হাসি খুশি এক দুখী ছেলে গতকাল কাগজ পড়ে জানতে পারলাম জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) নাকি গত বছর মাধ্যমিক, প্রাথমিক, দাখিল ও এবতেদায়ির বইসহ প্রায় ২৭ কোটি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের ২৪ কোটি বই ছাপানো হয়েছে দেশে। বাকি তিন কোটি বই ভারত থেকে ছাপিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মুদ্রণকারীদের মাধ্যমে বই ছাপা হলে প্রায় ২০ কোটি টাকার অতিরিক্ত আমদানি শুল্কও দিতে হতো না স্থানীয় মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা। ফলে প্রায় ১০০ কোটি টাকার মুদ্রণকাজ দেশের বাইরে চলে গেছে। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে দেশের মুদ্রণ ও কাগজশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জানি সরকারের কাছে প্রশ্ন করে কোন লাভ নাই। তারপরও প্রশ্ন করতে মন চাচ্ছে। বই গুলো কি এতই উন্নতমানের? যে দেশ রেখে সেগুলো মদ্রনের জন্ন্য এত বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করে মুদ্রণ করাতে হল? আমাদের দেশে কি তা সম্ভব ছিলনা? এটা কি তবে বিশ্ব ব্যাংকের লাল চোখের কারনে হয়েছে? নাকি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে দায়িত্বরত কর্মচারীদের তাতে কোন স্বার্থ আছে? এটা কি সরকারের নীতি?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।