আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এদের চিনে নিন -7..........................দেশবাসী হুশিয়ার!................এই বোমা হাসিনার !!



শায়খ রহমান ও বাংলা ভাই গ্রেপ্তার হয়েছে। আমরা জানি- শায়খ রহমান আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা আযমের ভগি্নপতি। শায়খ রহমান ও জঙ্গীদের গ্রেপ্তারের পর লোমহর্ষক এই ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়- তাদের স্বীকারোক্তি থেকেই। 10 মার্চের ইত্তেফাক, 12 মার্চের যুগান্তরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, থেকে জানা যায়-কারা এবং কি উদ্দেশ্যে তৈরী করেছে এই জেএমবি। কারা অর্থ দিয়ে, বোমা সরঞ্জাম দিয়ে এবং ট্রেনিং দিয়ে সার্বিক সহায়তা করেছে এই জেএমবিকে।

জেএমবির বোমা তৈরী করায় বিস্ফোরক, ডেটোনেটর, সূইচ ও সার্কিট তৈরীর সকল সামগ্রী সরবরাহ করা হয় ভারতের মূর্শিদাবাদ থেকে। বোমার মূল উপাদান- বিস্ফোরক সমূহ সরবরাহ করা হয় পশ্চিম বঙ্গের ঝাড়খন্ডে অবস্থিত Indian Explosives Limited ( ইন্ডিয়ান এক্সপ্লোসিভস লিমিটেড) নামক ভারত সরকারের নিজস্ব অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরী থেকে। এই সব ওয়াটার জেল সমূহের প্রায় আড়াই হাজার প্যাকেট জেএমবির নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়। ব্লগারবৃন্দ , বুঝতে হবে- ভারত সরকার নিয়ন্ত্রিত কারখানা থেকে কি করে এই বাংলাদেশী মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা সকল বোমার সরঞ্জাম পেল ? যে কোন নির্বোধ মানুষের কাছে প্রশ্ন করা হলে-এর সকল উত্তর হবে- ভারত নিজেই এই জেএমবি সৃষ্টি করে এ বোমা সরবারহ করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টা করেছে। এর প্রমান মেলে- আব্দুর রহমান নিজে ও তার ভাই সানি এক নাগারে ছয়মাস ভারতে অবস্থান করে 'র' এর তত্ত্বাবধানে এই বোমা তৈরীর ট্রেনিং নিয়ে আসে এবং বিস্ফোরকসহ সকল সামগ্রী সরবরাহ নিশ্চিত করে আসে।

এত বিশাল ও ব্যায় বহুল এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা ছাড়াও আব্দুর রহমানকে সকল অর্থেরও জোগান দেয় ভারত। লক্ষ্য করলেই বুঝবেন- জেএমবির ভারত ও আওয়ামী কানেকশন যেন নিজ দলের মধ্যে এবং দেশের কোথাও কোন ভাবেই প্রকাশ হয়ে না পড়ে, তার জন্য শায়খ রহমান প্রচন্ড গোপনীয়তা রক্ষা করে। এই কাজে সে তার দলের উচ্চপদস্থ এমনকি মজলিসে সূরার কোন নেতাকেও পর্যন্ত বিশ্বাস করেনি। সেজন্য জেএমবি অপারেশনে নিয়ন্ত্রন, অর্থ সংগ্রহ ও বিতরন এবং ভারত থেকে বিস্ফোরক ও ডেটোনেটর আনয়নের সকল গুরুত্বপূর্ন এর মধ্যে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ রাখে। উল্লেখ্য, জেএমবি গঠন করা হয় আওয়ামী লীগের শাসনামলে 1998 সালে, তাদের সাহায্য ও প্রত্যক্ষ সহযোগীতায়।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকা কালীন সময় যুবলীগ নেতা ও আব্দুর রহমানের শ্যালক মীর্জা আজমের সহায়তায় সারের পারমিট নিয়ে শায়খ রহমান কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে এবং সেই টাকা দিয়ে জেএমবির গোড়া পত্তন করে। তখন উদ্দেশ্য ছিল- শায়খ রহমানকে দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ছোট খাট বিভিন্ন ধরনের মৌলবাদী কার্যক্রম করে বিল কিনটনকে বোঝানো যে বাংলাদেশে মৌলবাদীরা সক্রিয় এবং সে কারনেই ধর্ম নিরপেক্ষ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা দরকার এবং ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী বিএনপির নেতৃত্বে জামায়াতসহ চারদলীয় জোট মূলতঃ একটি মৌলবাদী মোর্চা এবং যে কারনে তাদের কোন ভাবেই ক্ষমতায় আসতে দেয়া যায়না। এ কারনেই শায়খ রহমান ও বাংলা ভাই এর গ্রেপ্তারের পর আওয়ামী বাকশালীরা চরমভাবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা এবং তাদের মদদপুষ্ট পত্রিকাগুলো সমগ্র ঘটনাকে সরকারের সাজানো নাটক বলে তারস্বরে চীৎকার করতে থাকে। পেছনে মূল উদ্দেশ্য তাদের নিজেদের ও তাদের প্রভু ভারতের বোমা হামলার সাথে সম্পৃক্ততা যাতে প্রকাশ না পায় তার জন্য জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া।

>>চলছে চলবে>>

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.