ইদানিং রাজারবাগি এবং দেওয়ানবাগি পেইড ব্লগারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ইসলাম সম্পর্কিত ভুল তথ্য দিয়ে ব্লগ ভর্তি করে ফেলছে একদল অপদার্থ। এর দ্বারা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মুসলমানগণ।
তাবলীগ আপনি বাসায় বসে করেন আর মসজিদে গিয়ে জামাতবদ্ধ ভাবে করেন সেটা আপনার ইচ্ছা। সৎ কাজে আদেশ আর অসৎ কাজে নিষেধ করা যে ভাল এবং জরুরি সেটা একজন অমুসলিম ও বুঝবে।
১।
যারা রাজারবাগি এবং দেওয়ানবাগি বা ভণ্ড পীরের মুরিদ তারা তাবলীগ পছন্দ করেনা কারন তাবলীগ ওয়ালারা তাবিজ দেয়ার মাধ্যমে, মিলাদ পড়ানোর মাধ্যমে, ওরস করার মাধ্যমে ইত্যাদি বেদাতি কাজ করার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজের উদরপূর্তি করেনা। তাই তাবলীগ করলে মানুষ আল্লাহ তায়ালার মুখাপেক্ষী হয়ে যাবে, ভণ্ডদের কাছে যাবে না, এজন্য ব্যবসায় ক্ষতি হবে, তাই ভণ্ডরা তাবলীগ পছন্দ করে না।
২। জামায়াত-শিবির তাবলীগ পছন্দ করেনা কারন তারা জামায়াত-শিবির এর পন্থায় জিহাদ করেনা। কিন্তু সমস্যা হল জামায়াত-শিবির এর পন্থায় জিহাদ এদেশে মুসলমানদেরকে আরও ইসলাম বিমুখ করেছে বিশেষ করে বাম দলদের, এখন দাঁড়ি দেখলেই মানুষ মনে করে জামায়াত শিবির।
৩। আহলে হাদিস তাবলীগ পছন্দ করেনা, অবশ্য তারা জামায়াত সাপোর্টার ৯০% ক্ষেত্রে। কারও সন্দেহ থাকলে জরিপ চালিয়ে দেখতে পারেন। আপনারা সবাই ভেবে দেখুন তো আজ থেকে ১০ বছর আগেও মানুষ হুজুর দেখলে, দাড়িওয়ালা দেখলে কত সম্মান করত। কিন্তু এখন গালি দেয়।
তার কারন গত সরকারের সময় জঙ্গিদের আচরন। প্রথমেই আসে জে এম বি যার প্রধান শায়খ আব্দুর রহমান ছিলেন আহলে হাদিস। তাহলে আজ কাদের কারনে সাধারণ ধর্ম প্রান মুসলমানদের গালি খেতে হচ্ছে ছাগু, জামাত-শিবির বা জঙ্গি বলে??
দল, লীগ, জামায়াত, পীর সাহেবের মুরিদ যে কেউ যেকোন জায়গা থেকে ইমানদার হতে পারে হেদায়াত পেতে পারে যদি সে অন্ধ না হয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে হেদায়াত চায়।
অনেকেই দেখছি তাবলীগ বুঝানোর জন্য পোষ্ট দিচ্ছেন, এটা না করলে ভাল হয়। কারন আলেমরা চান না এই ভাবে ব্লগিং করে মানুষকে তাবলীগ বুঝানো।
তাবলীগ আল্লাহ তায়ালাই প্রচার এবং প্রসার করেন। দয়া করে তাবলীগ নিয়ে ব্লগে পোস্ট না দিলে ভাল হয়। আপনারা ধর্মের অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলেমদের কাছ থেকে জেনে লিখুন।
যারা ইজতেমায় গিয়েছেন তারা হয়ত দেখেছেন বাংলাদেশের সব দলের এবং মতের লোকই ইজতেমায় যান। বি এন পি আর আওয়ামী লীগ একই প্লেটে খাবার খান।
একই সাথে পাশাপাশি বসে বি এন পি আর আওয়ামী লীগ, পীর সাহেবের মুরিদ, সচিব থেকে রিক্সা ওয়ালা, মন্ত্রী থেকে দিন মজুর সব ধরনের মানুষ দেশের জন্য, নিজের হেদায়াতের জন্য, গুনাহ মাফ করার জন্য ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আল্লাহ পাকের দরবারে কান্না কাটি করে।
ইজতেমায় অন্যান্য দেশ থেকে হাজার হাজার মুসলমান আসেন যাদের কেউ আহলে হাদিস, কেউ হানাফি, কেউ মাজহাব মানেন কেউ মানেন না। কিন্তু কারও মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই, সবাই আপন ভাইয়ের মত আকে অপরকে মনে করে।
আমার এই লেখায় যারা কষ্ট পেয়েছেন দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। দয়া করে উল্টা পাল্টা না লিখে একজন ভাল আলেম অন্তত মুহাদ্দিস বা মুফতি সাহেব (যিনি কোন দল করেন না এবং যার আমল ও আখলাক ভাল এবং যিনি বিনিময় চান না) তার কাছ থেকে জেনে নেবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।