ম্যাচ শেষে রিয়াল সমর্থকেরা প্রার্থনায় বসেছিলেন কি না, সেটা জানা যায়নি। তবে কাল লেভান্তের বিপক্ষে রিয়াল যে উপায়ে জয় পেল, তাতে সমর্থকেরা অতিরিক্ত অদৃষ্টবাদী হয়ে পড়তে বাধ্য। দুই-দুইবার পিছিয়ে পড়েও খেলাটা শেষ অবধি যে রিয়াল জিতেছে, সেটাই অবিশ্বাস্য। অদৃষ্টের ছোঁয়ায় অবশ্য ঢাকা পড়ছে না লস ব্ল্যাঙ্কোসদের ক্রীড়াশৈলীও। শনিবার রাতে রিয়াল মাদ্রিদ লেভান্তেকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কঠিন পরিস্থিতিতে আসলে কীভাবে খেলতে হয়।
৮৯ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকলেও খেলার শেষ মিনিটে মোরাতা আর অতিরিক্ত সময়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে লেভান্তের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের জয়টা ৩-২ গোলের। বিজয়ী দলের অপর গোলটি এসেছে সার্জিও রামোসের পা থেকে।
খেলার ৫৭ মিনিটে বাবা দিওয়ারার গোলে এগিয়ে যায় লেভান্তে। চার মিনিট পরই অবশ্য সমতা ফেরার রামোস। ৮৬ মিনিটে নাবিল এল জাহর গোল করে লেভান্তেকে এগিয়ে দিলে পরাজয়ের প্রহর গোনা শুরু করেন রিয়াল সমর্থকেরা।
কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে মোরাতা সমতা ফেরালে পরাজয় এড়ানোর স্বস্তি ফেরে রিয়াল শিবিরে। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল রিয়ালকে এনে দেয় কষ্টার্জিত এক জয়।
পরিবর্তনের খেলা কালও চালিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোপেনহেগেনের বিপক্ষে জয়ী দলের পাঁচজন কাল একাদশে ছিলেন না—ইকার ক্যাসিয়াস, পেপে, মার্সেলো, দানি কারভাজাল, আসিয়ার ইলারামেন্দির বদলে কাল আনচেলত্তি প্রথম একাদশ সাজান ডিয়েগো লোপেজ, আলভারো আরবেলোয়া, সার্জিও রামোস, ফ্যাবিও কোয়েনত্রাও আর ইসকোকে দিয়ে।
খেলার প্রথমার্ধে প্রায় ৩৫ গজ থেকে দিওয়ারার নেওয়া এক শট আতঙ্ক ছড়িয়েছিল রিয়াল গোলরক্ষক ডিয়েগো লোপেজের মনে।
কিন্তু দিওয়ারার ওই শটটি ক্রসবারে হাওয়া লাগিয়ে চলে যায়। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে দিওয়ারারই দুরন্ত এক হাফভলি ফিস্ট করে পোস্টের ওপর দিয়ে ঠেলে দেন লোপেজ। ৫৩ মিনিটে রোনালদোর একটি শট বারে লেগে প্রতিহত হয়। ৫৭ মিনিটে এগিয়ে যায় লেভান্তে।
জুমেত্রার এক চমত্কার আড়াআড়ি ক্রস ধরে বল জালে পাঠান দিওয়ারা।
তবে চার মিনিট বাদেই রামোসের গোলে ম্যাচে ফেরে রিয়াল। অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার কর্নার থেকে গোলটি করেন রামোস। সমতায় ফিরেই লেভান্তেকে চেপে ধরে রিয়াল। ৭০ মিনিটে মার্সেলো একটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করলে তাঁদের আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি। ৮৬ মিনিটে এল জাহর লেভান্তেকে ২-১ গোলে এগিয়ে দিলে রিয়ালের পরাজয় ভবিতব্যই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু ৯০ মিনিটে খেলায় সমতা ফেরান মোরাতা। ইনজুরি সময়ের শেষ লগ্নে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল পরাজয়ের লজ্জা থেকে কেবল রিয়ালকে বাঁচায়নি, হয়তো ফিরিয়ে দিয়েছে কিছুটা আত্মবিশ্বাসও। সূত্র: রয়টার্স।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।