পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি-দাওয়া আদায়ে কিছু দিন ধরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর এমনকি অগ্নিসংযোগের দুঃখজনক নজিরও রেখেছেন। সন্দেহ নেই, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার মধ্যে কিছু যৌক্তিক উপাদানও আছে। দীর্ঘদিন ধরে তারা এ বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলেও কেন যে অসন্তোষের গ্রন্থি মোচনের প্রয়াস চলেনি, তা আমাদের বোধগম্য নয়। পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অসন্তোষের শুরু বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জারিকৃত একটি অধ্যাদেশকে কেন্দ্র করে।
এতে কেবল বিএসসি ডিগ্রিধারীদেরই প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারীদের ডিপ্লোমা ইন সুপারভাইজার করা হয় ওই অধ্যাদেশ বলে। মূলত নিজেদের ইঞ্জিনিয়ার পরিচয় হরণকে মেনে নিতে পারেননি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কিংবা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ বিরাজ করছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলনমুখী কর্মসূচিতে। আমরা মনে করি শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার মধ্যে বিবেচনাযোগ্য বিষয় যেহেতু রয়েছে সেহেতু এ নিয়ে তাদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা হওয়া উচিত।
তত্ত্বাবধায়ক আমলের বহুল বিতর্কিত ওই অধ্যাদেশের দায় থেকে সরকার সরে এলে সেটিই হবে যথার্থ কাজ। তবে সরকারি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা যেভাবে রাস্তা অবরোধ, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের হটকারিতা প্রদর্শন করছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষত পরীক্ষা বাদ দিয়ে তারা যেভাবে রাজপথে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তা সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারি পলিটেকনিকগুলোর শিক্ষার্থীরা জনগণের ট্যাক্সে টাকায় পড়াশোনা করেন। দেশবাসীর প্রতি এ জন্য তাদের দায় রয়েছে এবং কোনো অবস্থায় তা বিস্মৃত হওয়া উচিত নয়।
জনদুর্ভোগ সৃষ্টি তাদের কাজ হওয়া উচিত নয়। আমরা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংযমী হওয়ার পরামর্শ দিতে চাই। সরকারকে বলব শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে সরকার অভিভাবকসুলভ মনোভাব দেখাবে এমনটিই কাম্য হওয়া উচিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।