এলচে নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। লা লিগায় প্রথমবারের মতো খেলতে আসা এই এলচে কাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদকে প্রায় রুখেই দিয়েছিল। প্রথমে পিছিয়ে গেলেও ম্যাচের ইনজুরি সময়ে গোল করে সমতায় ফেরা এলচে রিয়ালের কাছ থেকে একটি পয়েন্ট কেড়ে নেওয়ার সুখচিন্তায় যখন মত্ত, ঠিক তখনই এক বিতর্কিত পেনাল্টি গোলে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হাঁফ ছেড়ে বাঁচার এক জয় এনে দেন ‘সিআর-৭’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। রিয়ালের পক্ষে অপর গোলটিও এসেছে রোনালদোর পা থেকেই।
এলচের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জিততে পারবে না—এমন চিন্তা কেউ করেননি।
কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে পূর্ববর্তী হিসেব-নিকেশ পুরোপুরিই উল্টে যায়। নবাগত এলচের চোয়ালবদ্ধ পারফরম্যান্সে রিয়ালকে কাল ঘাম ঝরিয়েই আদায় করে নিতে হয়েছে এই জয়। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৫১ মিনিটে এলচের বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া রোনালদোর চমত্কার ফ্রি-কিক তাঁর সামনে তৈরি করা রক্ষণপ্রাচীরে লেগে তা পরাভূত করে গোলরক্ষক মানু হেরেরাকে।
রিয়াল যখন নিশ্চিত জয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই গোলটি পরিশোধ করে দেন এলচের বোয়াকি। বামপ্রান্ত থেকে আসা নিখুঁত এক ক্রসকে বোয়াকি মাথা লাগিয়ে পাঠান রিয়ালের জালে।
নবাগত এক দলের কাছে পয়েন্ট হারানোর বেদনায় যখন রিয়াল খেলোয়াড়েরা মাথায় হাত দিয়ে ফেলেছে। নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে যখন ম্যাচটি এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই প্রাপ্ত পেনাল্টি কাজে লাগান রোনালদো। এলচের পেনাল্টি সীমানায় কার্লোস সানজেসের বিপক্ষে পেপের জার্সি ধরে টানার অভিযোগ আনেন রেফারি। এলচের খেলোয়াড়দের তীব্র প্রতিবাদের মুখে রিয়াল পেয়ে যায় ‘ম্যাচ-জয়ী’ পেনাল্টি। সেই পেনাল্টি কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি ওই রোনালদো।
সূত্র: রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।