খুব ভাল “নারী সমাজে উপেক্ষিতা”
মানব সমাজের ইতিহাস বেশ প্রাচীন। ধারণা করা হয়,আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে বিশ্ব সভ্যতার যাত্রা শুরু হয়। । বন্যদশা ও বর্বরদশার যাযাবর জীবনের নানা প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে মানুষ আজকের এই আধুনিক সভ্যতা নির্মান করেছে। মানব সমাজে যখন বিবাহ প্রথা চালু ছিলনা তখন সমাজ ছিল অনেকটা মাতৃতান্ত্রিক।
কারণ, অবাধ যৌনাচারের (ঝবীঁধষ চৎড়ীরসরঃু) কারণে সন্তানের মাকে চিহ্নিত করা গেলেও বাবাকে চিহ্নিত করা যেত না। শুধু তাই নয়, খাদ্য সংগ্রহ, উৎপাদন, নতুন যন্ত্রপাতি আবিষ্কারে পুরুষের চেয়ে নারীর অবদান কোন অংশে কম ছিলনা। যে নারী সভ্যতা নির্মাণে নিজের অক্লান্ত শ্রম ও মেধাকে তুচ্ছ জ্ঞান করেছে সে নারীই আজকের সভ্য সমাজে নানাভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে তার যথাযথ অধিকার ও প্রাপ্য থেকে, নির্যাতিত হচ্ছে নির্মমভাবে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, আমরা কি আসলেই সভ্য জাতি? সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমগুলোতে দেখা যায় নানাকারণে (ইভটিজিং, যৌতুকপ্রথা, উত্যক্তকরণ) অনেক মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্বের দরবারে নিজের পরিচয়কে ভালভাবে তুলে ধরতে হলে জাতিকে আজ নতুন করে ভাবতে হবে।
আর এ ভাবনায় সমাজের সকল স্তরের মানুষের অন্তর্ভূক্তিকরণে আমাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। মনে রাখতে হবে জাতীয় পর্যায়ের সকল স্তরে নারী পুরুষের সমান অংশগ্রহণ ছাড়া জাতির উন্নয়ন অসম্ভব। সুতরাং চিরাচরিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন নিতান্ত জরুরী। নারীকে শুধু ভোগের পণ্য না করে তাকে একজন মানুষ ভাবার মানসিকতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজন সমাজস্থ মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস.।
(সংকলিত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।