উদ্দেশ্যমূলক বিজ্ঞাপনের উত্তর অনেকভাবে দেয়া যেতে পারে । যেমন একটি হেলথ ড্রিঙ্ক এর বিশেষ বিজ্ঞাপনের উত্তরে বলা যায় –
(এক)
(পিতা পুত্রের কথোপকথন )
ছেলে - বাবা, ২,৭৫১ জন ছেলেকে সমান দুই ভাবে ভাগ করবো কি ভাবে ?
বাবা- করা যাবে না, তাহলে একজন কাটা পড়ে মারা যাবে ।
ছেলে - তাহলে শুরুতেই মিথ্যা কথা বলেছে । আরো বলেছে --- এই এই সব হবে ? তাহলে ?
বাবা- সবই যখন মিথ্যা তখন কেবল ২,৭৫১ কে সমান দুই ভাগ করার চেষ্টা করে কি হবে ?
(দুই)
(দুই বন্ধুর কথোপকথন )
- আরে, কেমন আছেন ? আপনার ছেলে, যাকে আমরা বাটকু বলতাম সে এখন কোথায় আছে ?
- ও তো নাসায় চাকরি করছে । আপনার ছেলে, যে হেলথ ড্রিঙ্ক খেয়ে খুব লম্বা হয়েছিল, সে কি চাকরী করছে ?
- চাকরী না, স্বাধীন কাজ ।
ওরা দশ জন সবাই সাড়ে ছয় ফুটের উপরে, সবাই একটা দলে আছে ।
- লেখা পড়া ?
- কেউ স্কুলের গন্ডি পার হতে পারে নি । এখন ওয়াগন ভাঙ্গার কাজ করে ।
- কেন ?
- মন সরে গিয়েছিল । পাড়ার মেয়েদের শান্তিতে থাকতে দিতো না ।
তারপর নানা জায়গায় যেতো, অসুখে পড়লো । পুলিশের হাতে পড়ে জেলও খেটেছে।
- কিন্তু কেন ?
- আরে, অসময়ে বড় হলে সব কিছুই তো বড় হয়, তাই নাঃ ? তাই বলে স্কুলে পড়া ছেলেকে তো আর বিয়ে করানো যায় না ?
(তিন)
(ছাত্র শিক্ষকের কথোপকথন )
(করিম সার) – সব বাটকুর দল । লম্বা হতে ইচ্ছা করে না ?
(সকল ছাত্র) – হ্যা স্যার, করে ।
(করিম সার) - পাঁচ মাস আগে তোমাদের বলেছিলাম রাস্তার কোনের করিম স্টোর থেকে হেলথ ড্রিঙ্ক কিনে নিতে ।
। কি, কিনেছিলে ?
(সকল ছাত্র) – হ্যা স্যার, কিনেছি ।
(করিম সার) – তাহলে লম্বা হচ্ছ না কেন ?
(একজন ছাত্র) – হয়েছি ।
(করিম সার) – কই, দেখে তো মনে হয় না । কি করে বুঝলে ?
(একজন ছাত্র) – মেপে দেখেছি স্যার ।
( বি। দ্র ঃ এই হেলথ ড্রিঙ্কটি তখনও “হরিহর জয়ধর” পুরস্কার লাভ করে নি ) ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।