। কোথাও কাটা ফুটলে কমলা গাছের কাটা দিয়ে কাটা তোলা যায় (কাটা দিয়ে কাটা তোলা)। ছোট কমলালেবু লবন,মরিচ দিয়ে খেতে। আর বেশি উপকারিতা বলবো না। আমাদের গাছের কমলার রঙ বাজারে কিনতে পাওয়া কমলার মতো রঙ হতো না।

সাধারনত সবুজ হতো। কমলা পাকলে কিছু বৈশিষ্ট দেখে বুঝা যেতো। বিশেষ পদ্ধতিতে কমলা পাড়া হতো যাতে নীচে পড়ে নষ্ট না হয়ে যায়। বিভিন্ন গাছ থেকে বিভিন্ন সময় পাড়া হতো। প্রায় সপ্তাহ লেগে যেতো সব গাছ সাবাড় করতে।

সময়ের স্রোতে আমরা হলাম হোস্টেলবাসি। তারপর ও আমাদের জন্য 2/1টা নির্দিষ্ট গাছ রেখে দেওয়া হতো যাতে আমরা ছুটিতে এসে ইচ্ছে মতো খেতে পারি। এক মামা আছেন। উনার কমলার বাগান ছিল। এখন ও আছে কিছু।

মাঝে মাঝে পেপারে দেখি । আমরা ছিলাম উনার সিজনেবল অথিতি। যতো খুশি খাওয়া যেতো। তবে শর্ত ছিল একটাই, কমলার বীচি রেখে যেতে হবে। এখন সবার টাকা হয়েছে।

তাই আর কেউ গাছ লাগায় না। গতবছর দেশে গিয়ে দেখলাম মাএ 10/12 টা কমলার গাছ। বাকীগুলো নাকি মরে গেছে। এখানে ও ফলের মধ্যে কমলাটাই বেশি খাওয়া হয়। প্রত্যেকদিন 5/6 টা আর টেবিলে বসলে 12/14টা একসাথে সাবাড়।

দামটা হাতের নাগালে(ক্লোজআপহাসি)। 2/3 কিলো এক ইউরো। তাই যতো খুশি খাও। তবে মাঝে মধ্যে কমলা বলে মালটা দিয়ে দেয়। নিজে কখন ও ঠগা খাইনি এখন পর্যন্ত।

দুর থেকে দেখেই বলে দিতে পারি কমলা ও মালটার পার্থক্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।