সবকিছুই তো থাকছে............... তবে অবশ্যই পবিত্রতার স্বার্থে এই ব্লগ একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও তাদের উত্তরসুরী-সমর্থকদের জন্য নিষিদ্ধ.......এটি শুধুতাদের জন্যই উন্মুক্ত যারা সুস্থ চিন্তার অধিকারী মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ......
বাংলাদেশ নামক দেশটি পৃথিবীর মানচিত্রে ঠাই করে নিয়েছিলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই। আন্দোলন.. সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে লাল সবুজের পতাকা উড্ডীন হয়েছিলো বিশ্বপটে। গণতন্ত্র নামক সোনার হরিনটিকে অসিহষ্ণু ও অযাচিত সেনা শাসনের খপপড় থেকে মুক্ত করা হয়েছিলো রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাতেই।
মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের সংগ্রামের একটি পর্যায়ে সেনাবাহিনীও যুক্ত হয়েছিলো নিজস্ব আঙ্গিকে। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধ কালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে থাকা বাঙ্গালী সেনারা রনাঙ্গনে অবিস্মরনীয় ভুমিকা রেখেছে।
যাই হোক সময়ের পরিক্রমায় 21 বছরের দু:সহ সামরিক শাসনের অপরিহার্য ফল হলো রাজনৈতিক..অর্থনৈতিক ..সামাজিক ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে দুবৃত্তায়ন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে রাজনীতি আর রাজনীতিকদের নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়নি। দুর্বৃত্তরা উঠে এসেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকের ভুমিকায়। ধর্ম, বিশেষ করে ইসলাম চলে গেছে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী তথা প্রকৃত ইসলাম বিরোধী শক্তির নিয়ন্ত্রনে। এটি যেমন সত্য তেমনি সত্য এই প্রতিকূল পরিবেশেও প্রকৃত রাজনীতিকরা আছেন ও কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে।
প্রসঙ্গটি এসেছে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনুসের এএফপিকে দেয়া সাক্ষাতকার এবং তার প্রতিবাদ করে দেয়া আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও বিএনপি মহাসচিবে দেয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে।
ইউনূস বলেছেন- বাংলাদেশের রাজনীতিকরা সব কিছু করে অর্থের জন্য..আদর্শের কোন ব্যাপার নেই। ঘুষ ছাড়া এখানে কিছু হয়না।
জলিল বলেছেন- ঢালাও ভাবে এ ধরনের বক্তব্য গ্রহনযোগ্য নয়। গ্রামীণ ব্যাংক কিংবা গ্রামীন ফোনের লাইসেনস পেতে কি ঘুষ দিতে হয়েছিলো ?
ভুইয়া বলেছেন- বক্তব্যটি শুধু অগ্রহনযোগ্যই নয় দু"খজনকও বটে।
বিশ্বের সব দেশে সব শ্রেনী পেশার মতো রাজনীতিতেও ভালো - মন্দ দুটোই আছে। তাই বলে ঢালাও ওই মন্তব্যের সামগ্রিক সত্যতা নেই।
বিশ্লেষন করলে দেখা যায় তিনটি বক্তব্যই সঠিক। এদেশে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না এটি অত্যন্ত সত্য। অবশ্য কথাটি যদি সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে বলা হয় তখনই এটি শতভাগ সত্রি।
রাজনীতিকদের মধ্যে আদর্শ নেই এটিও সত্যি -- না হলে মান্নান ভুইয়ার মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা কি করে মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার দলকে যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগীতে পরিনত করে ?
কথাটি সত্যি বলেই মুক্তিযুদ্ধের নেৃতত্বদানকারী আওয়ামী লীগ ফতোয়ার মতো ধর্মও মানবতাবিরোধী বিষয়কে স্বীকৃতি দিয়ে খেলাফত মজলিসের মতো টোকাই পার্টির সাথে চুক্তি করে।
আবার জলিল ও ভুইয়া যে বলেছেন - ঢালাও ভাবে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা যাবেনা সেটিও সত্যি। কারন আওয়ামী লীগের চুক্তির সমালোচক দলটির ভিতরেই বেশি রয়েছে। আবার যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের কারনে বিএনপির বিপর্যয়ে ব্যথিত হয়েছে বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী।
মনে রাখতে হবে বাংলা..বাঙ্গালী ও বাংলাদেশের সব ভালো অর্জনগুলো এসেছে রাজনীতিকদের হাত ধরেই।
তাই রাজনীতির বিরুদ্ধে নয় .. বলতে হবে দুবৃত্তদের বিরুদ্ধে এবং অবশ্যই সুনির্দিষ্টভাবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।