৭১ এ ত্রিশ লাখ মানুষ হত্যা, মা বোনদের ইজ্জত লুন্ঠনকারীদের বিচারের জন্য ৪২ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সাক্ষী সাবুদ লাগে, বিচার প্রক্রিয়া বছরের পর বছর গড়ায়, রায় হয়, আপীল পাল্টা আপীল সবই হয়। রায় কার্যকরের জন্য শাহবাগ হয়, হাসপাতালের যোগাযোগ বন্ধ হয়, গজের পর গজ কাপড় নষ্ট হয়- গণস্বাক্ষর এর জন্য, জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, মোমবাতি জালানো হয়, আরো কতো কি...............।
অথচ, একজন এমপির গাড়ীবহরে হামলার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজন পড়েনা, রায় প্রদানের প্রয়োজন হয়না, প্রয়োজন পড়েনা উপরোল্লিখিত কোন কিছুরই। বরং তাদেরকে বিনা বিচারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান (কিন্তু আইনের দৃষ্টিতে অদৃশ্য) হত্যার নির্দেশে রাতের আঁধারে লাশ বানিয়ে ফেলে রেখে দিনের আলোয় উদ্ধার করার নাটক আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়- ৭১ এ দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মা-বোনের ইজ্জত লুট, মুক্তিযোদ্ধাদের নৃশংস হত্যার চাইতেও ২০১৩ সালের একজন এমপি প্রার্থীর গাড়ী বহরে হামলা বড্ড বেশী মানবতা বিরোধী।
রাজাকারেরা মানুষ হইলেও স্বাধীন দেশের সরকার বিরোধীরা কোন ভাবেই মানুষ নয় !!
দেশের প্রতিটি সেকশানে যেদিন এমন অমানুষেরা ঘুরে দাঁড়াবে, প্রতিরোধ করবে, তখন হয়তো বাকের ভাইরা অনুধাবন করতে পারবেন আশেপাশে "কোথাও কেউ নেই।"
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।