বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না।
প্রাচীন মিসরীয়দের একমাত্র পোস্টম্যান ছিল কবুতর। হাজার কিলোমিটার দূরে বার্তা পেঁৗছে আবার ঠিকঠাক ফিরে আসতো বাসায়। কিন' তারা ঘর চিনতো কীভাবে? প্রশ্নটা অনেক পুরনো। একটা উত্তরও বেরিয়েছিল।
তা হচ্ছে কবুতরের শরীরেই আছে জৈবিক কম্পাস ও ঘড়ি। আর পাখিটার নাকই ছিল দিক নির্দেশক। কিন' আসল সমীকরণটা আরো জটিল। সম্প্রতি এ নিয়ে ব্রিটেনে একটি বড় মাপের গবেষণা হয়েছে। বেরিয়েছে কবুতরসহ অন্যান্য পাখির পথ চেনার টপ-সিক্রেট।
পথ চিনতে কবুতর প্রথমত সড়ক ও হাইওয়ে সনাক্ত করে। পথে বড় ধরনের মোড় থাকলে তা সহজেই বুঝতে পারে। পথের ধরন দেখেই কবুতর বুঝে নেয় আর কতো মাইল তাকে উড়তে হবে। আর সঙ্গী থাকলেতো কথাই নেই। পথ চেনাটা দ্বিগুণ সহজ হবে।
সঙ্গীর দেয়া সঙ্কেত বুঝে শর্টকাট রাসত্দা খুঁজে নিতে পারে কবুতর। পথ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও সঙ্গীর সাহায্য নিতে পারে কবুতর। সেক্ষেত্রে নিজের পথ পাল্টে সঙ্গীর পিছু নিতেও দেরি করে না তারা।
দূরের যাত্রায় পাখিরা শুরুতেই তাদের দেহঘড়িতে (মসত্দিষ্কের সময়জ্ঞান) সূর্যের অবস্থান চিহ্নিত করে নেয়। কৃত্রিম আলো ফেলে গবেষকরা কবুতরের দেহঘড়িতে গণ্ডগোল পাকিয়ে দিয়েছিলেন।
আলোর তীব্রতা পাল্টে যাওয়ায় কবুতর ভুল পথে গিয়েছিল। এছাড়া গবেষকরা নাকের স্নায়ু নষ্ট করেও কবুতরকে পথ হারাতে বাধ্য করেছিলেন। ঘ্রাণ ছাড়াও পাখির নাক ও চোখের ভেতর রয়েছে বিশেষ জৈবিক চুম্বক। পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে তাই কবুতর কিংবা অন্য যেকোনো পাখি সহজে পথ ঠিক করতে পারে। এক্ষেত্রে নাক ও চোখের চুম্বক ক্ষেত্রের কিছুটা চাপই পাখিকে পথ দেখায়।
মুরগি ও গাংচিলের নাকেও একই ধরনের চুম্বক ক্ষেত্রের অসত্দিত্ব পাওয়া গেছে। গায়ক পাখিরা পথ চেনে সূর্যের উজ্জ্বলতা ও অবস্থান মেপে। বিশেষ কিছু প্রজাতির প্রজাপতিও অবস্থানভেদে সূর্যের উজ্জ্বলতাকে দিকনির্দেশক হিসেবে কাজে লাগায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।