আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের মোল্লার কি ফাসি হবে নাকি যাবতজীবন?

কাদের মোল্লার রায় যেকোন দিন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছে। বিচারপতি এম ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২ গতকাল এ আদেশ দেয়। একই ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক রুকন মাওলানা আবুল কালাম আযাদের মামলাটিও রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-১ এ জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলাটি একবার রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হলেও ট্রাইব্যুনালে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হওয়ার পর মামলাটির যুক্তিতর্ক নতুন করে শোনা হচ্ছে।

আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গতকাল ছিল শুনানির শেষ দিন। ২০১১ সালের ৩১শে অক্টোবর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়। ১৮ই ডিসেম্বর প্রসিকিউশন কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। এরপর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়েছিলো, ১৯৪৮ সালে ফরিদপুরের আমিরাবাদ গ্রামে কাদের মোল্লা জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৬ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় তিনি ছাত্রসংঘে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মিরপুরের আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জন এবং কবি মেহেরুননিসাকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ছয়টি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। প্রথম অভিযোগে বলা হয়, কাদের মোল্লার নির্দেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে আটক মিরপুর বাঙলা কলেজের ছাত্র পল্লবকে একাত্তরের ৫ই এপ্রিল গুলি করে হত্যা করা হয়। দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ কাদের মোল্লা তার সহযোগীদের নিয়ে কবি মেহেরুননিসা, তার মা ও দুই ভাইকে মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসায় গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন। তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৯শে মার্চ বিকালে আরামবাগ থেকে সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনের বাসস্ট্যান্ডে গেলে কাদের মোল্লা ও তার সহযোগীরা তাকে ধরে জল্লাদখানায় নিয়ে জবাই করে হত্যা করেন।

চতুর্থ অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫শে নভেম্বর সকাল সাতটা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত কাদের মোল্লা ও ৬০-৭০ জন রাজাকার রাজধানীর কেরানীগঞ্জে যান। সেখানে মোজাফফর আহমেদ খান, মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি ও গোলাম মোস্তফাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। পঞ্চম অভিযোগ অনুযায়ী, ২৪শে এপ্রিল পাকিস্তানি সেনাদের একটি হেলিকপ্টার মিরপুরের আলোকদি গ্রামের পূর্বদিকে নামে। কাদের মোল্লা অর্ধশতাধিক অবাঙালি ও রাজাকার নিয়ে গ্রামের পশ্চিম দিক থেকে ঢোকেন এবং গুলি ছুড়তে থাকেন। ওই ঘটনায় ৩৪৪ জনের বেশি মারা যান।

ষষ্ঠ অভিযোগে বলা হয়, ২৬শে মার্চ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কাদের মোল্লা তার সহযোগীদের নিয়ে মিরপুরের ১২ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর কালাপানি লেনের হযরত আলীর বাসায় যান। কাদের মোল্লার নির্দেশে হযরত আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.