প্রবাদপুরুষ কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। সম্পর্কে পাকিস্তানের বাপ হন তিনি। সেই সূত্রে আমগো কারো কারো দাদাও বটে। কথায় আছে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। প্রতিভাবানরা শিশুকাল থাইকাই নাকি আলোকচ্ছটা ছড়ানো শুরু করেন।
অবশ্য এইসব কাহিনী শুনা যায় এনারা লাইম লাইটে আসার পর থাইকা। অনেক পাবলিকই বুক ফুলায়া কয়, "আমি তো আগেই কইছিলাম। " এইটাও সেইরকম শোনা এক কাহিনী।
জিন্নাহ সাহেবের তখন কচি বয়স। হাফপ্যান্ট পইড়া (শিউর না) স্কুলে যান।
তো একদিন স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হইছে। অন্য অনেক কচি - কাঁচার লগে দাদাজানও নাম দিলেন দৌড় পত্তিযোগিতায়। পোলাপান সব সার বাইন্ধা খাড়ায়া আছে। মাস্টার সাব বাঁশিতে ফুঁ দিলেন। দৌড় শুরু হইল।
কিন্তু একি? মহামতি জিন্নাহ দেখি উলটা দিকে খিচ্চা দৌড় পাড়তাছে। পাবলিক তো মহা ফাঁপড়ে। ধইরা বাইন্ধা তারে থামানোর পর আসল কাহিনী বাইর হইল। "হগ্গলেই তো সামনের দিকে দৌড়ায়, এইডা আর নতুন কি? আমি ক্যান গড্ডলিক প্রবাহে গা ভাসামু, সকলে যা করে হেইডা আমি ক্যান করুম?" আর এল্লাইগাই পিছন ফিইরা দাদায় ছুট মারছে।
আর গুরু, সেই যে শুরু।
পিছন দিকের দৌড় তো আর থামে না। ক্ষ্যামতার লোভে নেহরুর লগে মিল্লা ধর্মের নামে দ্যাশটারে লইয়া কাটাকাটি খেলল। মাঝখান থাইকা দুই ভাগ হইল সোনার বাংলা। আর মহাজ্ঞানীর পথ অনুসরণ কইরা আমরাও ক্রমাগত দৌড়াইতাছি- পিছনের দিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।