আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুন্টার গ্রাসের 'দ্য টিন ড্রাম'এর কাহিনী সংক্ষেপ

কবিতা, কলাম, গল্প, ব্যক্তিগত কথামালা

[লেখাটি যায়যায়দিনের আর্ট অ্যান্ড কালচার ম্যাগাজিনে 17 আগস্ট 2006 তারিখে প্রকাশিত] গুন্টার গ্রাসের 'দ্য টিন ড্রাম' থেকে অনুবাদ: অবনি অনার্য অস্কার ম্যাৎজারেথ মানসিক হাসপাতালের একটি রুমে বসে লিখছে। দরজার ভেতর থেকে যে ছিদ্র দিয়ে বাইরের লোকজনকে দেখা যায়, সে ছিদ্র দিয়ে বাইরে থেকে তাকে দেখছে ব্রুনো মুন্সটারবার্গ। ব্রুনো মূলত দারোয়ান, অস্কার তাকে অবশ্য একজন শিল্পী হিসাবে ভাবে। নিজের জীবনী লেখতে চায় অস্কার; এর জন্য তার দরকার এক রিম শাদা কাগজ (অস্কারের মতে 'ভার্জিন পেপার')। ব্রুনোকে শেষ পর্যন্ত রাজি করাতে সম হয় অস্কার।

ব্রুনো ছাড়া আর কাকেই-বা বলবে। তাকে যারা নিয়মিত দেখতে আসে, তাদের প েসেটা সম্ভব নয়। এটা অবশ্য অস্কারের ভালোই জানা আছে; সে স্বীকারও করে যে এমন একটা জিনিস তার জন্য নিয়ে আসাটা ওদের জন্য বিপজ্জনক। ব্রুনো কাগজ কিনে নিয়ে আসে, অস্কারও লিখতে বসে। শুরু করে দাদিমা, আনা ব্রনস্কি দিয়ে।

1899 সালের ঘটনা, তিনি বসে আছেন তার আলু েেতর পাশে উনুনের ধারে। এই উনুনে তিনি রাতের খাবারের জন্য আলু রান্না করেন। তার পরনে অনেক প্রশস্ত স্কার্ট, জোরে বাতাস বইলে সেটা সামলাতে তাকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। তিনজন লোক হঠাৎ করে লাফ দিয়ে আলু েেত ঢুকে দৌড়াতে থাকে। তাদের মধ্যে দুজন বেশ লম্বাটে, বাকিজন মোটাসোটা গোলগাল।

লম্বা দুজন মোটাসোটা লোকটাকে তাড়া করে। সুযোগ পেয়ে আনার প্রশস্ত স্কার্টের ভেতর লুকিয়ে পড়ে গোলগাল লোকটা। লম্বা দুজন ইউনিফরম পরা পুলিশ আনাকে জিজ্ঞেস করে, মোটাসোটা লোকটা কোনদিকে গেলো। রাস্তার ঢালুর দিকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ওই দিকে। কিন্তু তাদের সন্দেহ যায় না।

তারা বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে আনার আলুর ঝুড়ির ভেতরে খোজে। আধঘন্টার মতো খুজে না পেয়ে ওরা চলে যায়, সূর্যও ডোবে, ঝুম বৃষ্টি নামে। পুলিশের লোক দুটো চলে গেলে গোলগাল লোকটাকে বেরিয়ে আসতে বলেন আনা। জোসেফ কোলজাইচেক বেরিয়ে আসে। আনা তাকে চারটি সেদ্ধ আলু খেতে দেন, নিজের জন্য একটি রেখে দেন।

কাচা আলুর ঝুড়ি নিয়ে আনা কালো জঙ্গলের দিকে যেতে শুরু করেন, জোসেফও তার পিছু নেয়। এসব ঘটনা অস্কারকে মনে করিয়ে দেয় তার টিনের ড্রাম। দিনে তিন-চার ঘণ্টা ওই টিনের ড্রামটিতে অস্কার তাল দেয়, আর ড্রামটি তার অতীতের সব ঘটনা তাকে বলে। যেমন বলে, ওই রাতে আনা আর জোসেফ কোলজাইচেকের ঘরে অস্কারের মা, অ্যাগনেস ম্যাৎজারেথের জন্মপ্রক্রিয়া শুরু হয়। আনা-কোলজাইচেকের বিয়ের পর তারা উপকুলের দিকে চয়ে যায়, জোসেফ কাঠের তৈরি ভেলাবাহকের কাজ পান।

কিন্তু আলুেেত জোসেফ-আনার সঙ্গমের ফলে তিনি আনার গর্ভে এসেছেন_ এটা অস্কারের মা সারাজীবন অস্বীকার করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন, জোসেফ তার সবের্াচ্চ চেষ্টাটাই করেছে, কিন্তু তাদের অবস্থান গর্ভধারণের জন্য সহায়ক ছিলো না। তার মতে, রাতের অনুকূল পরিবেশেই নিশ্চয়ই সেটা ঘটেছে। আনাও তার মেয়ের কথায় সায় দিয়েছেন যে, আলুেেত ওটা ঘটা সম্ভব ছিলো না, কেননা সেদিন খুব জোরে বাতাস বইছিলো, আবার বৃষ্টিও হচ্ছিলো। জোসেফ কোলজাইচেক, অর্থাৎ অস্কারের নানা একটা স'-মিলে চাকরি নেন।

সেটার মালিকের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তাকে মারধোর করা হলে তিনি সেটাতে আগুণ লাগিয়ে দেন। পরে তাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়। একসময়, ডুবে মরে যাওয়া ভেলাচালক জোসেফ রাংকার নাম নিয়ে নিজেও ভেলাচালকের কাজ নেন। পুলিশের আগ্রাসি তদন্তের এক পর্যায়ে পানিতে ডুবে মারা যান কোলজাইচেক। টিনের ড্রামে আঘাত করে অস্কার তার পরিবারের ইতিহাস উদ্ঘাটন করতে থাকে_ জোসেফ কোলজাইচেকের মৃতু্যর পর তার বড় ভাই গ্রেগর কোলজাইচেক, সদ্য-বিধবা আনা ব্রনস্কির সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।

অচিরেই তারা বিয়ে করেন। একটা গানপাউডার কোম্পানিতে গ্রেগর চাকুরি করতেন। প্রচূর মদ্যপান করতেন তিনি। আয়ের টাকার পুরোটাই সেটার পেছনেই চলে যেতো। আনাকে তাই একটা ছোট বাড়ি ভাড়া নিয়ে নিচে একটা দোকান দিয়ে আয়ের ব্যবস্থা করতে বাধ্য করেন।

অস্কার বলে, তাঁর মদ্যপানের পেছনে বিশেষ কোনো সুখ বা দুঃখ ছিলো না। তিনি মদ্যপান করতেন কেননা, তিনি আদ্যোপান্ত একজন মানুষ ছিলেন, একফোঁটা মদও গ্লাসে ছেড়ে আসতে পারতেন না তিনি। 1917 সালে ফুতে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। অ্যাগনেসের কাজিন (আনার ভাইয়ের ছেলে) জ্যান ব্রনস্কি এরপর আনা এবং অ্যাগনেসের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। জ্যানের প্রতি অ্যাগনেসের ভালোবাসা জন্ম নেয় এসময়।

শারীরিক অযোগ্যতার কারণে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদান দিতে না পারলেও পোলিশ পোস্ট অফিসে একটি চাকুরির ব্যবস্থা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নার্স হিসাবে কাজ করার সময় অ্যাগনেসের সঙ্গে পরিচয় ঘটে যোদ্ধা আলফ্রেড ম্যাৎজারেথের সঙ্গে। 1923 সালে তারা বিয়ে করেন। আনা নিজের দোকানটি তাদের ছেড়ে দিয়ে তার ভাই ভিনসেন্ট ব্রনস্কির সঙ্গে তার পুরনো আলুেেত প্রত্যাবর্তন করেন। অ্যাগনেস এবং আলফ্রেডের ঘরে জন্ম নেয় অস্কার।

ড্রামে তাল দিয়ে অস্কার জানতে পারে, তার জন্মের সময় ওই ঘরের বাল্বের পাওয়ার ছিলো দুইশ ষাট ওয়াট। বাবা ম্যাৎজারেথের ইচ্ছা ছিলো, ছেলে বড় হয়ে দোকানের ভার নেবে। আর মা অ্যাগনেস বলেন, তিন বছর হলে অস্কার একটা খেলনা ড্রাম পাবে। অস্কার মার পইে যায়। এমনকি এই ড্রামের জন্যই সে আবার গর্ভে ফেরত যেতে চায়নি, অস্কার এমন কথাও বলে।

সারাজীবন ধরে মূল্যবান যে জিনিসটি অস্কার আগলে ধরে আছে সেটা হচ্ছে তাদের ফ্যামিলি ফটো অ্যালবাম। একটা মানুষের বিভিন্ন সময়ের ফটোগ্রাফসহ তাকে একটা ঘরে বন্দি রাখা একধরণের নারকীয় যন্ত্রণা। অস্কারের মনে পড়ে বন্ধু কেপের কথা, ও পছন্দ করতো ওয়েস্টার্ন ছবি, অস্কারের পছন্দ ছিলো ডাক্তার নার্স বিষয়ক ছবি। প্রতিবারই ছবি দেখে তারা কোনো একটা ফটো স্টুডিওতে গিয়ে পাসপোর্ট সাইজের ছবি তুলতো। কোনো একটা বারে গিয়ে বিয়ার-সসেজ-অনিয়ন ইত্যাদি খেতে খেতে টেবিলের উপর রেখে আগের সঙ্গে এখনকার ছবি তুলনা করতো।

তারপর ছবির বিভিন্ন অংশ কেটে জোড়া লাগাতো অন্যভাবে, নাক কেটে কানের উপর বসাতো। এরকম বিকৃত ছবি শেষে ওয়েটারকে দিয়ে দিতো। অস্কার নিজের ছবি কখনোই কোনো মেয়েমানুষকে দেয়নি। একবার, অস্কারের অজান্তেই তার একটা ছবি কেপ দিয়ে দেয় একটা মেয়েকে। অস্কার বলে, ছবি ফেরত চাওয়ার কারণেই ওর সঙ্গে মেয়েটার বিয়ে হয়।

ড্রামে তাল দিয়ে সে পরিবারের পুরনো ছবি উদ্ধার করে, সেগুলো ব্যাখ্যা করে বিভিন্নভাবে। ছোটবেলায় প্রফেশনাল স্টুডিওতে তোলা নিজের একটি ছবি নিয়ে সে ভাবে। কার্পেটের উপর বসা অস্কার_ মুষ্টিবদ্ধ হাত, গভীর চিন্তামগ্ন। তিন বছর তার হয়নি বলে ড্রামটি তখনো না পেলেও, ওর ধারণা, হাত দুটো ড্রামে তাল দেয়ার জন্য প্রস্তুত। এবার সে মনোযোগ দেয়, তৃতীয় জন্মদিনে তোলা ছবির দিকে_ তার হাতে ধরা দুটো ড্রামস্টিক।

নতুন ড্রামে তাল দিতে দিতে লাগোয়া মুদি দোকানে ঢোকে অস্কার। ষোড়শ সিঁড়িতে উঠে ময়দার বস্তার আড়ালে ড্রামটা লুকিয়ে রাখে, নবম সিঁড়িতে নেমে এসে লাফ দেয় সে। ফোরে এসে লাগে তার মাথা। ভাঙা কাচের শব্দে সবাই ছুটে আসে। চার সপ্তাহ হাসপাতালে থেকে বাড়িতে ফেরার পর থেকে সবসময় অস্কার ড্রামে তাল দেয়।

শব্দ দিয়ে কাচ ভেঙে ফেলার মতো অদ্ভূৎ এক কণ্ঠ আয়ত্ব করে সে। কোনো বাচ্চা ড্রামটি নিতে এলে ওই শব্দ সে ব্যবহার করতো। ড্রামটি পেটাতে পেটাতে মাঝখানে একটা গর্ত তৈরি হয়। ম্যাৎজারেথ ওটা একদিন নিকে এলে ভয়ংকর কাচভাঙা শব্দ করে ওঠে অস্কার, ঘরের ঘড়ি বিষ্ফোরিত হয়। কিন্তু পরে দেখা গেলো ঘড়িটি অকেজো হয়ে যায়নি।

চতুর্থ জন্মদিনে তাকে কোনো ড্রাম দেয়া হয়নি। বাচ্চারা ওর ভাঙা ড্রামটি নিতে চাইলে, ভয়ংকর শব্দটি করে ওঠে সে, ভেঙে যায় ঘরের সব বাল্ব। পরেরদিনই অস্কারকে একটি নতুন ড্রাম দেয়া হয়। পাচ বছর বয়সের মধ্যেই স্পষ্ট হয় যে, অস্কারের বৃদ্ধি থেমে গেছে। নিয়মিত তাকে ডাক্তার দেখাতে হয়, নার্সের প্রতি তার আকর্ষণের কারণও এটাই।

একবার ডাক্তার ওর ড্রাম ছিনিয়ে নিতে চাইলে ওর চিৎকারে ডাক্তারের চেম্বারের জারগুলো চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তিনি ঘটনাটা একটা মেডিকেল জার্নালে প্রকাশ করেন। মানসিক হাসপাতালে আসার পর সে কিন্তু কোনো কাচ ভাঙতে পারেনি। প্রথমদিন স্কুলে যাবার সময়, আলফ্রেড তার হাত থেকে ড্রামটি কেড়ে নিতে চাইলে ওর চিৎকারে ফুলদানী ভেঙে চুরমার হয়। শেষমেশ ড্রাম নিয়েই স্কুল যায় সে।

অ্যাগনেস খানিক লজ্জিত হন এতে। কাসের বাচ্চাগুলোকে ইচ্ছামতো গান গাইতে দেখে অস্কার ওর ড্রাম নিয়ে পেটাতে থাকে। শিকও ওকে সাহস দেন। অস্কারের বাবা-মা ওর পড়াশোনা নিয়ে আর তেমন উদ্বিগ্ন নয়। একসময় গ্রেচেন শেফলার অস্কারের শিক হন।

তার মাধ্যমেই একসময় রাসপুটিন এবং গ্যেটে পড়তে উদ্বুদ্ধ হয় অস্কার। আর এরাই বাকি জীবন গড়ার েেত্র ওর অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছেন। মানসিক হাসপাতালে ড. হর্নস্টেটার অস্কারের ছেলেবলার নিঃসঙ্গতাকেই তার অসুস্থতার জন্য দায়ি করেন। অস্কারের মা প্রতি দুসপ্তাহ পরপর বৃহস্পতিবার করে সিগিসমান্ড মার্কাসের খেলনা দোকান থেকে তাকে একটি নতুন খেলনা ড্রাম কিনে দিতেন। সাত থেকে দশ বছর পর্যন্ত এভাবেই চলে।

দশ থেকে চৌদ্দ বছরে সেটা কমে প্রায় প্রতি সপ্তাহ বা তারও কম সময়ে ড্রাম পেতো। পরে, এটা নির্ভর করতো অস্কারের মানসিক অবস্থার উপর। একবার অপেরা দেখতে গিয়ে অস্কার ঘুমিয়ে পড়ে। কানফাটানো শব্দে তার ঘুম ভেঙে গেলে জেগে দেখে, এক মহিলা স্টেজে গান গাইছে, তার উপরে স্পটলাইট। অস্কারের মনে হলো, ব্যাথায় বুঝিবা মহিলা চিৎকার করছে আর স্পটলাইট নেভাতে বলছে।

অস্কার তাই চিৎকার করে ওখানকার সব লাইট ভেঙে দেয়, অন্ধকারে নিজের ড্রামটাও হারায় সে। এ-ঘটনার পর অস্কারকে সার্কাসে নিয়ে যান অ্যাগনেস। সেখানে নিজের মতোই ুদ্রাকৃতির ভাঁড় বেব্রাকে দেখে অস্কার। বাকিজীবনের জন্য এই বেব্রাই হয় তার রোল মডেল। গর্ভে তিন মাস বয়সী বাচ্চাসহ মার মৃতু্যর পর অস্কারের ইচ্ছাশক্তি নষ্ট হয়ে যায়, ড্রামে তাল দেয়া থেমে যায়, একা একা হাটে শুধু।

এরকম সময় বেব্রার আমন্ত্রণে একদিন তার কাছে যায় অস্কার। বেব্রার সঙ্গে তাদেরই মতো বৃদ্ধিপ্রতিবন্ধী (বামন) মেয়ে রসবিথা রাগুনা। মেয়েটি তাকে ইওরোপ ভ্রমণের প্রস্তাব দিলে ফিরিয়ে দেয় অস্কার। আলফ্রেড, জ্যান সবাইকেই দূরের মনে হয় তার। আনা এমনকি মার মৃতু্যর জন্য অস্কারের ড্রাম পেটানোকেই দায়ী করেন।

খেলনা দোকানের মালিক মার্কাসের মৃতু্য হলে মাত্র তিনটি ড্রাম সংগ্রহ করতে সম হয় অস্কার। এরপর থেকে খুব সাবধানে ড্রামে আঘাত করে সে। নষ্ট হওয়া ড্রামগুলো মেরামত করতে পারবে পোলিশ পোস্ট অফিসে জ্যানের পুরনো সহকমর্ী কয়বেলা। কয়বেলার সন্ধানে পোস্ট অফিসে গিয়ে তাকে না পেয়ে চিঠিপত্রে ভর্তি দোতলার একটা জানালাবিহীন ঘরে ঢুকে ঘুমিয়ে পড়ে অস্কার। মেশিনগানের শব্দে ঘুম ভাঙে অস্কারের, জার্মানরা আক্রমণ করছে পোলিশ পোস্ট অফিসটিতে।

তড়িঘড়ি একটা চিঠির বাক্সে নিজের ড্রামটি লুকিয়ে রাখে অস্কার। মারাত্মক আহত হয় ড্রাম মেরামতকারী কয়বেলা। গার্ডরা ওই রুমে আসলে অস্কার বলে যে, জ্যান তাকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেছে। জ্যানসহ আরো অনেককে যুদ্ধবন্দি হিসাবে নিয়ে যাওয়া হয়, এবং পরে তাদেরকে মেরে ফেলা হয়। জীবনে দুটো মহা অপরাধের কথা স্বীকার করেছে অস্কার_ অ্যাগনেস এবং জ্যানের মৃতু্য সে-ই ঘটিয়েছে।

অ্যাগনেসের মৃতু্যর পর দোকানের কাস্টমার কমে যায় বেশ, অস্কার খাটো-ছোট বলে ওকে সহযোগিতা করার জন্য মারিয়াকে নিয়ে আসেন আলফ্রেড। মারিয়া অস্কারের প্রথম ভালোবাসা। মারিয়া দুঃসাহসী কিসিমের মেয়ে। অস্কারকে নগ্ন করে বাথটাবে নিয়ে যায়, ওর সামনে পোষাক খুলে ফেলে। মারিয়ার গা থেকে ভ্যানিলার গন্ধ পায় অস্কার।

1940-এর জুলাইয়ে একবার বিচে যায় দুজনে। ছোট বিবেচনায় অস্কারও মেয়েদের পোষাক বদলানোর রুমে ঢুকে পড়ে। প্রথমে পোষাক খোলে অস্কার। মারিয়া পোষাক খুলতে শুরু করলে অস্কার উত্তেজিত হয়, ঝাপিয়ে পড়ে মারিয়ার উপর, মুখ নিয়ে যায় মারিয়ার উরুসন্ধির লোমে, ভ্যানিলার গন্ধের সন্ধান পেতে চায় সে। মারিয়া হাসে।

ফিজ পাউডার নামে একধরণের সোডার বিকল্প পাউডার বিক্রি করতেন অ্যাগনেস। এই ফিজ পাউডার পানিতে দিলে সোডার মতো বুদবুদ ওঠে এবং পানির পিপাসা মেটায়। যুদ্ধের প্রথম গ্রীষ্ম অস্কার এবং মারিয়া কাটায় বিচে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত রুমে কাটায়। একদিন, খুবস পিপাসার্ত অবস্থায় নিজের বিচ ব্যাগে মারিয়া আবিষ্কার করে একটি ফিজ পাউডারের ব্যাগ। এই ফিজ পাউডার এক রাতে মারিয়ার নাভিতে রেখে জিব দিয়ে চাটে অস্কার।

তূরীয় উত্তেজনায় নিয়ে যাবার েেত্র এটা বেশ ভালো কাজে দেয়। মানসিক হাসপাতালে একদিন ফিজ পাউডারের কথা মনে পড়ে অস্কারের। দারোয়ান ব্রুনোকে পাঠায় কিনে আনতে, কোথাও পায় না সে। মারিয়া আসলে তাকে ফিজ পাউডারের কথা শোনায় অস্কার। মারিয়া এড়িয়ে যেতে চায় ওসব কথা।

কিন্তু অস্কার বলে, সে কখনো ফিজ পাউডারের কথা ভুলতে পারে না, কেননা এই ফিজ পাউডারই তাকে বাবা হতে সাহায্য করেছে। সেই রাতে এই ফিজ পাউডার পর্বের পরই মারিয়া গর্ভবতী হয়। সে নিশ্চিত, কেননা মারিয়া এবং আলফ্রেডকে সোফার উপর আপত্তিকর অবস্থায় পেয়েছে আরো প্রায় দশদিন পর। যাহোক, মারিয়া গর্ভবতী হলে আলফ্রেড তাকে বিয়ে করে। তবুও, মারিয়ার ছেলে কার্টকে সে নিজের ছেলেই মনে করে, যেমন নিজেকে সে জ্যান ব্রনস্কির ছেলে মনে করে।

গর্ভবতী মারিয়ার পেট উচু হবার সঙ্গেসঙ্গে তার প্রতি অস্কারের ঘৃণাও বাড়তে থাকলো। ছেলের নাম ব্রনস্কি না হয়ে ম্যাৎজারেথ হবে ভেবে বিরক্ত হয় অস্কার। সিদ্ধান্ত নেয়, মারিয়ার গর্ভপাত ঘটাবে সে। গর্ভের পাচমাসের সময় মারিয়াকে সিড়ির উপর থেকে ফেলে দেয় সে, অবশ্য বাচ্চার কোনো তি হয়নি। প্রসবের নির্ধারিত সময়ের সপ্তাহ তিনেক আগে আরো একবার সে চেষ্টা করেছে।

মারিয়া ঘুমাচ্ছিলো। একজোড়া কাচি দিয়ে মারিয়ার পেট ফুটো করে দেবার চেষ্টার গোড়াতেই অস্কারের হাত ধরে ফেরে সে। অস্কারের হিসাব অনুযায়ী দুসপ্তাহ আগেই তার ছেলের জন্ম হয়েছে। তৃতীয় জন্মদিনে ছেলেকে সে একটা খেলনা ড্রাম দেবার কথা ভাবে। সার্কাসের বেব্রা আর্মির প্রোপাগান্ডা কোম্পানিতে চাকুরি পেয়েছে, এখানেও ওর কাজ সৈন্যদের মনোরঞ্জণ।

বেব্রা আর রসবিথা এবার অস্কারকে প্যারিস এবং পশ্চিমে ভ্রমণের জন্য রাজি করাতে সম হয়। দীর্ঘ ভ্রমণ শেষে ফিরে আলফ্রেডকে অন্যরূপে আবিষ্কার করে সে। তাকে ফিরে পেয়ে আলফ্রেডের বাকরুদ্ধ কান্নায় সে একজন প্রকৃত বাবার প্রতিচ্ছবি ফিরে পায়। এদিকে পুলিশের তল্লাশি হয়েছে, তারাও স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, ওরা অস্কারকে মারেনি। এখন মিনিস্ট্রি অব পাবলিক হেলথ থেকে একজন লোক এসে অস্কারকে মানসিক হাসপাতালে পাঠাতে বলেন, কিন্তু আলফ্রেড কোনোভাবেই রাজি নন, কেননা অ্যাগনেসকে তিনি কথা দিয়েছে এটা হতে দেবেন না।

পরেরদিন কার্টের তৃতীয় জন্মদিন, অনেক খেলনাই সে ইতিমধ্যে পেয়েছে, এবং অধিকাংশ নষ্টও করে ফেলেছে। এরইমধ্যে সে অস্কারের চেয়ে ইঞ্চিখানেক লম্বা। অস্কার ভাবে, এটাই উপযুক্ত সময় ছেলে কার্টকে ড্রামার বানানোর, এবং তার অপ্রয়োজনীয় বৃদ্ধি বন্ধ করার। দোকানের দায়িত্ব যেহেতু অস্কার নেয়নি, তাই সে ভাবে, নিশ্চয়ই আলফ্রেড কার্টকেই উত্তরসূরী করতে চায়। যেকোনো মূল্যে এটা ঠেকাতে হবে।

অস্কার চায় কার্টকে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে। এবং দুজনে একসঙ্গে ড্রাম বাজনোর স্বপ্নও দেখে মাঝেমাঝে। তিনবছর বয়সী কার্টকে ড্রাম দেয়ার ঘটনাটা বেশ মজার। খেলনা নৌকা নষ্ট করার পালা শেষ করে ড্রামটি সে হাতে নেয়। অস্কার তার হাতে ড্রামস্টিক তুলে দিলে সে ভুলবশত মাটিতে আঘাত করতে থাকে।

অস্কার তাকে দেখিয়ে দিতে চাইলে কার্ট তাকে ড্রাম দিয়ে পেটাতে থাকে। তারপর ড্রাম দিয়ে আঘাত করতে থাকে চেয়ারের গায়ে, শেষে ভাঙা খেলনা নৌকা দিয়ে ড্রামে আঘাত করতে থাকে, এতে অবশ্য ছন্দময় কোনো শব্দ তৈরি হয়নি। মানসিক হাসপাতালে প্রতিদিন সকালের নাস্তার পর অস্কারের উচ্চতা মাপার জন্য দারোয়ান ব্রুনোকে অনুরোধ করে। সারাজীবন তার উচ্চতা তিন ফুট হলেও, এখন উচ্চতা দাড়িয়েছে চার ফুট এক ইঞ্চিতে। এর মথ্যে ম্যাৎজারেথের মৃতু্য হয়েছে।

অস্কার বর্ণনা করে, ম্যাৎজারেথের কবরে সে তার ড্রাম ছুড়ে দিলে পেছন থেকে তার ছেলে কার্ট একটা পাথর দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। অস্কার লাফ দিয়ে ড্রামটি নিতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। মারিয়া বলে, আঘাতের পর থেকেই ওর উচ্চতা বাড়তে থাকে, যদিও স্বাভাবিকভাইে ওর উচ্চতা বাড়তে শুরু করেছে। অস্কার বলে, শারীরিক বৃদ্ধির ব্যাথা এখনো সে অনুভব করে, দাতে দাত চেপে শরীরের জয়েন্টগুলোর ব্যাথা হজম করে। আঙুলগুলো ফুলে আছে, ড্রামস্টিক ধরতে কষ্ট হয়, ফাউন্টেন পেন দিয়ে লেখতেও পারে না।

দারোয়ান ব্রুনোর মতে হাসপাতালের সবচেয়ে নিরীহ রোগী অস্কার, তাকে সামলানোর জন্য কখনো নার্স ডাকতে হয়নি। মানসিক হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ দিলে অস্কার চলে আসে মারিয়ার বোন গুস্তের বাসায়। মারিয়া আর কার্ট কালোবাজারি ব্যবসায় নেমেছে। ম্যাৎজারেথের মতো, মারিয়া সবসময় কৃত্রিম মধুর ব্যবসা করতো। গুস্তের কিচেনে বসে ওজন দিয়ে প্যাকেট করার দায়িত্বে নিয়োজিত হলো অস্কার।

ছয় বছর বয়সী কার্ট প্যাকেটের গায়ে লেবেল করতে ব্যস্ত। গুস্তে কফি খেতে খেতে অস্কারের নতুন গজানো কুঁজের ওপর মৃদু আঘাত করে; গুস্তের মনে হয়েছে ওটা সৌভাগ্যের প্রতীক। সে অবশ্য কালোবাজারিতে তার অনীহা প্রকাশ করেছে। কার্ট সমপ্রতি চকমকি পাথরের ব্যবসা শুরু করেছে। বেশ বিচণতার সঙ্গেই কাস্টমারদের সামলাচ্ছে সে।

পাথর ব্যবসা তার একচেটিয়া আয়ত্বে এসে গেছে, এ মতার উৎস অবশ্য কেউ জানে না। অস্কার অনেকবার তর্জন-গর্জন করেছে উৎস জানাবার জন্য, কার্ট কোনোমতেই বলতে রাজি নয়। মারিয়াও রুষ্ট হয়েছে তাতে, কেননা অস্কার পরিবারের আয়ের কোনো উপায় বার করতেই সহযোগিতা করছে না। কার্টের কাছ থেকে অস্কার পকেট খরচও নিচ্ছে, আর টাকা রোজগারের অপারগতার লজ্জা ঢাকবার জন্য সারাদিন বাইরে থাকে। একসময় বয়স্ক শিার ব্যাপারে অস্কারের উৎসাহ দেখা দেয়।

সে নিয়মিত বৃটিশ সেন্টারে ধর্মবিষয়ক আলোচনায় অধিক সময় দিতে থাকে। বেশি বেশি পড়াশোনার পাশাপাশি থিয়েটারেও নিয়মিত যাতায়াত বাড়ে অস্কারের, কিন্তু সংস্কৃতমনা হয়নি মোটেও। অতিউৎসাহ একসময় থেমে যায়, 1947-এর বসন্তে সবকিছু ছেড়ে দেয় সে। ম্যাৎজারেথের মৃতু্যর দুবছরও পার হয়নি; এরই মধ্যে বড় হওয়ার চেষ্টায় অস্কার কান্ত। সে বরং তিন ফিট উচুই থাকতে চায়, ফিরে পেতে চায় তার ড্রাম।

একদিন সিটি হাসপাতাল ঘুরতে যায় অস্কার, নার্সরাও গল্পসল্প করে তার সঙ্গে। এক নার্সকে বাজিমাত করতে চায় অস্কার, কিন্তু ড্রাম ছাড়া নিজের মতা নিয়ে সে নিশ্চিত হতে পারে না। হাটতে হাটতে সে কবরস্থানের দিকে যায়। ওয়েস্টার্ন সিমেিেট্রর পাশে বেশ কয়েকটি সমাধিপ্রস্তরের দোকানের মধ্যে পি. কর্নেফের দোকানের সামনে থামে সে। জীর্ণ বৃদ্ধ কর্নেফ দোকান থেকে বেরুলে অস্কার তাকে দোকানে কাজ দিতে অনুরোধ জানায়।

বৃদ্ধ জানায়, কাজটি বেশ কঠিন। তবু অস্কার ছাড়ে না। শেষমেশ মাসিক 100 রিচমার্ক বেতনে কর্নেফের দোকানে কাজ করতে শুরু করে অস্কার। পাথরে খোদাই করার কাজ যে ভীষণ কষ্টসাধ্য, অচিরেই সেটা টের পায় সে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই এই কাজে সে তার পটুত্ব দেখাতে সম হয়।

অস্কারও বেশ আনন্দ পায় তার কাজে। নতুন নতুন পোষাক পরে অস্কার; ড্যান্স পার্টিতে যায়। এরকমই আর্টিস্টদের বল উৎসবে সুন্দরী উলার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। অস্কার সিদ্ধান্ত নেয় উলাকে সে অ্যাকাডেমির আর্টিস্টদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবে, সেখানে সে মডেল হতে পারে। করপোরাল ল্যানকেস আইডিয়াটা পছন্দ করেন, এবং নিজের স্টুডিওর পেছনে উলাকে রাজিও করান।

অস্কার আর উলা নগ্ন পোজ দিতে শুরু করে। ছাত্ররাও বেশ গ্রহণ করে দুজনকে; রাসকোলনিকভ নামক এক ছাত্রতো দুজনের নগ্ন ছবিকে বলতে থাকে "ম্যাডোনা 49"। তাদের দুজনের নগ্ন ছবির প্রদর্শনীর পোস্টার দেখে মারিয়া দেখতে যায়। ফিরে এসে মারিয়া বলে, অস্কারের কোনো সাহায্য বা আর্থিক সহযোগিতা তার প্রয়োজন নাই। অস্কার চলে যায়।

একটা বাড়ি ভাড়া করে, বিশেষত পাশে এক নার্স থাকে শুনে বাড়িটি পছন্দ করে সে, কিন্তু সহসা নার্সকে সে দেখতে পায় না। না দেখতে দেখতে সেই নার্স সিস্টার ডরোথিয়ার প্রতি একরকমের ঘোরের জন্ম নেয়। এছাড়া সমাধিস্তম্ভের পাথর খোদাই, আর উলার সঙ্গে পোজ দিয়ে সময় কাটায় সে। মাঝখানে বন্ধু কেপের সঙ্গে ব্যান্ড দল গঠন করেছিলো অস্কার, সে ড্রাম বাজাতো। সমপ্রতি কেপের সঙ্গে গান করে না অস্কার; অবশ্য এখনো একসঙ্গে তারা সময় কাটায়।

আর এই কেপের জন্যই অনেক টাকা রোজগার করার পরও এখনো আগের ফ্যাটেই থাকে অস্কার। একটা রেকর্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয় তার। রেকর্ডও বাজারে হটকেক, প্রচূর টাকার মালিক হয় অস্কার। মারিয়াকে প্রস্তাব দেয়, সে যদি তার নতুন প্রেমিক স্টেনজেলকে ছেড়ে দেয়, তাহলে অস্কার মারিয়াকে একটি আধুনিক দোকান কিনে দেবে। মারিয়া রাজি হয়।

দুজনে মিলে সুন্দর করে সাজায় দোকানটা। উন্নতিও হয় তাড়াতাড়ি, আরো একটা দোকান দিতে সম হয় তারা। সিস্টার ডরোথিয়া চলে গেল সেই রুমটাও অস্কার ভাড়া নেয়, যেন অন্য কেউ সেটা ভাড়া নিতে না পারে। ব্রেবের মৃতু্যতে অস্কার ভেঙে পড়ে, এবং অন্যরকম কিছু একটা করতে চায়। একবার লাক্স নামক একটা কুকুর ভাড়া করে সে।

কুকুরটিকে নিয়ে নদীর ধারে যায়। কিছুণ পরে কুকুরটি মুখে কী যেন একটা নিয়ে আসে, খুলে দেখে একটা মহিলার রিংফিঙ্গার। পকেটে নিয়ে অস্কার ফেরার পথে বন্ধু ভিতলার জিজ্ঞেস করে তার পকেটে কী আছে। তিনদিন পর অস্কার ভিতলারকে নিজের এবং সিস্টার ডরোথিয়ার রুম দেখায়। ডরোথিয়ার রুমে একটি কাচের জারে অ্যালকোহলে ডুবিয়ে রাখা আছে আঙুলটি।

অস্কার বলে, সে মাঝেমাঝে ওটা পুজা করে। ভিতলার অস্কারকে খুনের জন্য সন্দেহ করে। মানসিক হাসপাতালে অস্কার তার তিরিশতম জন্মদিনের বর্ণনা লেখে। কেপ জ্যাজ রেকর্ড আর ভিতলার চকোলেট উপহার দিয়েছে তাকে। কেপ আর ভিতলার বলে, তিরিশ বছর বয়সে যিশুর শিষ্য জড়ো হতে শুরু করে।

অস্কারের এটা পছন্দ হয় না। সিস্টার ডরোথিয়াকে প্রেমপত্র পাঠাতো ড. এরিক বার্নার, মাঝেমাঝে দুএকটা চিঠি লুকিয়ে পড়তো অস্কার। সিস্টার ডরোথিয়া বার্নারকে ভালো না বাসলেও, তার ঘনিষ্ট বন্ধু সিস্টার বিয়াটা ভালোবাসতেন ড. বার্নারকে। ঈর্ষাকাতর হয়ে সিস্টার বিয়াটা মেরে ফেলেন সিস্টার ডরোথিয়াকে। এমনকি ড. বার্নারেরও মৃতু্য ঘটে বিয়াটার হাতেই।

অস্কারের ল'য়ার তাকে এসব কথা বলেন। অস্কারের ভাষায় তার সংপ্তি জীবনী_ "আর কী বলবো: জন্মেছি অল্প পাওয়ারের লাইটে, তিন বছর বয়সে বৃদ্ধি থেমে যায়, ড্রাম পেলাম, শব্দ করে কাচ ভাঙলাম, ভ্যানিলার ঘ্রাণ পেলাম, আবার বাড়তে শুরু করলাম, ড্রাম ছেড়ে দিলাম, পাথর কাটা শিখলাম, টাকা কামিয়েছি প্রচূর, আঙুল পেলাম, ফেরতও দিলাম সেটা, আটক করা হলো, অপরাধী সাব্যস্ত করা হলো, মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হলো, মুক্তির অপোয় আছি, তিরিশতম জন্মদিন উদযাপন করছি, তবু সেই কালো ডাইনির ভয়ে কুচকে আাছি। " অস্কার বলে, কাল সে আবার ড্রাম বাজাবে কালো ডাইনির উদ্দেশে, তার সঙ্গে কথা বলবে। সবকিছুর মধ্যেই এই ডাইনি তার সঙ্গে ছিলো। সবসময় তার পেছন পেছন ডাইনির ছায়া ছিলো, সামনেও আছে, ক্রমাগত কাছে আসছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.