আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাস্তার জ্যামে আটকে পড়ে মোবাইল ফোনে পড়তে থাকুন সামহয়্যারইন ব্লগ /সুনীল সমুদ্র

কেবল সমুদ্র পারে শুষে নিতে সব, যা কিছু বিপ্রতীপ, ভেসে আসে নিদারুণ কষ্টের নীলজলে..

(যাদের পিসিতে ইউনিকোড নেই তাদের জন্য নন-ইউনিকোড ভার্সন হিসাবে লেখাটি পুনঃ পোষ্ট করা হল। ...এ লেখা উৎসর্গ করছি মোঃ সাকিব আল মাহমুদ-কে, ইউনিকোড বিষয়ে যার অপার আগ্রহ প্রায়শঃই আমাকে মুগ্ধ করে। ) অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, আমাদের প্রিয় সামহয়্যার ইন ব্ল্ল্লগ এখন ব্রাউজ করা যাচ্ছে এবং বাংলা ভাষাতেই পড়া যাচ্ছে মাত্র 6250/- টাকা দামের নোকিয়া-6030 মোবাইলে। রাস্তার জ্যামে আটকে পড়ে রিকশার মধ্যে বসে থেকেই এর মাধ্যমে পড়তে পেরেছি আপনাদের লেখা এবং মন্তব্য গুলিও। নোকিয়া-6030 হচ্ছে নোকিয়ার এমন একটি মোবাইল ফোন, যেখানে ইউনিকোড বাংলা সহ ভারতীয় 11টি ভাষার সাপোর্ট দেয়া হয়েছে ।

ফলে, শুধু সামহয়্যার ইন ব্লগই নয়, ইউনিকোড বাংলায় তৈরী করা সকল বাংলা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেই এ মোবাইলে ব্রাউজ করার সময় লেখাগুলো বাংলায় দেখা ও পড়া যাচ্ছে । অবশ্য বলা বাহুল্য, সামহয়্যার ইন ব্ল্ল্লগে যারা ইউনিকোডে লিখছেন শুধু তাদের লেখাগুলোই বাংলায় দেখা ও পড়া যাচ্ছে এ মোবাইলে। আসকি বৈশাখী ফন্টে প্রকাশিত লেখাগুলো নয়.....। অতএব, সাকিব আল মাহমুদ, সেই যে তুমি মাঝে মধ্যেই জানতে চাইতে, ইউনিকোডে লেখার সুফল কি-- আশাকরি ইউনিকোডে লেখার অনেকগুলো সুফল-এর মধ্যে আজ এ লেখার মধ্য দিয়ে তুমি আরও একটি সুফল এর সাথে পরিচিত হবে। সামহয়্যার ইন ব্ল্লগ ছাড়াও ইউনিকোড বাংলায় তৈরী করা অন্যান্য যে সকল বাংলা ওয়েবসাইট এই মোবাইল ফোনের দ্বারা ব্রাউজ করা যাচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হল বিবিসির বাংলা ওয়েবসাইট, বাংলা উইকিপিডিয়া, চায়না রেডিওর ওয়েবসাইট, গুগল বাংলা সার্চ ইঞ্জিন- ইত্যাদি।

আমাদের দেশের অনলাইন দৈনিক পত্রিকা গুলোর মধ্যে একমাত্র যায়যায়দিন পত্রিকাটিই ইউনিকোড সাপোর্টেড ছিল। ফলে ঐ পত্রিকাটিও আমি এই মোবাইল থেকেই পড়তে পেরেছি। ( জানিনা, প্রথম আলো সহ দেশের অন্যান্য প্রধান অনলাইন পত্রিকাগুলো কেন এখনো ইউনিকোডে কনভার্ট করার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় নাই । ঐসব পত্রিকাগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহ বা জ্ঞান খুব যে কম, তাও তো মনে হয়না। তাহলে সমস্যটা কি? ) অবশ্য এ মোবাইলে নিরাপদে ও সুন্দরভাবে ব্রাউজিং এর জন্য আরো কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

গ্রামীণ অথবা অন্য অপারেটরের এজ অথবা জিপিআরএস কানেকশন তো লাগবেই সেই সঙ্গে সবচেয়ে সুবিধাজনক ভাবে ওয়েব পেজ দেখা ও পড়ার জন্য প্রথমেই এ ফোনের নিজস্ব ওয়াপ ব্রাউজারটি ব্যবহার করে গ্রামীণের জিপি-ওয়ার্ল্ড ওয়াপ-সাইটে ঢুকে সেখান থেকে অপেরা-মিনি নামক ইন্টারনেট ব্রাউজারটি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে ইনষ্টল করে নিতে হবে। অনেকেই হয়তো জানেন না, মোবাইলে ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর জন্য বিশেষভাবে তৈরীকৃত মিনি অপেরা নামক সফটওয়্যারটি গত এক বছরে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং -এর ক্ষেত্রে একটি নীরব বিপ্ল্লব ঘটিয়ে দিয়েছে। মাত্র বছরখানেক আগেও কমদামী ও কম মেমোরী সম্পন্ন সাধারণ মানের মোবাইল ফোনগুলোর নিজস্ব ব্রাউজার দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা ছিল অত্যন্ত দুঃসাধ্য ও বিরক্তিকর একটি ব্যাপার। কিন্তু এখন সেই একই মানের মোবাইল ফোনেই শুধুমাত্র অপেরা মিনি ব্যবহার করার মাধ্যমেই আপনি খুব সহজেই অনেক বড় আয়তনের মেমোরীর ওয়েবসাইটও ব্রাউজ করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দে ও নিশ্চিন্তে...এমনকি ওয়েবপেজের সবগুলি ছবি দেখা ও ডাউনলোড করার সুবিধা-সহই তা করতে পারবেন। ব্যাপারটি খুব আশ্চযর্্য মনে হলেও অপেরা মিনি সেই দুর্দান্ত অসাধারণ সুযোগটিই দিচ্ছে আমাদের।

যতদূর জানতে পেরেছি, কোন ওয়েব ঠিকানায় ঢুকার কমান্ড পাওয়া মাত্রই অপেরা মিনি ঐ ওয়েবপেজের সবগুলি ছবি ও টেক্সটকে ক্ষুদ্রাকারে (মেমোরী সাইজের অর্থে) কনভার্ট করে মোবাইলের ডিসপ্লের রেজুলেশন উপযোগী করে তোলে এবং পেজে সংযুক্ত বিভিন্ন আইটেমকে উপর থেকে নীচের দিকে পর পর সাজিয়ে দিয়ে শুধুমাত্র মাঝখানের জয়ষ্টিক বোতাম দিয়ে স্ক্রল করে করে খুব সহজে পড়ার উপযোগী করে তোলে। ইনষ্টল করার পর নোকিয়া-6030 মোবাইলে আপেরা মিনি অবস্থান নেবে এপ্লি্লকেশন নামক ফোল্ডারের ভেতর ( যেখানে গেমস ও জাভা এপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো লোড করা যায়)। এখানে উল্লেখ্য যে, অপেরা মিনি দ্বারা ব্রাউজ করার জন্য আপনার সেটে শুধু ওয়াপ কানেকশন কনফিগার করলেই চলবেনা- একইসংগে ইন্টারনেট কানেকশন-ও কনফিগার করতে হবে। যারা জানেননা বা ভুলে গেছেন, তাদের জন্য ধাপগুলো একটু মনে করিয়ে দেই.....(গ্রামীণের ক্ষেত্রে) EDGE P1------> Send To 5000 WAP NOKIA 6030------> Send To 8080 INTERNET NOKIA 6030------> Send To 8080 উপরের এসএমএস গুলোর মধ্যে প্রথমটির উত্তরে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ আপনার মোবাইলে এজ/জিপিআরএস কানেকশন সংযোগ একটিভেট করবে এবং পরের দুটি এসএমএস এর উত্তরে আপনার সেটে ওয়াপ ও ইন্টারনেট সংযোগ কনফিগার করার বিশেষ দুটি কনফিগারেশন মেসেজ পাঠাবে যা আপনাকে পাসকোড 1234 লিখে আপনার মোবাইল ফোনসেটে সেভ করতে হবে। এ দুটি ফিরতি মেসেজ সেভ করার পর পরই অটোমেটিক্যালী আপনার সেট ওয়াপ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য কনফিগারড্ হয়ে যাবে।

অবশ্য ইউনিকোড বাংলার ওয়েবপেজগুলো দেখার জন্য এ সেটের ব্রাউজার সেটিংস-এ গিয়ে এপিয়ারেন্স সেটিংস-এর ক্যারেক্টার এনকোডিং UTF-8 এ পরিবর্তন করে নিতে হবে। আমি জানি এই মুহূর্তে সাকিব হয়তো জানতে চাইবে- এ সেট দিয়ে সামহয়্যার ইন ব্ল্লগের লেখায় ছোট খাটো মন্তব্য পাঠানো যাবে কিনা । হ্যা, এ সেট দিয়ে সামহয়্যারে বাংলায় মন্তব্য লেখা যাবে কিনা -- সেটি পরীক্ষা করতে গিয়েই এবারের ঈদের বন্ধের দুটি দিন আমার ব্যস্ততায় কেটেছে । খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার এই যে মোবাইল থেকে ওয়েবপেজের যে কোন Text Input Box -এ বাংলা টেক্সট ঢোকাতে গেলে মোবাইলের কী-বোর্ড থেকে বাংলা টেক্সট ইনপুটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ মোবাইলের কন্টাক্ট নেম, টেক্সট মেসেজ- ইত্যাদির রাইটিং অপশনস-এ রাইটিং ল্যাংগুয়েজ হিসাবে বাংলা বেছে নেবার অপশন থাকতে হবে।

সাধারণ মার্কেটে যে নোকিয়া-6030 মডেলের ফোনটি পাওয়া যায় তার সিস্টেম-এর ভেতর বাংলার সাপোর্ট থাকায় তা দিয়ে ব্রাউজিং-এর সময় বাংলা ওয়েবসাইট গুলো পড়া যাবে কিন্তু ঐ সেট গুলোর রাইটিং অপশনস-এ বাংলা না থাকায় অর্থাৎ ঐগুলোর কী-বোর্ড থেকে বাংলা ইনপুট দেবার ব্যবস্থা না থাকায় এ সেটগুলো থেকে ওয়েবপেজে বাংলা কোন শব্দ লিখে ইনপুট দেওয়া যাবে না। কিন্তু সৌভাগ্য আমাদের, অতি সম্প্রতি গ্রামীণ টেলিকম ঢাকায় নোকিয়ার যে ছয়টি মডেলের পুরোপুরি বাঙলা সাপোর্টেড সেট বাজারে ছেড়েছে (অন্তরে বাহিরে বাংলায় - এই শ্লোগান দিয়ে), তারই অন্তর্গত একটি সেট হচ্ছে নোকিয়া-6030 এবং উক্ত ছয়টি সেটের মধ্যে একমাত্র এই মডেলের সেটটি-ই ওয়াপ ব্রাউজার এনাবলড্। ফলে শুধু এটি দিয়েই ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যাবে- বাংলা ওয়েবসাইটগুলো পড়া যাবে-এবং এর কী-বোর্ড থেকে বাংলা ইনপুট এর ব্যবস্থা থাকায় ওয়েবপেজের বিভিন্ন ইনপুট বক্সে বাংলা শব্দ ইনপুট-ও করা যাবে। তবে এর সাথে বাজারজাতকরা অন্য পাচটি মডেলের সেট দিয়ে কিন্তু ওয়াপ ব্রাউজার না থাকার কারণে অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারার কারণে এসবের কিছুই করা যাবে না , ঐসব সেটে শুধু কন্টাক্ট নেম ও মেসেজগুলো বাংলায় লেখা যাবে, এর বেশী কিছু নয়। অতএব বাংলায় কাজ করার সব মজা আসলে জমা হচ্ছে নোকিয়া-6030 সেটটিকে ঘিরেই।

যেহেতু গ্রামীণ টেলিকমের দ্বারা বাজারজাতকৃত ছয়টি সেটের মধ্যে কেবলমাত্র নোকিয়া-6030 সেটটিতে-ই ইন্টারনেটে ঢুকে ইউনিকোড বাংলায় আপনি ইনপুটও দিতে পারছেন, অতএব বাংলায় সার্চিং-এর ক্ষেত্রেও এ মোবাইল ব্যবহার করা যাবে অত্যন্ত আনন্দদায়ক ভাবেই। এ মোবাইলে এপ্লি্লকেশন ফোল্ডার খুলে অপেরা মিনি ব্যবহার করে গুগল সার্চে গিয়ে শুধু 'পথ' কথাটি লিখে সার্চ দিলেই আপনি পথের পাচালী সহ পথ শব্দ-সমন্বিত সকল ওয়েব লিংক পেয়ে যাবেন। আমি যেদিন ঈদের বন্ধে বাসায় বসে এই মোবাইলে সুনীল সমুদ্র লিখে গুগল সার্চ দিয়ে ব্ল্লগে ইউনিকোডে প্রকাশিত আমার লেখাসহ ধানসিড়ির 23শে জুন কেন্দ্রিক লেখাটির-ও লিংক পেয়ে গেলাম-এবং সেই সংগে পেলাম আমাকে নিয়ে পথিকের পোষ্ট ও তাতে কৌশিকদার ইউনিকোডে লেখা মন্তব্য-তখন আনন্দ আর অবাক প্রাপ্তির এক আশ্চযর্্য শিহরণ কিছক্ষণের জন্য হলেও আমাকে অভিভূত করেছিল। কেননা পিসির ক্ষেত্রে গুগল সার্চ একটি স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু মোবাইল দিয়ে বাংলা শব্দ ইনপুট করে বাংলায় গুগল সার্চ করতে পারবো এটি কয়েকদিন আগেও আমার কাছে একটি স্বপ্নই শুধু ছিল। ..... আমার ধারণা, এ ফোনের আমদানীকারকরাও হয়তো নিজেরা জানেননা- এ ফোনটি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলায় এতোকিছু করা সম্ভব ।

কেননা তা জানা থাকলে নিশ্চয়ই তারা তাদের বিজ্ঞাপনের ভাষায় তা ব্যবহার করার সুযোগ নিতেন। আমার মনে হয়-তাদের মধ্যে এ ধারণাটুকুই শুধু বিদ্যমান আছে যে বাংলা সাপোর্টেড এ ছয়টি মডেলের নোকিয়া ফোন দিয়ে শুধু বাংলায় এসএমএস লেখা যাবে ও কন্টাক্ট নেম/ফোন নাম্বার বাংলায় লিখতে পারা যাবে । কিন্তু এগুলোর মধ্যে একটি মডেল নোকিয়া-6030 দিয়ে যে বংলায় এতোকিছু করা যায় বা যাচ্ছে, তা এখনো পর্যন্ত সম্ভবত তারাও জানেন না। এরপর- আবার আসি সেই প্রশ্নে-এ মোবাইল দিয়ে আমাদের ব্লগে-মন্তব্য পাঠানো যাবে কি না ? সাধারণ বুদ্ধি দিয়ে বোঝা যায়- যেহেতু এ মোবাইল দিয়ে গুগল সার্চইঞ্জিনের সার্চ বক্সে সার্থকভাবে ইউনিকোড বাংলা ইনপুট করে বাংলাতেই সার্চকরা সম্ভব হয়েছে, অতএব নিশ্চিতভাবেই ধরে নেওয়া যায়, এ মোবাইলে রাইটিং ল্যাংগুয়েজ অপশন বাংলা সিলেক্ট করে নিয়ে সহজেই ওয়েবপেজে বাংলা ইনপুট দেওয়া সম্ভব। সেই অর্থে সামহয়্যারের লেখা পোষ্টকরা বা মন্তব্য পোষ্ট করার বক্সেও এ মোবাইল থেকে ইউনিকোড বাংলার ইনপুট দিলে তা যথাযথভাবেই গৃহীত হয়ে মূল ওয়েবপেজে দৃশ্যমান হওয়া উচিত ছিল।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি, বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ, অজ্ঞাত কোন কারণে ঐসব বক্সে বাংলা লেখা ইনপুট করার পর তা সেন্ড করলে তা পরিবর্তিত হয়ে ওয়েবপেজে শুধু কিছু প্রশ্নবোধক চিহ্ন আসছে। তবে, আমার কাছে মনে হয়েছে এটি মোবাইলের কোন অপূর্ণতা বা ফাংশনাল ডিজএবিলিটি নয়। বরং এটি সামহয়্যার ইন ব্ল্লগের ওয়েবপেজের-ই কোন নন-সাপোর্টিং ফিচার এর কারণে হচ্ছে। তাই খুব খুজে চলেছি হাসিনভাইকে কয়েকদিন।

হয়তো হাসিনভাই এ সমস্যার একটা সুন্দর সমাধান বের করতে পারবেন। অবশ্য এমনিতেই সামহয়্যারের ওয়েবপেজে ব্যাপক পরিবর্তন আনা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্তত ইউনিকোডে যারা লিখছেন, তাদের জন্য হলেও এ পরিবতর্ন আনা অত্যন্ত জরুরী। আপনারা পিসি থেকে পোষ্টিং বা মন্তব্য লেখার ক্ষেত্রেও দেখেছেন- সামহয়্যারের ইনপুট বক্সগুলো যথাযথভাবে বা পরিপূর্ণভাবে ইউনিকোড সাপোর্টেড নয়- ফলে অন্যত্র (যেমন ওয়ার্ড প্রোগ্রামে ) ইউনিকোডে লেখা লেখার পর তা' কাট করে নিয়ে অন্ধের মতো এই বক্সে এনে পেষ্ট করার মাধ্যমে লেখা পোষ্ট করতে হয়- কেননা বক্সগুলোতে ইউনিকোড-এর লেখাগুলো সঠিক ফন্টের পরিবর্তে চারকোণা চারকোণা বক্স আকারে দেখা যায়। যদিও এরপর মূল ওয়েবপেজে সঠিকভাবেই লেখাটি দৃশ্যমান হয় কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় ইউনিকোডে লেখা পোষ্টিং এর জন্য এটি কোন আদর্শ ব্যবস্থা হতে পারেনা।

তাছাড়া আপনারা অনেকেই জানেন যে, বাংলা ইউনিকোডে প্রকাশিত বিশ্বের সকল ওয়েবসাইটগুলোই সঠিকভাবে দেখা ও পড়ার জন্য আবশ্যিকভাবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের ভিউ মেনুতে গিয়ে ক্যারেক্টার এনকোডিং UTF-8 এ সেট করে নিতে হয়। কিন্তু কখনো খেয়াল করেছেন কি -সামহয়্যারইন ওপেন করার সময় ক্যারেক্টর এনকোডিং সেই -Western European -ই থাকে, যদি জোর করে এনকোডিং UTF-8 পরিবর্তন করেন তবে শুধুমাত্র সামহয়্যারে যারা ইউনিকোডে লিখছেন তাদের লেখাই দেখা যাবে কিন্তু বৈশাখী ফন্টের কোন লেখা পড়া যাবে না। আসলে সামহয়্যারে ইউনিকোড ও নন-ইউনিকোড-এই দুইয়েরই সাপোর্ট রাখতে গিয়ে এ জগাখিচুড়ী দুরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ দুরাবস্থা নিরসনে কিছু সুচিন্তিত সাজেশন দেবার জন্য আমি হাসিন ভাইয়ের সাথে মুখোমুখী আলাপ করতে চেয়েছিলাম। তার একটি পোষ্টের মন্তব্য কলামে এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলার জন্য আমাকে অন্ততঃ আধা ঘন্টা সময় দেবার জন্য অনুরোধও জানিয়ে ছিলাম- কিন্তু এখনো তার জবাব পাইনি।

.... সামহয়্যারে লগ-ইন করার পর যেভাবে লেখা ইনপুট করার বক্সএর নীচে রাইটিং মোড নির্বাচনের জন্য বিজয় ও ফোনেটিক নামে দুটি অপশন/রেডিও বাটন আছে, সেভাবেই ইউনিকোড রাইটিং মোড নির্বাচনের জন্যে সেখানে আরো একটি অপশন/রেডিও বাটন তৈরী করে তা এক্টিভেট করার জন্য ওয়েবপেজে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা যায় কি না সেটাই দেখতে হবে আগে। আর সে বিষয়ে হাসিন ভাইয়ের সহযোগিতাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশী জরুরী। এ লেখা শেষ করবো আরো একটি তথ্য দিয়ে। নোকিয়া-6030 ফোনে অপেরা মিনি দিয়ে বিবিসির বাংলা ওয়েবসাইট, বাংলা উইকিপিডিয়া, চায়না রেডিওর ওয়েবসাইট, গুগল বাংলা সার্চ ইঞ্জিন বা যায়যায়দিন-ইত্যাদি সকল বাংলা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময় মোবাইল ডিসপ্ল্লে -স্ক্রীনের একটি লাইনে একাধিক বাংলা শব্দ অটোমেটিক্যালী (জায়গা অনুপাতে) সজ্জিত হয়ে যায়। এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু একমাত্র সামহয়্যারইন ব্লগের ক্ষেত্রেই একলাইনে একটির বেশী বাংলা শব্দ আসে না। ফলে একজনের একটি পোষ্ট পড়তে অনেকক্ষণ স্ক্রল করতে হয় (অর্থাৎ একজনের লেখায় 1000 টি শব্দ থাকলে তা সম্পূর্ণ পড়া যাবে ঠিকই কিন্তু এজন্য দীর্ঘক্ষণ ধরে 1000টি লাইন স্ক্রল করতে হবে )। এটিও ঘটছে খুব সম্ভবতঃ সামহয়্যারের ওয়েবপেজের নেচারজনিত কারণেই। এ সমস্যা দূর করার চাবিকাঠিটিও হাসিন ভাইয়ের হাতেই। ..... লেখাটি শেষ করার আগে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আহবান জানাচ্ছি, আপনারা সবাই ইউনিকোডে মেইন পোষ্ট লিখুন এবং মন্তব্যও লিখুন ইউনিকোডেই।

এমনকি সম্ভব হলে-নতুন করে ইউনিকোডেই আইডি খুলুন। যেমন একবার পরীক্ষা করে দেখেছি- মোবাইলে ধানসিড়ির সকল লেখা ইউনিকোডে দেখা যাচ্ছে (যেহেতু তিনি খুব ধৈয্যর্ের সাথে তার সকল পুরনো লেখা ইউনিকোডে কনভার্ট করেছেন), কিন্তু বেচারার আইডিটা শুধু পড়া যায়না, কেননা সেটি রয়ে গেছে নন-ইউনিকোড ফন্টে। আসলে আইডিটাকে ইউনিকোডে পরিবর্তনের ক্ষমতা তো আমাদের নেই, তাইনা ? তাই সকলের আইডিকে ইউনিকোডে পরিবতর্নের বিষয়েও পদক্ষেপ নিতে হবে সামহয়্যারইন ব্ল্লগ কর্তৃপক্ষকেই । এতো বড় লেখার পর কবিতা হয়তো ভালো লাগবে না- কিন্তু বাইরে এতো সুন্দর ভোর -এতো সুন্দর পাখির কিচিমিচি আর এতো সুন্দর স্বচ্ছ সুশীতল হাওয়া যে -- কবিতা এসে যাচ্ছে সাবলীল ভাবেই...... এখন মুঠোয় তুমি, বিপুল মুগ্ধতায়/ সুনীল সমুদ্র আমি তোমাকে খুব যত্ন করে রেখেছিলাম ড্রইংরুমের শোভিত টেবিলে- অফিসে- অতি ব্যস্ত ডেস্কের এলোমেলো সব সজ্জায়- বুঝিনি আমার তীব্র ভালোবাসাই শেষমেষ - এমন চমৎকার আবেগে এনে দেবে মুঠোয়- তোমায়। এখন যেখানে যতোদূরে ছুটে যাই- মুঠোফোনের ভেতর তোমাকে পেয়ে মনে হয় সমস্ত পৃথিবীটাকেই পেয়েছি পরম পরিপূর্ণতায়- মনে হয়- এখন তোমাদের সমস্ত ভালোবাসা-মুঠোয় বন্দী করে হেটে যেতে পারি বৈরী শহরের সব সন্ত্রস্ত সড়ক সাবলীল- শুদ্ধ সাহসে।

কেউ না জানুক- কেবল সুনীল সমুদ্র জানে কী প্রবল ভালবাসায় আমাকে কাদাতে তুমি হে সামহয়্যার-ব্ল্লগ- যখন একদা তুমি বিহীণ কাটিয়েছি কষ্টকর দীর্ঘ-সময় মুঠোর ভেতরে তুমি ছাড়া, অসহায় রাস্তায়, পথে পথে । শুধু তোমার ভালোটুকু ভেবে ভেবে দিনরাত্রির কতোটা সময় আমার কেটে গেছে-কষ্টে, নির্ঘুমে তবু কি প্রমাণ করতে নিদারুণ ব্যর্থ হয়েছি ...? তবু কি বোঝাতে পারিনি- কী প্রবল আবেগ আর অনিঃশেষ আকুলতায় এমন রাখতে চেয়েছি কাছে, সারাক্ষণ- বিস্মিত মুগ্ধতায়?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।