যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি
আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ লোক আছেন যারা চিল্লা -তিন চিল্লা দিয়েছেন । এদের অনেকেই প্রতি বছর চিল্লা দেন । প্রতি বছর এস্তেমা থেকে, রমজানে ও সারা বছর হাজার হাজার চিল্লার জামাত বের হয় । কর্মীরা দ্বীনের প্রতি আগ্রহ, দ্বীনি মেহনতের উদ্দীপনা নিয়ে ফিরে আসেন । বড়ই মুবারক ।
কিন্তু এই ফিরে আসা দলের খুব অল্পই পবিত্র কোরান শরীফ শিক্ষার দিকে মনোযোগ দেন ! ঘরে ফেরার সময় মুরুব্বীরা খুব গুরুত্ব দিয়ে ' ওয়াপেসী ' ( প্রত্যাবর্তন কালীন) বয়ান করেন । সেখানেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় না ! অথচ যার কুরবাণী ও মেহনতের ফসল এই( তাবলীগের ) কাজ, তিনি বলেন : ( মালফুজাত ২০২ )
তবলীগী জামায়াতের তালীমের নেছাবের এক আবশ্যকীয় অংশ ‘তজবীদ’। কোরআন শরীফ শুদ্ধভাবে পড়া অতি বড় জিনিস।
“আল্লাহ পাক নবীর সুমিষ্ট সুরে কোরআন পড়া যেমন কান লাগাইয়া (সন্তুষ্ট হইয়া আগ্রহের সহিত) শোনেন তেমন অন্য কোন কিছুর প্রতি কান লাগাইয়া শোনেন না। ”
তজবীদ প্রকৃত প্রস্তাবে ঐরূপ শুদ্ধভাবে কোরআন শরীফ পড়া যাহা হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে নকল হইয়া আমাদের নিকট পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে।
কিন্তু তজবীদ শিক্ষার জন্য যেই সময়ের দরকার জমায়াতে সেই সময় পাওয়া যাইতে পারে না। এই জন্য এই সময় শুধু ইহার কোশেশ করিতে হইবে যেন লোকের মধ্যে ইহার আবশ্যকতার অনুভূতি পয়দা হয় ও কিছু কিছু যোগ্যতা (মোনাছেবাত) পয়দা হয়, তৎপর তাহারা যেন ইহা শিখিবার জন্য পৃথক সময় খরচ করিতে প্রস্তুত হয়। "
তাবলীগী ভাইদের প্রতি আমার প্রশ্ন : আমাদের চিল্লাদেওয়া ভাইদের ১০০ জনে ১ জন কি কোন ক্কারীর কাছে তাজবীদের মশক করেছেন ? আমার জানামতে ওনারা শুধু তাবলীগী ভাইদের কাছেই মশক করেন, বেশী থেকে বেশী এলাকার কোন ইমাম সাহেব। সেটাও ভাল । তবে হযরতজীর কথা মত এমন কোন ক্কারী সাহেবের কাছে করা চাই যাতে " যাহা হুজুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হইতে নকল হইয়া আমাদের নিকট পর্যন্ত পৌঁছিয়াছে।
" - এ পর্যায়ের তাজবীদ শিক্ষা হয় !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।