মানবতার আদালতে আমরা সবাই বিবেকের ধর্ষক ।
চিন্তার ব্যাপারটা ইদানীং আমার কাছে এতটাই ব্যাপ্তি পাচ্ছে মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় আর মাথার মধ্যে কিলবিল কিলবিল করতে থাকে । কি ফেলে কি করি সারাক্ষণ মাথা ভনভন করতে থাকে । অবশেষে ব্লগে লিখব কিন্তু কি ভাবে শুরু করি কি লিখি আবার সাইবার আইনে ফেঁসে যাচ্ছিনা তু ? এই একটা সম্ভাব্য ভয় মাথার মধ্যে কাছ করে কারণ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন টার পরিধি এতটাই ব্যাপ্তি আপনকে ফাঁসানো কোন ব্যাপার না । হ্যাঁ , এই আইনটি করা হয়েছে ক্রাইম কমানোর জন্য যদিও তারপরও অদূর ভবিষ্যতে এই আইন ব্যবহার করেই সৃষ্টি হবে যত অশান্তি আর অপরাধ জগত ।
কেননা আপনার নামে একটা ওয়েব সাইট বা ফেইজবুক এবং যে কোন একটা আইডি খুলে যা ইচ্ছে তাই বলে যাবে আর আপনি ফেঁসে যাবেন । আর এতে বেশী আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে হ্যাকারদের । অবশ্যই যদি সরকার বা কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী সিকিউরিটি ফিল্টারিং এর ব্যাবস্থা করতে পারেন যেমন ডোমেন নিবন্ধন করার ক্ষেত্রে জাতিয় পরিচয় প্ত্র এবং আইডি খোলার ক্ষেত্রেও এই ব্যাবস্থা করতে পারে । তবে হয়ত একটু রেহাই হবে । যাক আমি যে বিষয়ে কথা চায় তা হল মুক্তচিন্তা এবং মতামত সম্পর্কে ।
প্রথমেই আসি মুক্তচিন্তা । মুক্তচিন্তা কি ? মুক্তচিন্তা হচ্ছে দর্শনের এমন একটি শাখা যা দাবি করে জ্ঞান ও যুক্তির অনুপস্থিতিতে দাবিকৃত কোন মতকেই সত্য হিসেবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা উচিত না। সুতরাং এই মতের অনুসারিরা যাবতীয় সামাজিক রীতিনীতি,ধর্মীয় আচার,বাঁধা- নিষেধ,কর্তৃপক্ষের জারি করা যেকোন নিয়মের বিকল্প হিসাবে চিন্তা করে এবং তা দ্বারা প্রভাবিত হয় না । আর মতামত হল সমাজ , রাষ্ট্র এবং ধর্মীয় বা যে কোন বিষয়ে নিয়মকারী, বিশেষজ্ঞ এবং ভোক্তভোগি সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্ত । আমার মনে হয় মুক্তচিন্তার চেয়ে মতামতের গুরুত্ব অনেক বেশী ।
কেননা মুক্তচিন্তার প্রয়োজন ছিল যখন কোন বিষয়ে কোন ধরনের আইন বা নিয়ম চালু ছিল না বা নাই তখন । কিন্তু যখন প্রতিটি বিষয়ে রাষ্ট্রীয় , বা ধর্মীয় আইন চালু আছে সেখানে মুক্তচিন্তার নামে অতিমাত্রায় মুখে ফ্যানা তুলে কি লাভ । যেমন তসলিমা নাসরিনের পুরুষের ন্যায় মেয়েদের একাদিক স্বামী নেওয়ার অধিকার , সমকামীদের বিয়ার অধিকার এইসব দাবি যেমন সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে তেমনি সামাজিক মূল্যবোধও নষ্ট করে । বস্তুতপক্ষে আইন কি? আইন হচ্ছে একটি সমাজ বা রাষ্ট্রের যাবতীয় সম্পদকে সঠিক ও সাম্য ভাবে রাষ্ট্রের জনগনের মাঝে সুষম ভাবে বণ্টন করা এবং রাষ্ট্রে সুশৃংখলা ও নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দান করা । কাজেই যখন যে কোন পদ্ধতি সেটা সামাজিক রীতি হোক আর ধর্মীয় নীতি হোক জনগণের মাঝে সম্পদের সুষম বণ্টন এবং সুশৃংখলতা বজায় থাকে সেখানে মুক্তচিন্তার নামে নতুন কোন বিষবাষ্প ছড়ানোর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।