আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংবিধানের ৫৮ (গ) এর ৫ নং উপঅনুচ্ছেদ

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

সংবিধান বিশেষজ্ঞরা সুদূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিলেন বলে বোধহয় এতগুলো অপসন রেখেছিলেন সংবিধানের ৫৮ গ অনুচ্ছেদে। গ অনুচ্ছেদের ৩,৪ উপঅনুচ্ছেদের সবগুলো অপসন শেষ করে ৫ নম্বর উপঅনুচ্ছেদ অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন একজন নাগরিককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরর প্রধান উপদেষ্টা করার জন্য প্রেসিডেন্ট সব দলের সাথে বৈঠকে বসলেন এবং নিজেই কেয়ারটেকার প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন। তবে শপথের সময় রাস্তাঘাট সুনসান হয়ে গেছিল। আওয়ামী নেতৃবৃন্দ সুধায় উপবিষ্ট ছিলেন, রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হলো শপথের শেষে। টিভি নিউজের দিকে বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে।

জনগন উৎকন্ঠিত, যদি শেখ হাসিনা বলেন ''মানবো না, মানি না, বৈঠা নিয়ে নামো'' দেশের মানুষের কি হবে? দেশের কি হবে? কিন্তু সাড়ে দশটায় প্রেসিডেন্টের ভাষনের আগেই জানা গেল শেখ হাসিনার থোরা খুশি থোরা গম এক্সপ্রেশন। স্বাগতমও না, প্রত্যাখানও না। জনগন মনে হলো একটু হাফ ছেড়ে বাচঁলো। সংবিধানের ৫৮ (গ) এর ৩ নং অনুচ্ছেদে আছে Provided that if such retired Chief Justice is not available or is not willing to hold the office of Chief Adviser, the President shall appoint as Chief Adviser the person who among the retired Chief Justices of Bangladesh retired next before the last retired Chief Justice. এথেকে হয়তো প্রেসিডেন্ট Chief Justices of Bangladesh retired last is not willing to hold the office বুঝে নিলেন। এ অনুচ্ছেদেই সবচেয়ে নতুন অবসরগ্রহণকারী থেকে তাদের সিনিয়রদের দিকে তাকাতে বলা হয়েছে।

কিন্তু সেখানে দুজন ছাড়া আর কেউ ৭২ এর নীচে নেই যা অন্যতম একটা শর্ত। চারে আছে এপেলেড ডিভিশনের কথা। সেখানে দুজনের কথা আছে। ইমেডিয়েট এন্ড পাস্ট ইমিডিয়েট। মাহমুদ ও হামিদ দুজনই পলিটিসিয়ানদের সহমত শর্তে রাজী ছিলেন।

কিন্তু পলিটিসিয়ানরা একমত ছিলেন না। এখানে তাদের রাজী থাকা বিষয়টা বিএনপির আপত্তিতে অগ্রাহ্য হওয়া সাংবিধানিক নয়, বরঞ্চ তারা যেহেতু পলিটিশিয়ানদের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন কাজেই রাষ্ট্রপতি ইচ্ছা করলে এটাই তাদের অপরাগতা প্রকশা ধরে নিতে পারেন। যেমন হয়েছে হাসানের ক্ষেত্রে। যে পয়েন্ট বিএনপি তুলেছে সেটা আসল নয়। যেমন মাহমুদ সরাসরি বিচার কাজে ছিলেন না।

হামিদ অনপযুক্ত। আসলে তারা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। প্রধান বিষয় কি পয়েন্ট তুললো সেটা নয়, বিষয় হলো আপত্তি দিয়েছে তো সে আর গ্রহণযোগ্য নয়। ৫৮ (গ) এর ৩,৪ ও ৫ অনুচ্ছেদ নিয়ে বেশী সময় ব্যয় করতে হয় নি প্রেসিডেন্টের। এ বিশ্লেষণ ব্যারিস্টার নেতারা অনেক আগেই করে হিসাব মিলিয়ে বসে ছিল বলে বিএনপি মিটিমিটি হাসছিল।

তারা তো আগে ভাগেই জানতো হাসানকে বাদ দিলে কোথায় গিয়ে ঠেকবে নৌকা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরর এই আর্টিকেলটা ভালমত পড়লে বোঝা যায় এটা অত্যন্ত দূবর্ল। ৫৮ (গ) এর ৫ নং উপঅনুচ্ছেদ বলা হয়েছেIf no retired judge of the Appellate Division is available or willing to hold the office of Chief Adviser, the President shall, after consultation, as far as practicable, with the major political parties, appoint the Chief Adviser from among citizens of Bangladesh who are qualified to be appointed as Advisers under this article. যা কোনভাবেই ৬ নং অনুচ্ছেদে যাবার অবকাশ দেবার কথা নয়। ১৪ কোটি মানুষের দেশে নিচের ক্রাইটেরিয়া মত একজন লোক পাওয়া যাবে না এটা বিশ্বাস করা যায় না। 1. qualified for election as members of parliament; 2. not members of any political party or of any organisation associated with or affiliated to any political party; 3. not, and have agreed in writing not to be, candidates for the ensuing election of members of parliament; 4. not over seventy-two years of age. ৫৮ (গ) এর ৫ নং উপঅনুচ্ছেদটা নিম্নোক্তভাবে সংশোধন করা উচিত।

বাস্তবসম্মতভাবে সকল রাজণৈতিক দলের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে একজনকে নির্বাচিত করতে হবে। যদি এর জন্য সময়ের প্রয়োজন হয় তবে প্রেসিডেন্ট ইনটেরিয়াম একটা নিদৃষ্ট সময়ের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সব দল একজন গ্রহণযোগ্য কাউকে পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, তবে অনধিক ৩ অথবা ৪ কর্মদিবসের বেশী তা হতে পারবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.