আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাসূল (সা কে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ(শেষ পর্ব)

পরির্বতনের সময় এখন....

পূর্বাংশ এখানে পড়ুন Click This Link *ওহুদের যুদ্ধে যখন মুসলিম বাহিনী বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তখন শত্রুপ রাসুল (সা লক্ষ্য করে তীর নিক্ষেপ করছিলো । এ অবস্থায় হযরত আবু তালহা (রা অস্থির হয়ে পড়েন রাসূল (সা কে হেফাজত করার জন্য । অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি রাসূল সা: এর উপর উপুড় হযে পড়েন, ফলে নিক্ষিপ্ত তীর টি তার পিঠে আঘাত হানে । আর এভাবেই তিনি রাসূল (সা কে নিজের জীবনের বিনিময়ে রক্ষা করেন । এজন্যই তাকে কে রাসূলের ঢাল বলা হয়ে থাকে.... *ওহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের মনোবল ভেঙ্গে ফেলার জন্য একটি গুজব ছড়ানো হলো যে রাসূল (সা ইন্তেকাল করেছেন।

মদিনার এক আনসার মহিলা এ সংবাদ শুনে অস্থির হয়ে পড়েন এবং যুদ্ধ প্রান্তের দিেেক দৌড়াতে থাকেন । পথিমধ্যে একপথিক মহিলাকে বললো তুমি কোথায় যাচ্ছ ? মহিলা বললো, আমার রাসূলের কাছে যাচ্ছি। পথিক বললো , তুমি কি জানো যুদ্ধে তোমার স্বামী শহিদ হয়েছেন । প্রতিউত্তরে তিনি বললেন রাখ স্বামীর কথা আগে বলো আমার রাসূলের খবর কি??এ কথা বলে সামনের দিকে দৌড়াতে শুরু করে । পথিমধ্যে আরেক পথিকের সঙ্গে সাাৎ , তুমি কি শুনতে পেয়েছ যে তোমার ছেলে শাহাদাৎ বরন করেছে? তিনি জানতে চাইলেন আগে বলো আমার রাসূলের খবর কি ? এবং ব্যাস্ত হয়ে ছুটতে লাগলেন।

পথিমধ্যে অপর এক ব্যক্তি সংবাদ দিলেন যে, তুমি কি জানো যুদ্ধে তোমার পিতা শাহাদৎ বরণ করেছেন..... তিনি আবরও জানতে চাইলেন আগে বলো আমার রাসূলের খবর কি??? এ বলে দ্রুত যুদ্ধের ময়দানে পৌছলেন এবং রাসূল সো কে দেখে শান্ত হলেন এবং হে আল্লাহর রাসূল আপনাকে দেখে আমার সব মসিবত হালকা হয়ে গেলো । অর্থাৎ স্বামী, সন্তান ও পিতা হারানোর বেদনা রাসূলকে দেখে হালকা হয়ে গেলো। তিনি রাসূল (সা কে তার স্বামী , সন্তান , পিতা থেকেও বেশী ভালোবেসেছে । আর এধরনের নজির কিন্তু অনেক রয়েছে ইতিহাসের পাতায়... রাসূল (সা নিজেই তার মহব্বতের তাৎপর্য এভাবে তুলে ধরেছেন ু "আমার সুন্নতকে যে ভালোবাসলো, সে যেন আমাকে ভালোবাসলো , আর যে আমাকে ভালোবাসলো , সে জান্নাতে আমার সঙ্গে থাকবে (বুখারী)" তাই আসুন সবাই মিলে রাসূলকে ভালোবেসে, রাসূলের আদর্শকে ভালোবেসে প্রকৃত মুমিন রুপে সুন্দর ও সূখী জীবন গড়ে তুলি এবং সুন্দর সমাজ গড়ে তুলি। তবে এ কথা আমাদের অবশ্যই স্বরন রাখতে হবে যে, সন্তানকে তার পিতা-মাতার প্রতি এবং পিতা-মাতাকে তার সন্তানের প্রতি , স্বামীকে তার স্ত্রীর প্রতি এবং স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য এর কথা কোরআন ও নবী করীম (সা উল্লেখ করেছেন তা যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে.... রাসূল (সা বলেন " মহান আল্লাহ তাআলা তার ইচ্ছা অনুযায়ী সকল পাপই মা করেন, কিন্তু পিতামাতার অবাধ্যতার পাপ তিনি মা করেন না( বায়হাকী) আরো বলেন "তারাই( পিতামাতা) তোমার বেহশত ও দোযখ" (ইবনে মাজাহ) আর সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্যের কথা বলতে গেলে .... হাদিস শরীফে বর্নিত আছে , সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার পরই পিতামাতার উপর তাদের চারটি হক আসিয়া দাড়ায়" আর সন্তান বড় হওয়ার সাথে সাথে তা আরো বৃদ্ধি পায়।

আবার স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্যের কথা বলতে গিয়ে..... হজরত (দ বলিয়াছেন " যে স্ত্রীলোক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়াছে, রমজানে রোজা রাখিয়াছে, িনজের শরম গাহকে( কুকার্য হইতে) পবিত্র রাখিয়াছে এবং স্বামীর খেদমতে নিজেকে নিয়জিত রাখিয়াছে, সে বেহশতের 8টি দরজার যে কোন একটি দ্বারা প্রবেশ করিতে পারিবে নিজের ইচ্ছেমত" তিনি আরো বলেন "যখন স্বামী আপন বিবিকে ডাকিবে তখনই আসিয়া হাজির হইতে হইবে, যদিও সে স্ত্রী তন্দুরের( দুধ জাল দেওয়ার কাজে নিবিষ্ট) উপর থাকে । " স্ত্রীর উপর স্বামীর যেমন কতগুলো হক আছে তেমনি স্বামীর উপরও স্ত্রীর কতগুলো হক আছে....এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন " ( হে মুসলমানগন) তোমরা নিজ বিবিদের সহিত সদাচার ও সদ্ব্যবহারে জীবন যাবন কর " এ সম্পর্কে রাসূল (সা বলেছেন " তোমাদের কেহ যেন নিজের স্ত্রীকে ক্রীতদাসের ন্যায় প্রহার না করেন, অথচ তারপর দিবসের শেষভাগে ( অর্থাৎ কোনও সময়) তাহার সহিত সঙ্গম করিবে " ( বোখারী, মোছলেম) (শেষ) ( আমি এ লেখাটি লিখতে অনুপ্রানিত হয়েছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের লেকচারার এর লেকচার শুনে। একটি অনুষ্টানে তিনি এ সম্পর্কিত একটি বিবৃতি পেশ করেন। উনার নামটা মনে না আসাতে বলতে পারলাম না । এ লেখাটি উনাকে উৎসর্গ করলাম)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.