[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/
দ্বন্দটা ছিল ঠিকই পাইরেটস অব দ্যা কেরিবিয়ান ছবির সেকেন্ড সিক্যুয়াল এর সেই বিচ্ছিন্ন সজীব চেষ্ট বা হার্ট টার মত আপন ভুবনেইর কোথাও সযতনে বালু চাপা। হঠাৎ একটা খোলস এর জিপার খুলে একটু বারতি খোলাসা হলো আর কি
ঐ নারীর অ্যাডের স্টিল ছবিটা দেখে। নারীটাকে আমি নামে চিনি। বাংলা চলচিত্রের নায়িকা। কক্সবাজার কলাতলীর পথে গাড়ীর ড্রাইভিং সিটে বসে খোলা জানালার উদ্দাম বাতাসে অবশিষ্ঠ চুল গুলো তাদের জীবন সায়েহ্ণের কালে উড়ছিল বিরহ ভুলে তখনই চোখ গেল বিল বোর্ডে বিশাল অ্যাডটির দিকে।
লাল শাড়ী পড়া নারীটির নাম আমি বলবনা। কি লাভ ব্যক্তিগত আক্রমন করে যেখানে আমি নিজেই সেই জগতের বাসিন্দা না যেখান থেকে সব কদর্য আর খারাপ ভীষণ দূরে বসবাস করে। মডেল হিসেবে ওমন গুরুত্বপূর্ণ একটি হাইওয়েতে স্টিল দাঁড়িয়ে থাকার যোগ্যতা ও নারীর আছে বলে মোটেও মনে হলোনা। না আমি কারও বা কোন নারীর রূপের খোটা দিচ্ছিনা। তবে এক একটা প্রোফেশনের জন্য এক একটা কোয়ালিটি লাগে।
এটা মানতেই হবে। নায়িকা হতেই হবে এটরেকটিভ। মিষ্টি। না হলে সবাই কেই তো পর্দায় শরীর খুলে নামালেই শিল্প চর্চা ভীষন উদ্দার হয়ে যেত অর্থ বিত্তে। আজ তাই চলছে যদিও আর মাঠা মারা যাচ্ছে আমাদের শরীর সর্বস্ব, গুন বিবর্জিত চলচিত্র শিল্প।
ওই মডেল কাম নায়িকা আমি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ি সেই সময় হঠাৎ আবির্ভাব হয় বাংলা চলচিত্রে। এবং আমার পাশের রুমে যে ছেলেটা থাকত নায়িকা তাদের মহল্লার মেয়ে। ছোট থেকেই চেনে। ও ভীষণ অবাক হলো এই মেয়ে !! নায়িকা। চেহারা আর অভিনয়ে না হোক মনোরঞ্জনের যোগ্যতা যে সে অর্জন করেছিল সুনিপুণ ভাবে তা তার ছোট খাট উত্থান আর পাশের রুম মেটে এর কানাঘুষা থেকে জেনে মস্তিষ্কের উর্বও জমি কিছু আবর্জনায় ভরে ফেললাম।
না হলে আজও কেন তাকে দেখে মনের,সে জমিনে বয়ে গেল বাতাস।
দ্বন্দটা খোলস তো খুলবেই। ভাবছিলাম ঐ মডেল তারকা হতে চেয়েছে , চেষ্টা করেছে যে উপায়েই হোক। সে হয়েছে সফল। কিন্তু এই যে আমার মত দর্শকের মনে মনে বিরুপতা।
কি দরকার যে যোগ্যতা আমার নেই তার পেছনেই দৌড়ানো। ভাবছিলাম আর দ্বন্দ বাড়ছিল।
মন বলে উঠল তাই তো কি দরকার এই কবিতা কবিতা খেলার। কি দরকার নিজেকে কবি বলে ব্যর্থ রূপায়নের । আমি তো ঐ নায়িকার মত নই যে গোপন কোন পন্থায় হয়ে যাব কবি।
নিজেই বলছি আর মানছি যার যার আপন যোগ্যতা আপন সীমানা বুঝে সেই দিকে চলা উচিৎ। সততা ছাড়া জীবনে মিথ্যে পরিচয়, মিথ্যে তারকা আকাশ ছেড়ে মাটিতে। ওমন তো আমার হওয়া উচিৎ না । আমি যে সমালোচনা করছি যে ভুল করেছে অন্যে।
ভাবছি এ মিথ্যে কবি হবার বাসনা কি ছেড়েই দেব।
যা পারিনা কেন জোড় করে তার পিছে দৌড়?
কিন্তু অন্য মন আবার ঠিকই বলে ওঠে আমি কি আসলেই সততা মানি? দু একটা কবিতা লিখলেই তো আর কবি হয়ে যাবনা। তাই হয়তো লিখব অথবা লিখবনা। সর্দি নিয়ে আজও আমি বৃষ্টিতে ভিজি , কিন্তু যেদিন জ্বরের ভীতি কাবু করে ফেলবে সেদিন?
১৯/১০/২০০৬
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।