বাংলাদেশের গানের পাইরেসি রোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। গানপ্রেমীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে পাইরেসি রোধে সরকার, শিল্পী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আরও উদ্যোগী হতে হবে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে সংগীত শিল্পীরা এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশের সংগীতে পাইরেসি : সমস্যা ও সমাধান’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী, সুরকার ও এলসিএস গিল্ডের সভাপতি আলাউদ্দিন আলী, বামবা’র সভাপতি ও ব্যান্ড শিল্পী হামিন আহমেদ, সহ-সভাপতি ফুয়াদ নাসের বাবু, কপিরাইট বিশেষজ্ঞ মনজুরুর রহমান, কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরামের চেয়ারম্যান কাজী জাহিন হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহ, বামবা’র সাবেক সভাপতি ও ব্যান্ড শিল্পী মাকসুদুল হক।
আলাউদ্দিন আলী বলেন,‘শিল্পীদের কপিরাইট অধিকার আদায়ে শিল্পীদেরই সবার আগে উদ্যোগী হতে হবে। নিজের অধিকার আদায়ে নিজেদেরই কাজ করতে হবে। ’ হামিন আহমেদ বলেন, ‘পাইরেসি বন্ধে যে আইন আছে সে আইনের সঠিক প্রয়োগ দরকার।
আমাদের যে অধিকার আছে সে অধিকার আমাদের দিতে হবে। ’ ফুয়াদ নাসের বাবু বলেন, ‘আমাদের দেশের মায়েরা পুষ্টিহীন থেকেও সুস্থ্য বাচ্চা জন্ম দিচ্ছেন। আমাদের সংগীতের অবস্থাও তাই। পাইরেসি হবে জেনেও আমরা সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। নতুন নতুন গানের অ্যালবাম প্রকাশ করছি।
’
কপিরাইট বিশেষজ্ঞ মনজুরুর রহমান বলেন, ‘শুধু গানে নয়। পাইরেসি চলছে চারদিকে। পাইরেসি বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে কাজ চলছে। কিন্তু আমরা সুফল পাচ্ছি না। কারণ আমরা আমাদের কপিরাইট নিয়ে সচেতন নই।
৫০ টাকা দিয়ে আমরা পেনড্রাইভ ভরে গান সংগ্রহ করছি, অন্যজনকে দিচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা গানের পাইরেসির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছি। কিন্তু সহজ বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি না। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।