যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি
তাবলীগ জামাত একটি হক জামাত । তাই বলে এটি ভুল ত্রুটির উর্ধে বা মাসুম নয় । আর ভুল ত্রুটিগুলোও সবার এক না, এক রকম না।
কোন কোন সাথীকে দেখা যায় কোরাণ শিক্ষার - ই বিরোধিতা করে ফেলেন । যেটা মারাত্মক ।
অনেক মসজিদেই বয়ষ্ক কোরাণ শিক্ষার ব্যবস্হা থাকে । যারা কোরাণ সহিহ শুদ্ধ পড়তে পারেন তাদের জন্য এটা দরকারী -ও না। কিন্তু যারা স হিহ শুদ্ধ কোরাণ পড়তে পারেন না, বিশেষ করে নামাঝের সুরাগুলো যাদের শুদ্ধ নয়, তাদের জন্য এটা খুবই দরকারী । দু:খের বিষয় অনেক সময় -ই দেখা যায় দাওয়াতের কাঝের অতী উৎসাহে অনেক কর্মীরা বয়ষ্ক শিক্ষার ও বিরোধীতা করে ফেলেন । অনেক সরাসরি বিরোধিতা না করলেও 'আড়াই ঘন্টা' পুরা করতে বলেন, বা 'দাওয়াত-তালীম-এস্তেগবাল' এর কাজ করতে বলেন ।
অথচ হজরত ইলিয়াস রহ: তো তাজবীদের ( সহিহ তেলওয়াত শিক্ষার ) জন্য আলাদা সময়-ই বের করতে বলেছেন । আমাদের তাবলীগী ভাইরা এ বিষয়ে বড়ই উদাসীন
আবার কেউ কেঊ তাজবীদের বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও কুরাণের তরজমা বা তাফসীর জানার বিষয়ে ঘোর আপত্তি জানান ।
হযরত জাকারিয়া রহ: তাফসীর করার জন্য ১৫টি বিদ্যা জানা দরকার তা উল্লেখ করেছেন । বিষয়টির সাথে সমস্ত হক পন্থী আলেমরা একমত । কিন্তু তরজমা পড়া বা তফসীর পড়তেও যে এতগুলো বিদ্যা লাগবে সেটা তো উনি বলেন নি ! তাহলে তরজমা পড়তে অসুবিধা কোথায় ? বিশেষ করে যে সব সুরা আমরা সব সময় নামাজে পড়ে থাকি, সেগুলোর অর্থ জানা থাকলে নামাজে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয় ।
সেগুলো জেনে নিতে অসুবিধা কি ?
এরপরও বলব হযরত ইলিয়াস রহ: বা জাকারিয়া রহ: যদি মুবাল্লিগদের তরজমা পড়তে নিষেধ করে থাকেন, তাহলে সেটা মেনে নেওয়া উচিত । কেননা বড়রা ভাল ভাবে জেনে বুঝেই কোন কথা বলেন , যার সবগুলো আমাদের সবসময় বুঝে না-ও আসতে পারে । কিন্তু ওনাদের পক্ষ থেকেও তো এমন কোন নিষেধাগ্গা পাওয়া যায় নি !
আমাদের কিছু ভাই -এর এরূপ ভুমিকা লা-মাযহাবী ও মৌদুদীদের অপপ্রচারে সুযোগ করে দেয়, যে তাবলীগ ওয়ালারা কোরাণ বিরোধী ! আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।