এর প্রেক্ষিতে কাতার সরকারের কাছে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়েছে পেশাদার ফুটবলারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিফপ্রো।
‘দ্য গার্ডিয়ানে’র এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৪ জুন থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত কাতারে কর্মরত ৪৪ জন শ্রমিকের অকালমৃত্যু হয়েছে। হার্ট অ্যাটাক কিংবা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া বিশ্বকাপের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা তৈরিতে শ্রমিকদের জোর করে কাজ করানোরও প্রমাণ পাওয়া গেছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে নেপালি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে না।
শ্রমিকদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে তাদের পাসপোর্ট নিয়ে নেয়া হয়েছে। কখনো-কখনো তাদের পানি পান করতেও বাধা দেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে শ্রমিকদের কষ্টকর জীবনকে ‘আধুনিক যুগের দাসত্ব’র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
এ সব তথ্যের দিকে ইঙ্গিত করে ফিফপ্রোর বোর্ড সদস্য ব্রেন্ডন শোয়াব বলেন, “এই প্রতিবেদন সত্যি হলে ফুটবলকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। ”
শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, “শ্রমিকদের জীবন নিয়ে খেলা করা ক্ষমার অযোগ্য।
অবশ্যই তাদের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ”
এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ফুটবলারদের সংগঠনটি।
কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক কর্তৃপক্ষ অবশ্য অবিলম্বে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে নিয়োজিত প্রত্যেককে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের কাজে নিয়োজিত সব শ্রমিক এবং কাতারের অন্যান্য উন্নয়নকল্পে নিয়োজিত সবার ভালোভাবে বেঁচে থাকার এবং নিরাপদ পরিবেশে ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করার অধিকার আছে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।