বিলটি সংসদে পাস হলে দুটি আইনে দণ্ডপ্রাপ্তরা ভবিষ্যতে আর বাংলাদেশের ভোটার হতে পারবেন না। এখন কারো নাম তালিকায় থাকলে তাও বাদ দেয়া হবে।
সোমবার জাতীয় সংসদে ভোটার তালিকা (দ্বিতীয় সংশোধন) বিল-২০১৩ উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
পরে এটি সাতদিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে রিপোর্ট দেয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
এ আইন কার্যকর হলে ‘বাংলাদেশ কোলাবোরেটরস (স্পেশাল ট্রাইব্যুনালস) অর্ডার-১৯৭২’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইবুনালস)অ্যাক্ট-১৯৭৩’ এ দণ্ডপ্রাপ্তরা বাংলাদেশের ভোটার হতে পারবেন না।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতেই দালাল আইনে দণ্ডিতদের ভোটার হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকাভুক্ত হতে পারবেন, যদি তিনি ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ যোগসাজশকারী (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল) আদেশের অধীন কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত না হয়ে থাকেন। আর সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, “ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া এবং জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় পর্যায়ের যে কোনো নির্বাচনে ভোট প্রদান একজন প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিকের সাংবিধানিক ও আইনী অধিকার।
এধরণের অধিকার প্রাপ্তি ও প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি তার আনুগত্য। যে সকল নাগরিক বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, মুক্তিযুদ্ধকালে মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় বিরোধিতা করেছেন ও যুদ্ধাপরাধসহ গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন এবং যাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত এ সকল অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হয়েছে তাদের ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া ও থাকা সমীচীন নয়। ”
এদিকে সোমবার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্তদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়।
রায়ে এ পর্যন্ত ছয়জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, যাদের চারজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, বাকি দুজনের কারাদণ্ড হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- গোলাম আযম, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মো. মুজাহিদ, আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামরুজ্জামান ও আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় আপিল বিভাগে বহাল থাকলে তাদের আর ভোটাধিকার থাকবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।