আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাদের মোল্লার ফাঁসি, হরতাল, সংঘাতের পথে দেশ

রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দুই দিনের হরতালে প্রাণ গেছে তিনজনের, জখম হয়েছে শতাধিক। গাড়ি পোড়া গেছে প্রায় অর্ধশত, ভাঙচুর হয়েছে আরও বেশি। লাঠি, গুলি, টিয়ারগ্যাস, ককটেল ব্যবহার হয়েছে সেই ওয়ান-ইলেভেন-পূর্ব পরিস্থিতির মতো। কেউ কেউ বলেছিলেন, অক্টোবরের শেষ কিংবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগে তেমন কোনো আন্দোলন হবে না; সব কিছু শান্ত থাকবে।

বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জনসভার নিরীহ কর্মসূচি দেখে অনেকে এমন ধারণা করেছিলেন। পাঠক, আপনাদের মনে থাকার কথা যে, বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই কলামে দুই সপ্তাহ আগে লিখেছিলাম, সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দেওয়ার আন্দোলন শুরু হতে এত সময় নেবে না বিরোধী দল। তা-ই সত্যে পরিণত হলো। দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়কে ইস্যু করে ১৮-দলীয় জোটের শরিক জামায়াত ভয়াল মূর্তি নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। ধারণা করা যায়, জোটগতভাবেই ১৮ দল নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ইস্যুতে মাঠে নামবে জামায়াতের পাশাপাশি 'হাত ধরাধরি' করে।

বিরোধীদলীয় নেতার ঘোষিত ২৫ অক্টোবরের আগেই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে 'শেষ লড়াইয়ের' আগুন।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর কাদের মোল্লার অপরাধ পুনর্বিবেচনা করে তাকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়েছে জামায়াতে ইসলামী।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে ৪৮ ঘণ্টার অবিরাম হরতাল পালন করেছে জামায়াত। জামায়াতের আচরণটা সম্পূর্ণই দ্বি-মুখী। তাদের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক দেশেরও একজন প্রবীণ ও দক্ষ আইনজ্ঞ। তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াত নেতাদের মুখ্য আইনজীবীই শুধু নন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম শীর্ষ নেতাও। রায় ঘোষণার পর তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় মানতে তারা বাধ্য।

যদি তাই হয় দলটি হরতাল ডাকল কেন? ক্ষমতাসীন লীগ সরকার বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বিশেষ আদালত গঠন করেছে ঠিক, কিন্তু ফাঁসির দণ্ড তো সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে ঘোষিত হয়নি, এ দণ্ড দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। তাই তাদের এ হরতাল সুপ্রিমকোর্টের বিরুদ্ধেই বলা চলে। তাদের প্রধান আইনজীবী বলেছেন, তারা রিভিউর আবেদন করবেন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল) মাহবুবে আলম বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল আইনে রিভিউর কোনো সুযোগ নেই। আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও একই কথা উল্লেখ করে বলেছেন, অপরাধ স্বীকার করে কাদের মোল্লা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারেন।

কিন্তু অনেক সিনিয়র আইনজীবী এ ব্যাপারে ভিন্নমতও দিয়েছেন। প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক প্রমুখ বলছেন, সুযোগ নেই কথাটা সঠিক নয়, কাদের মোল্লার রিভিউর অধিকার সংবিধান খর্ব করেনি। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক অবশ্য বলেছেন, আপিল বিভাগ চাইলে রিভিউ করা যেতে পারে। অর্থাৎ চূড়ান্ত রায়ের ব্যাপারে রিভিউ করা যাবে কি যাবে না এ নিয়ে বিতর্ক আছে। কাদের মোল্লার সামনে সে সুযোগ এখনো আছে।

নিয়ম অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি রিভিউর আবেদন করতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে না পেলে ফাঁসিও কার্যকর করা যাবে না। আমাদের সবার মনে থাকার কথা যে, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ের পর এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয় এবং তার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগে রিভিউর এবং একই দিনে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তার পর সাড়ে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর থেকে দণ্ড কার্যকর করা পর্যন্ত সময় লেগেছিল ৬৯ দিন।

রিভিউ আবেদন বিবেচিত হলে দণ্ড বাতিলের আবেদন যদি নাকচও হয়ে যায়, তাহলেও কাদের মোল্লা ও তার দলের সামনে এখনো সময় আছে। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশে সময় কত লাগবে তার কোনো সময়সীমা কিন্তু নেই। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি ৩০ দিনের মধ্যে পাওয়া গেলেও কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে সেই সময় অটুট থাকবে সে কথা বলা যায় না। কোনো কারণে যদি তা পিছিয়ে যায়, জামায়াত আরও বেশি সময় পেতে পারে। তারপরও তারা হরতাল ডেকে বসল কেন? হরতাল ছিল দুই দিন_ ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর।

কিন্তু জামায়াত-শিবির দেশব্যাপী হানাহানি, ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, গুলি-ককটেল নিক্ষেপের মাধ্যমে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম রেখেছিল তিন দিন। ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন, গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ, গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ, পুলিশের ওপর হামলা ইত্যাদি সহিংস কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। হরতালের আগের দিনই তারা বিভিন্ন স্থানে ১৫টি গাড়ি পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। এ পর্যন্ত ফেনী ও মেহেরপুরে মারা গেছে দুজন। পরে আর একজন।

মারাত্দকভাবে পুলিশ আহত হয়েছে দুজন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, শুধু কাদের মোল্লার ফাঁসির দণ্ড বাতিল করার উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামী তাদের সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ ফের শুরু করেনি, তারা এখন থেকেই দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে একটি আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এটা তাদের পরিপক্ব (ম্যাচিউরড) রাজনৈতিক কৌশল। আবদুল কাদের মোল্লা ছাড়াও অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মো. কামারুজ্জামান, মীর কাসেম আলী, মাওলানা আবদুস সোবহান প্রমুখ নেতাদের ভবিষ্যৎ নিয়েও তারা চিন্তিত। যারা এখনো বিচারের আওতায় আসেননি, তেমন কিছু নেতাও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন বলে তাদের ধারণা।

ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে তাদের দলের নিবন্ধনও বাতিল হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, এখনো উচ্চ আদালতের রায়ই বহাল আছে। এর যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, দলগতভাবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করার অধিকারও থাকছে না দলটির। তাই একদিকে দলের নেতাদের জীবন রক্ষা ও অন্যদিকে দলের আইনগত অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তারা সরকারকে ঘায়েল করার লক্ষ্য নিয়েই এগুচ্ছে বলে মনে হয়। তারা যে এখনো অনেক শক্তিশালী, সরকারের মাথা খারাপ করে দেওয়ার মতো সক্ষমতা যে তাদের আছে তা-ই তারা প্রমাণ করেছে গত হরতালে।

তাদের দলের প্রবীণ সব নেতা ফাঁসির রজ্জুর মুখোমুখি, কেন্দ্র ও জেলায়, এমনকি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক নেতাও হয় জেলে, নয়তোবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন; তারপরও তারা যে সাংগঠনিক শক্তিমত্তার পরিচয় দিয়ে চলেছে, এমন অবস্থায় পড়লে বিএনপি-আওয়ামী লীগ তা পারত কিনা সন্দেহ। বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর দেখা গেছে_ তারা কী করতে পারে। কিন্তু জামায়াত তাদের বর্তমান শক্তির ওপর নির্ভর করে সর্বোচ্চ আদালত এবং সরকারকে একসঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রশক্তির ওপর বেপরোয়া আঘাত হানছে। এ ব্যাপারে অবশ্য পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, রাষ্ট্রশক্তিকে যদি দলীয় ক্যাডারশক্তির মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যথেচ্ছ ব্যবহার করা হয়, তখন রাষ্ট্রশক্তি অর্থাৎ পুলিশ-বিজিবি, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু জামায়াত কেন, অন্যদের রোষানলে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা না হলে, সবার জন্য একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড উন্মুক্ত না হলে_ তথা প্রধান বিরোধীদলসহ দেশের সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী এবং সিনিয়র সিটিজেনদের অধিকাংশের অভিমত অনুযায়ী নির্বাচনকালীন একটি নির্দলীয় সরকারব্যবস্থায় লীগ সরকার সম্মত না হলে নির্বাচনের আগেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে সর্বব্যাপী-'সর্বগ্রাসী' আন্দোলনের গুঞ্জন বাজারে আছে, জামায়াতে ইসলামী সেই চূড়ান্ত আন্দোলনেরই সূচনা করেছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় উপলক্ষ মাত্র। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা নিয়েও নানা ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, এ রায় কার্যকর করার ব্যাপারটা নির্ভর করবে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। এ বিষয়টির সঙ্গে সরকারের ভোটের খেলা যুক্ত হয় কি না তা-ও দেখার বিষয়।

সরকারের ও সরকারি দলের ভেতর থেকেই কথা উঠেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের চরম দণ্ড কার্যকর করলে ভোটের রাজনীতিতে তার পরিণাম ফল আওয়ামী লীগের অনুকূলে না-ও যেতে পারে। কেননা, ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এদের মতে, গত পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামায়াত-হেফাজত ইস্যু, অর্থাৎ ধর্মের কার্ড সরকারি দলকে ধসিয়ে দিয়েছে। মানুষ মনে করতে পারে, সরকার নির্বাচনী ওয়াদা পালনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার ব্যর্থতা, অদক্ষতা, সীমাহীন দুর্নীতি ও অপশাসনের দুর্নাম ঢাকার জন্য নানা পথে হাঁটছে। বিরোধীপক্ষও সরকারের চলার পথ আটকানোর জন্য প্রস্তুত বলে মনে হয়।

জামায়াতের সামনে পথ এখন দুটো_ (এক) সরকারের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা (দুই) সরকারকে যে কোনো প্রকারে হটিয়ে দিয়ে আপাতত শ্বাস ফেলার পথ করে নেওয়া। তারা এটা মনে করা স্বাভাবিক যে, এ সরকারের পতন হলে তাদের সামনে উন্মোচিত হবে নেতাদের এবং দলকে বাঁচানোর নতুন দিগন্ত। এ জন্য তারা প্রয়োজনীয় ঝুঁকি নিতে সাহসী ও সক্ষম বলেই মনে হয়। ১৭, ১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর তারা যা করেছে, তাদের এই অ্যাকশন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। অনেক বিশ্লেষকই একমত যে, লীগ সরকারপ্রধান বিরোধী দল ও জোটকে বাদ দিয়ে একদলীয়, একপেশে নির্বাচন করে ফেলার যে উদ্যোগ-আয়োজনে নেমে পড়েছেন, জামায়াতের বর্তমান আন্দোলন-হরতাল-লড়াই ওই ধরনের নির্বাচন প্রতিহত করার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পথেই এগুতে থাকবে।

ক্ষমতার কাঙালদের এই লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের অর্থনীতি_ উৎপাদন, উন্নয়ন; অশান্তির অনলে জ্বলবে শান্তিপ্রিয় নাগরিক সাধারণ। সরকারের কি বোধোদয় হবে না?

সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন বলছেন সরকার পতনের আন্দোলন করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। মাঝে মাঝে প্রধানমন্ত্রীও এতে সুর মেলান। কথাটা তারা ভেবে বলেন কিনা বুঝি না। আমাদের দেশে কোনো স্বৈরশাসকের আমলেই 'সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠেনি।

' আঙ্গুল যতটা বাঁকালে ঘি ওঠে বিএনপি তা না পারলেও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে সেরকম শক্তি নেই, তেমন ভাবা বোধহয় ঠিক নয়। তেমন শক্তি ১৮-দলীয় জোটে অবশ্যই আছে। তা ছাড়া লীগ সরকারের ওপর শুধু বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটই নয়; নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ তথা জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই বিরক্ত, ক্ষিপ্ত ও ক্ষুব্ধ। এরাও যোগ দেবে আন্দোলনে। সরকার তখন বুঝবে আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী।

এই অংশের ওপর কোনো দলের নিয়ন্ত্রণও থাকে না। এটাও বিবেচনায় রাখা উচিত যে, ওয়ান-ইলেভেন-পূর্ব পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য লাখ লাখ লোকের প্রয়োজন হয় না। কাজেই আত্দম্ভরিতা পরিহার করে সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে হাঁটা ও নিজেদের জন্য একটা 'সেফ এঙ্টি' বের করা।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট

ই-মেইল : kazi.shiraz@yahoo.com 

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.