যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।
শিরোনামটা ফ্রাঞ্জ কাফকার মেটামরফসিস থেকে ধার করা। শিক্ষাগত বদ্ধ ব্যবস্থায় ব্লগে বসার সময় সেভাবে করে উঠতে পারছিনা। এজন্যই মনে হল ক্ষুদ্র আকারে হলেও প্রতিদিনকার মেটামরফোসিসগুলো লিখে রাখা যেতে পারে।
মূলত সে উদ্দেশ্যেই এই সিরিজ। প্রত্যাশা করছি আমাদের নিরন্তর রূপান্তরের খন্ডিত কিছু অংশ এখানে প্রতিফলিত হবে। আর বৌদ্ধিক অনুপ্রেরণার জায়গা হিসেবে সুমন চৌধুরীর জেনেসিস যে প্রভাবক ভূমিকা রেখেছে তা শিরোনামেই স্পষ্ট।
মেটামরফোসিস 1: একটা শাণিত শেয়ালের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রানসপোর্টে দাঁড়িয়ে আছি। পুরোনো বন্ধুত্ব, তবে প্রকাশে যতটা অন্তরে ততটা নয়।
দুজনই ভালো মুখোশ চিনি এমন কি নিজেদেরটাও, একটু প্রতিযোগীতাও নিশ্চই করি। বন্ধুদের সাথে সেদিনের মত বিদায় নিয়ে বাসের চয়ারে শয়তানের উপাসনা নিয়ে কথা হচ্ছিল। শেয়াল হলেও তথ্যে সম্মৃদ্ধ , আলোচনা জমে উঠতে শুরু করেছিল এবং ঢাকার উদ্দেশ্যে বাস চলা শুরু করে দিয়েছিল। আমরা গান শুনছিলাম আর ও পিঠ চুলকিয়ে বন্ধুত্ব গভীর করার চেষ্টা করছিল। বাস থেকে নামার পর রিকশায় করে ফেরার সময় জিগ্গেস করল, "আজকে বাসে লক্ষ্য করলাম তুই আমাকে পড়ার চেষ্টা করছিস, কিছু জানার থাকলে সরাসরি বল।
" আমি হাসলাম মনেমনে বললাম স্মার্টএবং দু:খ পেলাম, বললাম আমি তোমাকে পড়ার চেষ্টা করছি না, আজকে তো নয়ই। খুব ভালো মুডে আছি। ও বিশ্বাস করল না অথবা করতে চাইল না,, মনোযোগ না পেয়ে রুষ্ট হল। আমি হাসলাম এবং কষ্ট পেলাম। বন্ধুত্বে পাঠ করার চাইতে বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ।
রিকশা থেকে নেমে একা হাঁটছি.. শেয়ালের জন্য দু:খ হচেছ। বাসায় ফিরলাম, মুখ ধুতে যেয়ে আয়নায় চোখ পড়ল আমার মুখটাও কেমন যেন নেকড়ের মত হয়ে উঠছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।