আমার যে সহপাঠিটা মরে গেছে, তার সাথে কোনোদিন খেলিনি আমি। সে পেছনের বেঞ্চে বসতো, আমিও পেছনে: তার ছিল না পারার ভয়, আমার হিরোইজমের লোভ! কাসের অনেকটা টাইম হাইবেঞ্চে দাঁড়াতো সে, আর আমি ব্ল্যাকবোর্ডে স্যার সেজে দেখতাম অদ্ভুত সঙ: মহামান্য শিক মাথা দোলাতেন, মুচকি হাসতে, গুড বলতেন আমাকে; ওকে দিতেন ভেঙ্গে যাওয়া বেতের টুকরোগুলো_ যাতে ঘুমুতে যাবার আগে রোজরাতে গুনে গুনে মুখস্ত করে পড়া। আমার জন্য থাকতো পিঠচাপড়ানো_ তাতে ভেসে সারারাত ঘুমুতাম রোমান্টিক স্বপ্নের ঘোরে। ওকে কেউ পাত্তা দিতো না কাসে, আমি পাত্তা দিতাম না কাউকেই_ সুন্দরী সহপাঠী কিংবা রোল-1 ছেলে; ও যখন মাটি কাটতো রোদে, আমি উড়াতাম সিনেমায় কৈশোর আমার কম্পিউটার পেন্টিয়াম ফোর, গীটারে জমেছে খামখেয়ালির জং, মোবাইলে শারাপোভার টেনিস, শাকিরার গান; আমার ইউনিভার্সিটির অধিকাংশ মেয়েই হলিউড-বলিউড নায়িকাদের মতো হটড্রেস পড়ে আসে! ও কোনদিন শহরে আসেনি, চাইনিজ খায়নি, দিতে পারেনি মেট্টিকের ফি, দেখেনি জিন্স-ফতোয়ামেয়ে, মোবাইল-কম্পিউটার-ইন্টারনেট শব্দগুলোও শোনেনি বোধয় আমার এই সহপাঠীর শরীর সামান্য জ্বরেই মাটি হয়ে গেছে; আমি 1টা মশা কামড়ালে আঁতকে উঠছি ডেঙ্গুর ভয়ে আর যাচ্ছেতাই কবিতা লিখতে চাইছি ওকে নিয়ে আমি কি ওকে বন্ধু ভাবছি এখন
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।