তারা তিনজন। তাদের বলা হচ্ছে আধুনিককালের মৎস্যকন্যা।
তবে কল্পনার নয়, এরা বাস্তবের মৎস্যকন্যা। মাইরেড কেলি ও তার দুই বান্ধবী ফ্রাঙ্কি দুবেরি এবং দেমেলজা হিলয়ার সপ্তাহে ১০ ঘণ্টারও বেশি সময়ের জন্য পুরোদস্তুর মৎস্যকন্যাদের মতো সাগর দাপিয়ে বেড়ান। তবে শখ করে এমন কাণ্ড ঘটাননি তারা।
২০১০ সালে ২৫ বছর বয়সী কেলির ব্রেন টিউমার শনাক্ত হয়। এক বছর পর অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে টিউমার অপসারণ করার পর ফের টিউমার দেখা দিলে চলতি বছর আবার অস্ত্রোপচার করা হয় তার মাথায়। এখন অনেকটাই সুস্থ কেলি। তবে নিজেকে পুরোপুরি কর্মক্ষম করতে সাঁতারকে শারীরিক অনুশীলন হিসেবে নিয়েছেন। আর প্রতিদিনকার এই কাজে নতুনত্ব আনতে সিলিকনের মৎস্যকন্যার পোশাক পরে সাঁতরান তিনি ও তার বান্ধবীরা।
যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট কেলি অবশ্য এখন অনেকটাই সুস্থ। পানির নিচে সাঁতার কাটা তার কাছে অনেকটাই ধ্যানের মতো। সেখানকার পরিবেশ বাইরের পৃথিবী থেকে আলাদা, তাই জিনিসটি তার কাছে উপভোগ্য। তিনি অনেকের কাছ থেকে মৎস্যকন্যার পারফর্ম করার জন্য আমন্ত্রণও পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে তার নাক ও সাইনাসে কেমন প্রভাব পড়বে এটা নিয়ে প্রথম যেদিন পানিতে নামেন সেদিন খুব চিন্তিত ছিলেন কেলি।
তার বান্ধবী ২৪ বছর বয়সী ফ্রাঙ্কি দুবেরি এবং ২৫ বছর বয়সী দেমেলজা হিলিয়ারও কেলির এ দীর্ঘ সুস্থতা যাত্রায় তার সঙ্গে রয়েছেন। বাস্তবের মৎস্যকন্যা খেতাবটি ভালোই উপভোগ করেন তারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।